রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ খ্রীষ্টাব্দ | ২৭ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
https://blu-ray.world/ download movies
সর্বশেষ সংবাদ
বৈশ্বিক পাসপোর্ট সূচকে কিছু উন্নতি : ফিলিস্তিন-লিবিয়ার অবস্থানে বাংলাদেশ  » «   সমাজসেবী হাজী আব্দুর রহমানের ইন্তেকাল  » «   বাংলা একাডেমির ‘আদব-কায়দা’ নিয়ে প্রশ্ন তুললেন সলিমুল্লাহ খান  » «   সুরভি-র ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন  » «   বরের পিতা আওয়ামী লীগ নেতা, চট্টগ্রামে বিয়ের অনুষ্ঠানে ‘মব’ তাণ্ডব  » «   বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে ৬৩ যুগলের যৌতুকবিহীন গণবিয়ে  » «   মার্কিন অর্থায়ন বন্ধের প্রভাব : আইসিডিডিআর,বি’র সহস্রাধিক কর্মী ছাঁটাই হচ্ছে  » «   ‘মধুচন্দ্রিমা শেষ’, প্রত্যাশার চাপ বাড়ছে অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর: আইসিজি  » «   সবচেয়ে দরিদ্র জেলা মাদারীপুর, ধনী নোয়াখালী  » «   হেলিকপ্টারের সঙ্গে বিমানের সংঘর্ষ : ৬৪ জন যাত্রী ও ক্রুর ভাগ্যে কী ঘটেছে  » «   ভারতীয় বিতর্কিত সিনেমা ‘ইমার্জেন্সি’: শেখ মুজিবের মুখে এ কী সংলাপ? : ব্রিটেনে বিক্ষোভ  » «   প্রধান উপদেষ্টাকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানালেন নরেন্দ্র মোদি  » «   চরমোনাই পীরের অফিসে গিয়ে মির্জা ফখরুলের বৈঠক: ফ্যাসিবাদী শক্তি ঠেকাতে ঐক্যমত  » «   স্থগিত হওয়া বাংলা একাডেমি পুরস্কার, প্রত্যাখান সেলিম মোরশেদের  » «   দেশে সেনাশাসন আসার কোনো প্রেক্ষাপট নেই দাবি মাহফুজ আলমের  » «  
সাবস্ক্রাইব করুন
পেইজে লাইক দিন

২১ আগস্টের ঘটনা ছিল গভীর নীলনকশার অংশ : রিজভী



সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের সমালোচনার জবাবে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী বলেছেন, যে কোনো সরকারের আমলে কখনও কখনও অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু ঘটনা ঘটে যার জন্য সে সরকার দায়ী হতে পারে না। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বহুমুখী চক্রান্তকারী এজেন্টরা দেশে-দেশে নানা নাশকতা করেছে।

তিনি বলেন, ‘২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার জন্য যদি বিএনপি দায়ী হয়, তাহলে পিলখানা হত্যাকাণ্ডের জন্য কেন আওয়ামী লীগ সরকার দায়ী হবে না?’

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

রিজভী বলেন, কেবল প্রধানমন্ত্রী বা ক্ষমতাসীন দলের নেতারাই নন, আমরা বিস্মিত হয়েছি যখন দেখেছি দু-একটি পত্রিকা এবং সরকারি নেতাদের মালিকানাধীন টেলিভিশনে ইনিয়ে বিনিয়ে বেসামাল ভাষায় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের ওপর দোষ চাপাতে অক্লান্ত চেষ্টা চালিয়েছে। কিন্তু প্রকৃত সত্য, প্রকৃত ঘটনা এভাবে মিথ্যাচার আর অপপ্রচারের মাধ্যমে জনগণের কাছে বিশ্বাসযাগ্য করা যাবে না। জাতীয়তাবাদী নেতাদের বিরুদ্ধে এহেন মিথ্যা অপপ্রচার অতীতেও হয়েছে। নবাব সিরাজউদ্দৌলাকে হেয়প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে সাম্রাজ্যবাদীরা ‘অন্ধকূপ হত্যা’ কাহিনি রচনা করেছিল। পরে গবেষণামূলক গ্রন্থেও এ কাহিনির অসত্যতা ও অবাস্তবতা বেরিয়ে এসেছে। এটি তৎকালীন সাম্রাজ্যবাদী শাসকগোষ্ঠীর মিথ্যা প্রচার বলে প্রমাণিত হয়েছে। দেশে দেশে দখলদার সাম্রাজ্যবাদী গোষ্ঠী ও তাদের স্থানীয় অনুচররা সব সময় প্রহসন, মিথ্যাচার ও অন্তর্ঘাতকেই হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছে।

রিজভী বলেন, আমরা প্রথম থেকেই দেখছি- আওয়ামী লীগ ২১ আগস্ট বোমা হামলা মামলা নিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত রাজনীতি করছে। মূলত ২১ আগস্টের ঘটনা ছিল গভীর নীলনকশার অংশ, যে নীলনকশার সঙ্গে তৎকালীন ক্ষমতাসীনরা জড়িত কি না তা নিয়ে জনমনে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। এ মামলার সামগ্রিক সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ তদন্ত হলে প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসতো। কিন্তু তা না করে সুপরিকল্পিত নীলনকশা অনুযায়ী এ ঘটনাকে ন্যক্কারজনক কায়দায় সম্পূর্ণ রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করে ফায়দা নেয়ার চেষ্টা করে আসছে আওয়ামী লীগ। তার বড় প্রমাণ কথিত সম্পূরক চার্জশিটের নামে এ মামলায় তারেক রহমানকে জড়িয়ে ফরমায়েশি রায়ে সাজা দেয়া, যা ছিল সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, গভীর ষড়যন্ত্রমূলক ও দীর্ঘদিনের মাস্টার প্ল্যানের ফসল। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের জনসভায় গ্রেনেড হামলায় হতাহতের ঘটনা মর্মস্পর্শী ও হৃদয়বিদারক। আইভি রহমানসহ অনেক নারী- পুরুষের জীবননাশ ও আহত হওয়ার নৃশংস ঘটনায় আমরা তখনও নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছি- এখনও জানাই।

তিনি বলেন, তারেক রহমানসহ বিএনপি সরকারের মন্ত্রী ও নেতাদের নাম চার্জশিটে অন্তর্ভুক্ত করা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। কারণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্দোলনের ফসল মইনউদ্দিন-ফখরুদ্দিন সরকারের সময়ও এ মামলার চার্জশিটে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নাম ছিল না। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর তাদের একান্ত অনুগত, বিশ্বস্ত ও দলীয় লোক আব্দুল কাহ্হার আকন্দকে তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হয় শুধু বিএনপি নেতাদের বিপদাপন্ন করার জন্য। তার আগেই কাহ্হার আকন্দ পুলিশ ডিপার্টমেন্ট থেকে অবসরে গিয়ে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন। এমনকি ২০০৮ সালে জাতীয় নির্বাচনে নৌকার পক্ষে কাজ করেছেন।

রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ও প্রতিহিংসা পূরণের জন্য তাকে পুলিশ বিভাগে ফের ২০০৯ সালে নিয়োগ দিয়ে এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা করা হয়। দলীয় চেতনার তদন্ত কর্মকর্তা কাহ্হার আকন্দকে নিয়োগ দেয়ার উদ্দেশ্যই ছিল এ মামলায় তারেক রহমানকে জড়ানো।

 

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন