বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫ খ্রীষ্টাব্দ | ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
আদালত চত্বরে মমতাজের উপর ডিম নিক্ষেপ, প্রশাসন নীরব  » «   রোমে সেন্তসেল্লে ঐক্য পরিষদের বর্ণাঢ্য বৈশাখী উৎসব  » «   তর্ক-বিতর্কে মানুষকে ছাড়িয়ে যেতে পারে এআই: গবেষণার এই ফল উদ্বেগের  » «   অন্তর্বর্তীকালীন সরকার মৌলিক স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন করেছে, জানালো হিউম্যান রাইটস ওয়াচ  » «   মব ভায়োলেন্সের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা: সেনাপ্রধান  » «   কক্সবাজারে কেন মার্কিন সেনা?  » «   করিডর নয় এবার `ত্রাণ চ্যানেল’র কথা জানালেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা  » «   বানু মুশতাক পেলেন বুকার পুরস্কার  » «   সুরমা-কুশিয়ারায় বাড়ছে পানি, আপাতত বন্যার আশঙ্কা নেই  » «   স্টারলিংক সংযোগ কীভাবে নেবেন?  » «   রেমিটেন্সে ট্রাম্পের কর প্রস্তাব, বড় ধাক্কার মুখে বাংলাদেশ  » «   ‘শুনানির’ দুই দিন আগেই জামিন পেলেন নুসরাত ফারিয়া  » «   বাংলাদেশে স্টারলিংকের আনুষ্ঠানিক যাত্রা, খরচ কত?  » «   অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়া বিমানবন্দর থেকে কারাগারে: ইন্টেরিমের প্রতি শিল্পীদের ক্ষোভ ও তিরস্কার  » «   বিশ্বরেকর্ড গড়ে এভারেস্ট জয় করলেন বাংলাদেশি শাকিল  » «  

মনসা পূজোর জন্যে আবার প্রস্তুত সিকদার বাড়ি



মনসা হলেন একজন লৌকিক হিন্দু দেবী। তিনি সর্পদেবী। প্রধানত বাংলা অঞ্চল এবং উত্তর ও উত্তরপূর্ব ভারতের অন্যান্য অঞ্চলে তাঁর পূজা প্রচলিত আছে। সর্পদংশনের হাত থেকে রক্ষা পেতে, সর্পদংশনের প্রতিকার পেতে, প্রজনন ও ঐশ্বর্যলাভের উদ্দেশ্যে তাঁর পূজা করা হয়। মানুষের মনের পশু দমনে এ দেবীর উদ্দেশ্যে পাঁঠা, কচ্ছপ, ভেড়া ফল ফলাদি বলি করা হয়। অনেক হিন্দু মনসা পূজায় পাঁঠা বলি করেন না। তারা দুধ কলা ও ফলমূল দিয়ে দেবীর পূজা করেন, এই পূজাকে ‘সাদা পূজা’ বলা হয়। যারা পাঁঠা বলি দেন তাদের পূজা লাল পূজা।

  • প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরো শিকদার বাড়িতে ২ দিন ব্যাপী ঐতিহ্যবাহী শ্রী শ্রী মনসাদেবীর পূজা করা হবে আগামিকাল (১৮ আগস্ট ২০১৯) l পূর্বপুরুষের আমল থেকেই অনেক খ্যাত ছিল চট্টগ্রাম জেলার রাউজান থানার খৈয়াখালী গ্রামের শিকদার বাড়ির মনসা পূজা l দূর্গাপূজার মতোই জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে আয়োজন করা হয় এই পূজার l দুই দিন ব্যাপী চলে নানা ধরণের আয়োজন l পূর্বপুরুষের রীতি অনুযায়ী প্রতিবছর প্রথম দিন অনুষ্ঠিত হয় বলি ও মনসা পুঁথি পাঠ l আর দ্বিতীয় দিন থাকে দেবীর আরতি ও বন্দনা। এসবকিছুর আয়োজনের পিছনে রয়েছে, শিকদার বাড়ির উত্তরসূরিরা l তাছাড়া এভাবে প্রতিমা ও মঞ্চ করে দুই দিন ব্যাপী মনসা পূজা, চট্টগ্রামে কোথাও করা হয় না।

এই বছর সিকদার বাড়ির মনসা দেবীর প্রতিমা তৈরি করেছেন ফরিদপুর থেকে আগত মৃৎশিল্পী প্রহ্লাদ কুমার পাল।

পূর্বপুরুষের এই ঐতিহ্য ধরে রাখতে যারা অক্লান্ত শ্রম ও সহযোগিতা করেন তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকজন হলো বাদল সিকদার, বিমল সিকদার, মন্টু সিকদার, পরিমল সিকদার, কৃষ্ণ সিকদার, বিশু সিকদার ও বাসু সিকদার।

পুজোর সকল কাজ ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষার্থে নিয়োজিত রয়েছেন সিকদার বাড়ির বর্তমান প্রজন্ম চন্দন সিকদার, নারায়ণ সিকদার, সুমন সিকদার, নির্জর সিকদার, ছোটন সিকদার, জিতু সিকদার, কাঞ্চন সিকদার, মিঠুন সিকদার ও রাসেল সিকদার।

এ পুজোর বিষয়ে, পরিমল সিকদার জানান, প্রায় একশ বছর ধরে চলে আসছে, সিকদার বাড়ির এই ঐতিহ্যবাহী মনসা পূজা। সিকদার বাড়ির পুজো তে শুধু সিকদার বাড়ির লোকেরাই নয়, গোটা গ্রাম থেকেই লোক আসেন পূজা দেখতে । সমস্ত বিধি বিধান মেনে, দুই দিন ব্যাপী এই পূজাটি করা হয়, আর পূজা শেষে, মনসা দেবী, লক্ষিন্দর ও বেহুলার মূর্তি বিসর্জন ও দেয়া হয়। এই দুই দিন গোটা সিকদার বাড়ি একটি ছোট মিলনমেলায় পরিণত হয়, আর সাজানো বাড়িতে থাকে, সকল জাতি-ধর্মের লোকদের আশা যাওয়া । সব ধর্মের উর্ধে যে মানব ধর্ম, সেটাকেই বাঁচিয়ে রাখতে, প্রতিবছর এমন করেই পূজার অপেক্ষায় থাকেন গোটা সিকদার বাড়ি ।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

সাবস্ক্রাইব করুন
পেইজে লাইক দিন