লন্ডনে ভারতীয় হাইকমিশনের বাইরে বিক্ষোভ হয়েছে। এ সময় বিক্ষোভকারীরা হাইকমিশনের ভবন লক্ষ্য করে ডিম, টমেটো, পাথর, বোতল ছুড়েছে। এতে বেশ কয়েকটি জানালা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কাশ্মীরে স্বায়ত্তশাসন বাতিলের প্রতিবাদে মঙ্গলবার এই বিক্ষোভ হয়। এতে প্রায় ১০ হাজার বৃটিশ নাগরিক অংশ নেন বলে জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।
কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এটি এমন দ্বিতীয় বিক্ষোভ। রিপোর্টে বলা হয়েছে, বৃটেনের বিভিন্ন স্থানে বসবাসকারী শত শত মানুষ বাসে করে রাজধানী লন্ডনে সমবেত হন। এরপর তারা বিক্ষোভ করেন।
আয়োজন করে বৃটিশ কাশ্মীরি গ্রুপ। বিক্ষোভের নাম দেয়া হয় ‘কাশ্মীর ফ্রিডম মার্চ’। পার্লামেন্ট চত্বর থেকে তা শুরু হয়ে ডাউনিং স্ট্রিট অতিক্রম করে ভারতীয় হাই কমিশনের সামনে গিয়ে সমবেত হয় ওই বিক্ষোভ। এতে নেতৃত্ব দেন বৃটেনের বিরোধী দল লেবারের কিছু এমপিও। বিক্ষোভকারীদের হাতে ছিল আজাদ কাশ্মীর ও খালিস্তানের পতাকা ও প্লাকার্ড। এতে লেখা ছিল ‘কাশ্মীরে গোলা নিক্ষেপ বন্ধ কর’ ‘দখলদারিত্ব বন্ধ কর’ ‘কাশ্মীর ইস্যুতে এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে জাতিসংঘকে’ ‘কাশ্মীরে যুদ্ধাপরাধ বন্ধ কর’। এ ছাড়া ‘আমরা স্বাধীনতা চাই’ এবং ‘আজাদী’ স্লোগান দিতে থাকেন তারা।
বিক্ষোভে নেতৃত্বদানকারী বৃটেনের বার্মিংহাম হগ হিলের লেবার দলীয় এমপি লিয়াম বায়ার্ন ভারতকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, আপনারা একটি পার্লামেন্টের কণ্ঠকে স্তব্ধ করার চেষ্টা করতে পারেন। কিন্তু মানুষের কণ্ঠকে স্তব্ধ করতে পারেন না। আমাদের শহরগুলোতে এবং জাতিসংঘে বিক্ষোভ অব্যাহত রাখবো, যতক্ষণ না কাশ্মীরের মানুষের প্রতি ন্যায়বিচার করা হবে। সঙ্কট সমাধানে দ্বিপক্ষীয় সমঝোতার বিষয়টি এখন মৃত। এখন সমাধান হতে হবে বহুপক্ষীয়। এ ছাড়া বায়ার্ন একটি পিটিশনে মানুষের নাম সংগ্রহের পরিকল্পনা করছেন, যা তুলে দেয়া হবে হাউজ অব কমন্সে। তাতে বৃটিশ সরকারকে আহ্বান জানানো হবে কমনওয়েলথ ও জাতিসংঘের মাধ্যমে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা, বেসামরিকীকরণ, যোগাযোগ পুনঃস্থাপন করতে। সেখানে অবিলম্বে মানবাধিকারের পর্যবেক্ষকদের প্রবেশের অনুমতি দিতে ভারত সরকারের কাছে জরুরি ভিত্তিতে আহ্বান জানাতে বলা হবে।
এই বিক্ষোভ থেকে কোনো ব্যক্তিকে টার্গেট করা হয়নি। তবে বিক্ষোভকারীরা ভারতীয় হাইকমিশনকে লক্ষ্য করে ডিম, টমেটো, জুতা, ইটপাথর, ধোয়া বোমা ও বোতল ছুড়েছে। এতে হাইকমিশনের বেশ কয়েকটি জানালা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। টুইটারে এসব জানালার ছবি পোস্ট করেছে হাইকমিশন। লন্ডনের মেট্রোপলিটন পুলিশের মুখপাত্র বলেছে, এ ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে দু’জনকে। লন্ডনের মেয়র সাদিক খান টুইটে হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি এমন আচরণকে অগ্রহণযোগ্য বলে আখ্যায়িত করেছেন।