টাওয়ার হ্যামলেট কেয়ারর্স এসোসিয়েশন নামে দুটি সংগঠন বারায় তাদের কর্মসূচি ও সাংগঠনিক কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। এর একটির নেতৃত্বে রয়েছেন আবুল হোসেন ও অপরটির নেতৃত্বে জগলুল খাঁন।
সম্প্রতি জগলুল খানের নেতৃত্বাধীন সংগঠন আবুল হোসেনের নেতৃত্বাধীন সংগঠনের সাথে ঐক্য প্রক্রিয়া চলছিল। এরই মধ্যে জগলুল খানের নেতৃত্বাধীন অংশে দেখা দেয় মতবিরোধ। ফলশ্রুতিতে ৪জন ডাইরেক্টরের পৃষ্ঠপোষকতায় গত ১০ অগাস্ট একই ব্যানার ও লগো ব্যবহার করে আলতাফুর রহমান মাসুককে সভাপতি ও বাবুল তালুকদারকে সাধারণ সম্পাদক করে নতুন কার্যকরী কমিটি গঠন করে।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে টাওয়ার হ্যামলেট কেয়ারার এসোসিয়েশন গত ১৮ সেপ্টেম্বর এক সভায় ৪ জনকে শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারনে বহিস্কার করে সংগঠনের নাম, লগো, ব্যানার ও প্যাড ব্যবহার না করার আহ্বান জানিয়ে সংবাদপত্রে প্রকাশের জন্য বিবৃতি দেয়া হয়েছে।বহিস্কৃতরা হলেন আলতাফুর রহমান মাসুক, এ কে এম হেলাল, ফিরোজ মুহাম্মাদ আহমেদ ও আব্দস শুকুর।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘টাওয়ার হামলেট কেয়ারার এসোসিয়েশন লিমিটেড ইংল্যাণ্ড এবং ওয়েলস কোম্পানী হাউজের বিধিসম্মত একটি নিবন্ধিত সংস্হা । আমাদের নিবন্ধন নং-০৭৭৯১৯১১, কোম্পানী নিবন্ধনের তারিখ ২৯শে সেপ্টেম্বর ২০১১,।আমাদের এসোসিয়েশন এর সংবিধানুযায়ী প্রতি দুবছর অন্তর কমিটি গঠিত হয়ে থাকে এধারার ব্যত্যয় ঘটেনি কখনো।
এবছরেও সকলের অংশগ্রহণে এসোসিয়েশন পরিচালনা কমিটি গঠিত হয়। নির্বাচিত কমিটিকে এসোসিয়েশনের কিছু বিপথগামী সদস্যরা প্রত্যাখ্যান করে এসোসিয়েশনের সংবিধান বিরোধী একটি নতুন কমিটি গঠন করে বিভিন্ন সামাজিক ও মিডিয়ার মাধ্যমে আমাদের প্রকৃত কমিটি ও এসোসিয়েশনের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। যা কোম্পানী আইন ও আমাদের এসোসিয়েশনের আভ্যন্তরীণ সংবিধান বিরোধী ।’
তাছাড়াও একই কোম্পানির নাম, লগো এবং প্যাড ব্যবহারের মাধ্যমে সভা-সমাবেশ ও একই এসোসিয়েশনর সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়।
আর সেজন্য টাওয়ার হামলেট কেয়ারার এসোসিয়েশন একটি জরুরী সাধারণ সভার মাধ্যমে সকল পরিচালক ও সাধারণ সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে এবং কোম্পানি রেজুলেশনের মাধ্যমে বিদ্রোহী চরজনের পরিচালনা পদ ও সাধারণ সদস্য পদ বাতিলের মাধ্যমে তাদেরকে কোম্পানী হতে বহিস্কার করা হয় বরে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
টাওয়ার হামলেট কেয়ারার এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে,বিলেতের বাংলা মিডিয়া তাদের কোম্পানির নামে সংবাদ পরিবেশন করতে যেন একটু যাচাই করে দেখার জন্য বিবৃতিতে অনুরোধ করা হয়েছে ।তাছাড়া টাওয়ার হামলেট বারার যথাযথ কতৃপককওে তারা এব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্তা নিতে অনুরোধ করেছেন বিবৃতিতে ।
টাওয়ার হামলেট কেয়ারার এসোসিয়েশনের সকল সদস্যদের প্রতি অনুরোধ করা হয়েছে, বহিস্কৃতদের অপপ্রচারে তারা যেন বিভ্রান্ত না হোন। সবশেষে তারা উল্লেখ করেছেন, ‘যদি আমাদের এ কোম্পানির নাম, লগো এবং প্যাড ব্যাবহার করেন তাহলেই আমরা আইনানুগ ব্যবস্তা নিতে বাধ্য হবো, কারণ আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল তবে তারা বিকল্প নাম দিয়ে কোম্পানী বা সংস্হা গঠনে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।’