মহান মুক্তিযুদ্ধ থেকে এখন পর্যন্ত সনাতন ধর্মের মানুষ নানা সময়ে মাতৃভূমি ছেড়ে যেতে হয় নিরাপত্তার জন্য। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা যারা লাগাতে চায় তাদেরকে আইনের আওতায় এনে কঠোর বিচার করতে হবে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবীতে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের দ্বি বার্ষিক মহাসম্মেলনে এসব বলেছেন বক্তারা।
শুক্রবার আবুধাবীর একটি কনফারেন্স হলে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন রূপস দাস।
শুক্রবার আবুধাবির একটি কনফারেন্সে হলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সমিতি ফুজিরা শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী প্রকৌশলী তপন সরকার। প্রধানবক্তা ছিলেন প্রকৌশলী সুবোধ চৌধুরী শিবু।
মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন আল আইন মরুতীর্থ প্রবাসী গীতা সংঘের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জগদীশ্বরানন্দ পুরি মহারাজ। শুরুতে আমিরাত ও বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুরু হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে গীতা পাঠ করেন রাজু পাল।
সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব সঞ্জয় শীল। বক্তব্য রাখেন এসকে কাঞ্চন, কিশোর চক্রবর্তী, সনজিৎ মহাজন’ শিবলু দাস,সাংবাদিক সঞ্জীত কুমার শীল, সুবীর কান্তি দে বিটন, সুজন শর্মা, সজল চৌধুরী, সনজিৎ মহাজন’, রাখাল শীল, জগদীশ শীল অপু দাস, প্রসেনজিৎ শীল ও রাজীব কান্তি শীল সহ আরো অনেকে।
বক্তারা বলেন বাংলাদেশে নির্যাতিত সনাতনীদের পাশে দাঁড়ানো সংগঠনের মূল উদ্দেশ্য। জাতীয় হিন্দু মহাজোট সরকারের নিবন্ধিত সংগঠন। এই সংগঠনের মাধ্যমে প্রবাস থেকে নির্যাতিত-নিপীড়িত শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ানোর পাশাপাশি তাদেরকে সহায়তা করা বাল্য বিবাহ বন্ধ করা, শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন করা, মানব জাতির কল্যাণে কাজ করা,সরকারের সাথে সহযোগিতা করা, হিন্দুদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা এমনকি যেকোনো সময়ে তাদের নির্যাতনের বন্ধ করার জন্য সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।গান পরিবেশন করেন শিপন সিকদার সুমনের দল।
সম্মেলনে ইঞ্জিনিয়ার তপন সরকারকে সভাপতি, রূপক দাশকে নির্বাহি -সভাপতি, সঞ্জয় শীলকে সাধারণ সম্পাদক, সঞ্জিত কুমার শীলকে সাংগঠনিক সম্পাদক মনোতোষ শীলকে অর্থ সম্পাদক করে ১০১ সদস্য বিশিষ্ট কার্যকরী কমিটি ঘোষণা করা হয়। অনুষ্ঠান শেষে বিশ্বের শান্তি কামনায় প্রার্থনা ও রাত্রি ভোজের আয়োজন করা হয়।