সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ২৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
https://blu-ray.world/ download movies
সর্বশেষ সংবাদ
বাংলাদেশে ব্রিটিশ-বাংলাদেশিদের সম্পদ সুরক্ষায় অন্তবর্তীকালীন সরকারকে জরুরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে  » «   ইস্টহ্যান্ডস চ্যারিটির উদ্যোগে ক্যাপাসিটি বিল্ডিং কর্মশালায় বিভিন্ন পেশার মানুষের অংশগ্রহণ  » «   হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিমের  বিরুদ্ধে নীতিহীন কর্মকান্ডের অভিযোগ  » «   সাংবাদিক ক্যারলকে গ্লোবাল জালালাবাদ ফ্রান্সের বিশেষ সম্মাননা প্রদান  » «   গ্লোবাল জালালাবাদ এসোসিয়েশনের আন্তর্জাতিক জালালাবাদ উৎসব প্যারিস অনুষ্ঠিত  » «    সাকিব : নক্ষত্রের কক্ষচ্যুতি  » «   লন্ডনে ইউরোপের সবচেয়ে বড় ঐতিহ্যবাহী চাটগাঁয়ে মেজবান ৬ অক্টোবর রবিবার  » «   ১১তম মুসলিম চ্যারিটি রান ২০ অক্টোবর ভিক্টোরিয়া পার্কে  » «   ৭৫ শেফ এর অংশগ্রহণে বিসিএর শেফ অব দ্যা ইয়ার প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত  » «   ৩০ বছরেও ধরা পড়েনি কোনো আসামী, বিচারের দাবীতে মেয়ের সংবাদ সম্মেলন  » «   ইস্টহ্যান্ডসের ফ্রি স্মার্ট ফোন পেলেন ৪০ জন  » «   সম্মিলিত সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদ যুক্তরাজ্য পদক ২০২৪’পেলেন কবি, সাহিত্যিক ও সংগঠক ফারুক আহমেদ রনি  » «   টাওয়ার হ্যামলেটসে হোমলেসনেস-এর প্রস্তাবিত নতুন পলিসি সাসপেন্ড করেছেন নির্বাহী মেয়র লুৎফুর  » «   লন্ডনে বিসিএ এ্যাওয়ার্ডস ২৮ অক্টোবর থাকছে নানা চমকপ্রদ আয়োজন  » «   বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৩২নং বাসভবন ভস্মীভূত এবং ভাস্কর্য ভাংচুরের নিন্দা ও প্রতিবাদ  » «  
সাবস্ক্রাইব করুন
পেইজে লাইক দিন

মনসা পূজোর জন্যে আবার প্রস্তুত সিকদার বাড়ি



সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

মনসা হলেন একজন লৌকিক হিন্দু দেবী। তিনি সর্পদেবী। প্রধানত বাংলা অঞ্চল এবং উত্তর ও উত্তরপূর্ব ভারতের অন্যান্য অঞ্চলে তাঁর পূজা প্রচলিত আছে। সর্পদংশনের হাত থেকে রক্ষা পেতে, সর্পদংশনের প্রতিকার পেতে, প্রজনন ও ঐশ্বর্যলাভের উদ্দেশ্যে তাঁর পূজা করা হয়। মানুষের মনের পশু দমনে এ দেবীর উদ্দেশ্যে পাঁঠা, কচ্ছপ, ভেড়া ফল ফলাদি বলি করা হয়। অনেক হিন্দু মনসা পূজায় পাঁঠা বলি করেন না। তারা দুধ কলা ও ফলমূল দিয়ে দেবীর পূজা করেন, এই পূজাকে ‘সাদা পূজা’ বলা হয়। যারা পাঁঠা বলি দেন তাদের পূজা লাল পূজা।

  • প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরো শিকদার বাড়িতে ২ দিন ব্যাপী ঐতিহ্যবাহী শ্রী শ্রী মনসাদেবীর পূজা করা হবে আগামিকাল (১৮ আগস্ট ২০১৯) l পূর্বপুরুষের আমল থেকেই অনেক খ্যাত ছিল চট্টগ্রাম জেলার রাউজান থানার খৈয়াখালী গ্রামের শিকদার বাড়ির মনসা পূজা l দূর্গাপূজার মতোই জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে আয়োজন করা হয় এই পূজার l দুই দিন ব্যাপী চলে নানা ধরণের আয়োজন l পূর্বপুরুষের রীতি অনুযায়ী প্রতিবছর প্রথম দিন অনুষ্ঠিত হয় বলি ও মনসা পুঁথি পাঠ l আর দ্বিতীয় দিন থাকে দেবীর আরতি ও বন্দনা। এসবকিছুর আয়োজনের পিছনে রয়েছে, শিকদার বাড়ির উত্তরসূরিরা l তাছাড়া এভাবে প্রতিমা ও মঞ্চ করে দুই দিন ব্যাপী মনসা পূজা, চট্টগ্রামে কোথাও করা হয় না।

এই বছর সিকদার বাড়ির মনসা দেবীর প্রতিমা তৈরি করেছেন ফরিদপুর থেকে আগত মৃৎশিল্পী প্রহ্লাদ কুমার পাল।

পূর্বপুরুষের এই ঐতিহ্য ধরে রাখতে যারা অক্লান্ত শ্রম ও সহযোগিতা করেন তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকজন হলো বাদল সিকদার, বিমল সিকদার, মন্টু সিকদার, পরিমল সিকদার, কৃষ্ণ সিকদার, বিশু সিকদার ও বাসু সিকদার।

পুজোর সকল কাজ ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষার্থে নিয়োজিত রয়েছেন সিকদার বাড়ির বর্তমান প্রজন্ম চন্দন সিকদার, নারায়ণ সিকদার, সুমন সিকদার, নির্জর সিকদার, ছোটন সিকদার, জিতু সিকদার, কাঞ্চন সিকদার, মিঠুন সিকদার ও রাসেল সিকদার।

এ পুজোর বিষয়ে, পরিমল সিকদার জানান, প্রায় একশ বছর ধরে চলে আসছে, সিকদার বাড়ির এই ঐতিহ্যবাহী মনসা পূজা। সিকদার বাড়ির পুজো তে শুধু সিকদার বাড়ির লোকেরাই নয়, গোটা গ্রাম থেকেই লোক আসেন পূজা দেখতে । সমস্ত বিধি বিধান মেনে, দুই দিন ব্যাপী এই পূজাটি করা হয়, আর পূজা শেষে, মনসা দেবী, লক্ষিন্দর ও বেহুলার মূর্তি বিসর্জন ও দেয়া হয়। এই দুই দিন গোটা সিকদার বাড়ি একটি ছোট মিলনমেলায় পরিণত হয়, আর সাজানো বাড়িতে থাকে, সকল জাতি-ধর্মের লোকদের আশা যাওয়া । সব ধর্মের উর্ধে যে মানব ধর্ম, সেটাকেই বাঁচিয়ে রাখতে, প্রতিবছর এমন করেই পূজার অপেক্ষায় থাকেন গোটা সিকদার বাড়ি ।


সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন