যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে দুর্বৃত্তের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন বাংলাদেশি এক যুবক।নিহত মোহাম্মদ শাহেদ উদ্দিনের(২৭) বাড়ি বাংলাদেশের সন্দীপে।শাহেদ যুক্তরাষ্ট্র মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি বাবরউদ্দিনের ছেলে। তিনি ছিলেন ৫ ভাইয়ের মাঝে দ্বিতীয়।
জ্যামাইকার একটি নাইট ক্লাবের সামনে ওই হামলায় তার সঙ্গে আরও দুজন আহত হয়েছেন। তাদের একজন বাংলাদেশের সিলেটের বিয়ানীবাজারের ২০ বছরের তরুণ ইজু, অন্যজন অবাঙালি।
সোমবার ভোররাতে রিচমন্ড হিল এলাকার ১৩০ স্ট্রিট এবং ৯২ এভিনিউতে এই ঘটনাটি ঘটে।
নিউ ইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্টের সূত্র উল্লেখ করে নিউইয়র্কের একজন সাংবাদিক জানান, নাইট ক্লাবের সামনে বিবাদমান দুই পক্ষের ঝগড়ার এক পর্যায়ে গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে।
বুকে গুলিবিদ্ধ শাহেদকে জ্যামাইকা হাসপাতালে নেওয়া হলেও তাকে বাঁচানো যায়নি। পায়ে ও পিঠে গুলিবিদ্ধ অন্য দুজন ওই হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
ময়না তদন্ত শেষে মঙ্গলবার শাহেদের লাশ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে। তাকে নিউ জার্সিতে সন্দ্বীপ সোসাইটির কবরস্থানে দাফন করা হবে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
এই ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। তবে দুর্বৃত্তদের ধরতে পুলিশ এলাকাবাসীর সহযোগিতা চেয়েছে।
জানা যায়, হত্যাকান্ড ঘঠার কয়েক ঘণ্টা আগে শাহেদসহ আরও অনেকে একটি অনুষ্ঠানে ছিলেন। সেখান থেকেই বাসায় ফেরার আগে কয়েকজন ওই ক্লাবে গিয়েছিলেন।এবং এক পর্যায়ে হানাহানির ঘটনা ঘটে।
এই ঘটনায় পুরো কমিউনিটি হতভম্ব হয়ে পড়েছে, শোকের ছায়া পড়েছে নিউইয়র্কের বাঙ্গালি পাড়ায়।
উল্লেখ করা যেতে পারে, ৫ বছর আগে ২০১৪ সালের ১৪ জুলাই ওজন পার্ক এলাকায় একটি নাইট ক্লাবের সামনে পিটিয়ে হত্যা করা হয় যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতা নজমুল ইসলামকে। তাঁর ঘাতকদের বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি হয়েছে।
২০১৬ সালের ১৩ ই আগষ্ট লিবার্টি এভিনিউ এবং এইটি ষ্ট্রীটের মাঝামাঝি ইমাম আকন্জি ও মুসল্লি তারা মিয়াকে দুর্বত্তরা হত্যা করে। ২০১১ সালের ১১ আগষ্ঠ সিটি লাইনের ফরবেল ষ্ট্রীটে( বর্তমান নাম মিজান ওয়ে) নিহত হন সাংবাদিক মিজানুর রহমান।