ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক এবং ঢাকা সিটি করপোরেশনের দুই মেয়রের কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়েছে। আজ রোববার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এক মানববন্ধন শেষে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ নামের সংগঠন এই কর্মসূচি পালন করেছে।
এডিস মশার প্রজনন ক্ষমতা সম্পর্কে ‘বালখিল্য’ মন্তব্য করার অভিযোগে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং মশা নিধনে ব্যর্থ হওয়ায় দুই সিটি মেয়রের পদত্যাগ দাবি করেছে প্রতিবাদকারীরা। এর পাশাপাশি তাঁদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগের আলটিমেটাম দিয়েছে সংগঠনটি।
বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন পদত্যাগ না করলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। ঢাকার দুই মেয়রের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তাঁদের স্থাবর ও অস্থাবর সব সম্পদের হিসাব জাতির সামনে প্রকাশ করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।
গত বৃহস্পতিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ আয়োজিত ‘ডেঙ্গু: চেঞ্জিং ট্রেন্ডস অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট আপডেট’ শীর্ষক এক বৈজ্ঞানিক সেমিনারে এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘এডিস মশার প্রজনন ক্ষমতা রোহিঙ্গাদের মতো হওয়ায় নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না।’
কুশপুত্তলিকা দাহ করার আগে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন, ‘ঢাকা দক্ষিণের মেয়র সাঈদ খোকন ঢাকাবাসীর জন্য মিনি ডাস্টবিন স্থাপন করেছেন । কিন্তু এগুলো রক্ষণাবেক্ষণ করা হচ্ছে না, ময়লাও পরিষ্কার করা হচ্ছে না৷ এসব ডাস্টবিনে জমে থাকা পানিতে মশার বংশবিস্তার করা হচ্ছে। এর দায়ভার কার? দুর্নীতির কারণেই কি রক্ষণাবেক্ষণ হচ্ছে না, নাকি মেয়র সাহেব এটাকেও গুজব বলে উড়িয়ে দেবেন?’
মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক আল মামুন বলেন, ডেঙ্গু মহামারি আকার ধারণ করেছে। একে গুজব বলে মেয়র স্বপদে থাকার বৈধতা হারিয়েছেন। মশা নিধনে সিটি করপোরেশন সম্পূর্ণ ব্যর্থ। ডেঙ্গুতে মৃত্যুবরণ করা নাগরিকদের হত্যার দায়ভার দুই মেয়রকে নিতে হবে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী তাঁর বালখিল্য বক্তব্যের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু ও দেশরত্ন শেখ হাসিনার নীতি ও আদর্শের সঙ্গে বেইমানি করেছেন, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে অবমাননা করেছেন। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও দুই মেয়র পদত্যাগ না করলে আমরা দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলব।
কুশপুত্তলিকা দাহের পর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেন তাঁরা।