রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে বৃহস্পতিবার। বুধবার (২১আগষ্ট) বিকেলে পরররাষ্ট্র মন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন গণমাধ্যমকে এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সম্প্রতি রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের বিষয়ে সম্মত হয় বাংলাদেশ ও মিয়ানমার। বাংলাদেশের দেওয়া ২২ হাজার রোহিঙ্গার তালিকা থেকে তিন হাজার ৫৪০ জনকে ফিরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় মিয়ানমার।
দুই দেশের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে গত ১৫ আগস্ট বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়।
সেনাবাহিনীর নিপীড়ন ও হত্যাযজ্ঞের কারণে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ রয়েছে।
২০১৮ সালে বাংলাদেশ ও জাতিসংঘের সঙ্গে আলাদা চুক্তি করে মিয়ানমার। চুক্তি অনুযায়ী গত বছরের ১৫ নভেম্বর রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের তারিখ থাকলেও রোহিঙ্গারা যেতে অস্বীকৃতি জানায়। কারণ হিসেবে সেখানে আবারও হামলার আশঙ্কা প্রকাশ করে তারা।
প্রায় এক বছর আগে নেওয়া উদ্যোগ ব্যর্থ হওয়ার পর নতুন করে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের কর্মকর্তারা।
মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মিয়ান্ট থো তখন জানান, ‘২২ আগস্ট ৩ হাজার ৫৪০ জন রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নিতে সম্মত হয়েছি আমরা’।
গত মাসে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করে মিয়ানমারের পররাষ্ট্র সচিব মিন্ট থোয়ের নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি দল। তারা দুই দিন ধরে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে আলোচনা ও বৈঠক করে। এসব বৈঠকে রোহিঙ্গাদের পক্ষ থেকে ফিরে যাওয়ার ক্ষেত্রে মিয়ানমারের নাগরিকত্ব ও চলাফেরায় স্বাধীনতার দাবি পুনর্ব্যক্ত করা হয়।