ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাসের নেতৃত্বে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে তিন সাংবাদিক ও ছাত্রদলের ২৭ জন আহত হয়েছেন। সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের হাকিম চত্বর ও টিএসসিতে এ ঘটনা ঘটে।
হামলায় ছাত্রদলের শাহনেওয়াজ , কামরুল (জিয়া হল), শাহিন (সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক, ঢাবি), খোরশেদ আলম সোহেল তাজ, (যুগ্ম আহ্বায়ক মুজিব হল); ফিরোজ (সূর্যসেন হল), মাসুম (এফএইচ হল) ও মাহবুব শাহিন আহত হন। আহত সাংবাদিক ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ক্যাম্পাসের হাকিম চত্বরে একটি টেলিভিশন চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিতে আসেন ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল। এ সময় সাত-আটজন নেতাকর্মী নিয়ে সনজিত ছাত্রদল নেতাকর্মীদের এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বলেন। এর কিছুক্ষণ পর ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা টিএসসিতে চলে এলে সনজিতের অনুসারী ৫০ জন নেতাকর্মী রড, লাঠিসোটা নিয়ে ছাত্রদল নেতাদের মারধর করেন।
এ সময় পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে স্টুডেন্ট জার্নালের বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার আনিসুর রহমানকে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস, পরে তার অনুসারী স্যার এএফ রহমান হল শাখার সহ-সভাপতি হোসাইন মাহমুদ আপেল, জগন্নাথ হল সংসদের জিএস কাজল দাস, জসিম উদদীন হল সংসদের জিএস ইমামুল হাসান, সূর্যসেন হল সংসদের ভিপি মারিয়াম জামান খান, সূর্যসেন হলের সহ-সভাপতি রাইসুল ইসলাম, নাহিদ হাসান, বিজয় একাত্তর হল শাখা ছাত্রলীগের গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক তারেক রহমান এলিট, বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উপ-প্রচার সম্পাদক মহসিন আলম তালুকদার, সহ-সম্পাদক হাসান রাহাতের নেতৃত্বে হামলা করা হয়।
ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল বলেন, ছাত্রলীগের ঢাবি শাখার সভাপতি সনজিতের নেতৃত্বে আমাদের ওপর হামলা হয়েছে। আমাদের মোবাইল ও বাইক ছিনতাই করা হয়। আমরা এর বিচার দাবি করছি।এ বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রলীগের ঢাবি শাখা সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি এ সময় কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে অবস্থান করছিলেন বলে জানান।