‘তথ্যের অধিকার, সুশাসনের হাতিয়ার; তথ্যই শক্তি, দুর্নীতি থেকে মুক্তি’ -এ শ্লোগানকে সামনে রেখে ২৯সেপ্টেম্বর যাকজমকপূর্ণভাবে পালন করা হলো ‘আন্তর্জাতিক তথ্য জানার অধিকার দিবস ২০১৯’। এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিলো ‘তথ্য সবার অধিকার, থাকবেনা কেউ পেছনে আর’ । জেলা প্রশাসন ও সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক), কিশোরগঞ্জ, টিআইবি’র এর যৌথ আয়োজনে সকাল ৯ টায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এর নেতৃত্বে এক বর্ণাঢ্য র্যালির মাধ্যমে কর্মসূচি শুরু হয়।
র্যালি শেষে জেলা প্রশাসন সম্মেলন কক্ষে বিভিন্ন সরকারে ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সুশাসন নিশ্চিতের পূর্বশর্ত হলো স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা। স্বচ্ছতা থাকলে জনগণ তথ্য জানতে পারে আর জনগণের জানতে চাওয়ার মাধ্যমে সেবাদানকারী কর্তৃপক্ষ জবাবদিহিতার আওতায় চলে আসে। ফলে দুর্নীতির সুযোগ কমে আসে। আন্তর্জাতিক তথ্য জানার অধিকার দিবসে আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জনাব মো. আবদুল্লাহ্ আল মাসউদ। স্বজন সদস্য হুমায়ুন কবীরের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় ধারণা পত্র উপস্থাপন করেন সনাক সদস্য আব্দুল গনি।
দিবসটি উপলক্ষে আলোচনা সভার প্রথম অংশে তিনটি প্রতিষ্ঠান, সনাক কিশোরগঞ্জ, সমাজসেবা অধিদপ্তর ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর প্রাতিষ্ঠানিক সেবার বিবরণ তুলে ধরে। সনাক তথ্য অধিকার আইন ও আবেদন করার নিয়ম উপস্থাপনের মাধ্যমে আলোচনাকে সমৃদ্ধ করেছে। অতিথিগনের বক্তব্যে যে বিষয়টি প্রাধাণ্য পায় তাহলো যেকোন প্রতিষ্ঠান থেকে তথ্য সুবিধা পাওয়ার জন্য তথ্য অধিকার আইন সম্পর্কে পরিস্কার ধারণা থাকতে হবে এবং একই সাথে আইনটাকে কার্যকরীকরণে সকলের ইতিবাচক আচরণ গুরুত্বপূর্ণ।
সনাক সভাপতি সাইফুল হক মোল্লা দুলু উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ দিয়ে বলেন, তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করার মাধ্যমে জনগণকে ক্ষমতায়িত করার লক্ষ্যে তথ্য অধিকার আইনকে কার্যকরী করণের বিকল্প নেই। তবে এ আইন যাদের অধিকারের কথা বলে তারাই এ আইন সম্পর্কে জ্ঞাত নয়। জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে “আন্তর্জাতিক তথ্য জানার অধিকার দিবস”কে কেন্দ্র করে সনাক, কিশোরগঞ্জ বিবিধ কর্মসূচির আয়োজন করে এর মধ্যে তথ্য অধিকার সপ্তাহ পালন ছিলো প্রসংশনীয়।
অন্যান্যদের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন, সহযোগী অধ্যাপক সামিউল হক মোল্লা, সনাক সদস্য ও মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এড. মায়া ভৌমিক, জেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি জনাব মো. মোস্তফা কামাল, সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মোঃ শামসুল হক, ২৫০ শয্যা জেরারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি ডা. মোঃ আতাইর রহমান। কার্যক্রমে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাবৃন্দ, সাংবাদিক, সাধারণ জনগণ, সনাক ও স্বজন সদস্য, ইয়েস গ্রুপে সদস্য, টিআইবি কর্মী ছাড়াও স্কুল কলেজের শিক্ষক ও প্রায় দুই শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী অংশগ্রহণ করেন।