কুয়েতে আব্দুল বারেক নামে এক বাংলাদেশিকে জাল ভিসা বিক্রি ও ব্যবাসার সাথে জড়িত থাকার অপরাধে তিন বছরের জেল ও তিন হাজার দিনার জরিমানা এবং অপর এক মামলায় ৩ বছরের জেল রায় প্রদান করে কুয়েতের ক্রিমিনাল কোর্ট।প্রতারক বারেক কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার সাতঘুরিয়া গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলীর পুত্র।বারেকের কুয়েত সিভিল কার্ড নাম্বার হল 263030207234 ।
কুয়েত সরকারের দায়েরকৃত বিচারকার্যে ২টি মামলার রায় হয়েছে গত ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে । মামলা ২ টি’র নাং MOI মিনিস্ট্রি অব ইন্টেরিয়র রেফারেন্স নাং 108255318 , দেশ ত্যাগের নিষেধাজ্ঞা নাং 151964434 , পুলিশ ইনভেস্টিগেশন ক্রিমিনাল কেস নাং 000575 / 2018 এবং কোর্ট কেস নাং 001213 / 2018 . এবং অপর কেসটির নাং 2448 / 2016 , ডিভিশন নাং 256 / 297 । তিনি দীর্ঘদিন কুয়েতে থাকায় বিভিন্ন মহলের মানুষের সঙ্গে তার পরিচয় গড়ে উঠে। তিনি একাধিক কোম্পানির নামে জাল ও ভুয়া ভিসা ৭/৮ লক্ষ টাকায় বিক্রি করে দেশের বিভিন্ন জেলা হতে কয়েক শতাধিক লোক নিয়ে আসেন। তার কাছ থেকে ভিসা নিয়ে কুয়েতে আসার পর কাজের কন্ট্রাক্ট না পাওয়া, ঠিক মত বেতন পরিশোধ না করা,বছর শেষ হয়ে গেলেও শ্রমিকদের কুয়েতে অবস্থান করার অনুমতি (আকামা) না পাওয়া প্রভৃতির অনেক অভিযোগ ছিল তার উপর । নানা ধরণের ভোগান্তিতে শ্রমিকরা মানবেতর জীবন যাপন করছেন। অন্যদিকে বিভিন্ন সময় নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে অবৈধভাবে কুয়েতে অবস্থান করা শ্রমিকরা গ্রেফতার হয়ে সর্বশান্ত হয়ে দেশে ফিরে গেছেন অনেকই।
বিভিন্ন সময়ে আটক হওয়া শ্রমিকদের জিজ্ঞাসাবাদে বের হয়ে আসে জাল ও ভুয়া ভিসার ব্যবসার সাথে জড়িত আব্দুল রারেকের নাম। কুয়েতের বিজ্ঞ আদালত দীর্ঘ তদন্তের শেষে আব্দুল বারেকের দু’টি মামলায় এই রায় প্রদান করেন। কুয়েত প্রবাসীরা তার এই রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেন, তার কাছ থেকে জাল ভিসা নিয়ে এখানে অনেক শ্রমিকের আকামা নেই ,কাজ নেই,মানবেতর জীবন যাপন করছেন, অনেকেই ধরা পড়ে দেশে চলে গেছে তাদের ক্ষতিপূরণ কে দেবে? গোপন সূত্রের মাধ্যমে জানা যায় বর্তমানে কুয়েত থেকে পালিয়ে গিয়ে পলাতক আত্মগোপনে রয়েছেন বারেক। কুয়েতের ভুক্তভোগী ও প্রবাসীরা বলেন দূতাবাসের মাধ্যমে বারেকের মত আরো যারা প্রতারক ভিসার ব্যবসায়ী আছে, তাদের বিরুদ্ধ ব্যবস্থা গ্রহন করা হোক এবং বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নস্ট করার কারণে আব্দুল বারেক কে দেশে প্রচলিত আইনে আওতায় নিয়ে এসে শাস্তি প্রদান ও ক্ষতিগ্রস্থদের ক্ষতিপূরন দেয়ার জোর দাবী জানান তারা।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সিলর ( রাজনৈতিক ) ও দূতালয় প্রধান মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান সত্যতা শিকার করে বলেন, জাল ও ভুয়া ভিসা বিক্রি ও শ্রমিকদের আকামা না লাগানো এবং ভিসা দিয়ে শ্রমিকদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা আত্মসাতের দায়ে কুয়েতরে আদালত এই রায় প্রদান করেন। তিনি আরো বলেন, কুয়েত সরকার অবৈধ ভিসা ব্যবসায়ীদের ব্যপারে তদন্ত অভিযান অব্যাহত রেখেছে কুয়েত সরকার।