জনপ্রিয় লেখক ড. জাফর ইকবাল জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বাংলাদেশের শিরোনাম ও বিশ্বনেতা বলে অবিহিত করেছেন। ৮ সেপ্টেম্বর, রোববার শাবি আইসিটি ভবনে তার সঙ্গে সিলেট সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্ররা মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আলোচনা করার সময় তিনি এ কথা বলেন। ওই সময় বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন ড. জাফর ইকবাল।
ড. জাফর ইকবাল বলেন, দীর্ঘ নয় মাস পাকিস্তানিরা আমাদের উপর অত্যাচার চালিয়েছে, বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষনার ফলে বাঙালিরা কোনরকম পূর্বপ্রস্তুতি ছাড়া শুধুমাত্র মনোবল ও দেশপ্রেমের উপর ভিত্তি করে যুদ্ধে যাপিয়ে পড়ে ও দেশকে স্বাধীন করে।
মুক্তিযুদ্ধকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদসহ অন্য নেতাদের কূটনৈতিক সম্পর্কের মাধ্যমে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সহযোগীতায় দেশের মানুষের যে লাভ হয়েছে তা কখনো ভুলার নয়!
মুক্তিযুদ্ধ ও এর বহমান আদর্শকে লালন ও চর্চা প্রসঙ্গে ছাত্র প্রতিনিধিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের তথ্য ও ঘটনাবলি যেকোন মাধ্যম থেকে তোমরা জানতে পারবে, তবে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে তার উপলব্দি। মুক্তিযুদ্ধকে শুধু হৃদয়ে ধারণ করলে হবেনা তাকে উপলব্দি করতে হবে।
সকাল ১১ টার দিকে সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কবির খান এর নেতৃত্বে শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিরিধি দল অধ্যাপক জাফর ইকবালের সঙ্গে দেখা করে। প্রতিনিধি দলের মধ্যে ছিল, সাঈম রাইয়ান, নাবিল আবেদিন খান, অবিনাশ সিংহ রুদ্র, ইশতিয়াক আহমদ, সামিউল হক সাকিব, ইহতিশাম ইসলাম আলফি, রাহুল দাস নিপম, হিমেল তালুকদার দীপ, মুগ্ধ সৈনাক সরকার ও ফারহান উদ্দিন আহমদ চৌধুরী। এ সময় শিক্ষকদের মধ্যে সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক বাদল চন্দ্র বর্মন উপস্থিত ছিলেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কবির খান বলেন, শিক্ষার্থীদের দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করতে মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সর্বপরি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান জানার বিকল্প নেই। মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযুদ্ধের মৌলিক আদর্শগুলো জানাতে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীরা জানিয়েছে তারা এরকম আলোচনায় অংশ নিতে পেরে অনেক কিছু জানতে পেরেছে। যা তাদের ভবিষ্যত জীবনে পাথেও হয়ে থাকবে।