পিনপতন নিরবতায় শিক্ষার্থীরা শুনলেন একজন সংগঠক ও ছাত্রনেতার প্রেরণাদায়ী বক্তব্য। অনুষ্ঠানকে নিয়ে ছিল না কোন চাকচিক্য। ছিল না বিশেষ বিশেষণের আধিক্যও। কলেজের শিক্ষার্থীরা প্রতিষ্ঠাকালীন সংগঠকের বক্তব্যে জেনেছেন কলেজ প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ের অনেক জানা-অজানানা তথ্য।প্রেরণা পেয়েছেন আগামী দিনে নিজ কলেজের জন্য ভালো কাজে সম্পৃক্ত হবার। শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে পুরো অনুষ্ঠানে ছিল সৃজনশীলতার ছাপ।
বিয়ানীবাজার আদর্শ মহিলা কলেজ প্রতিষ্ঠাকালীন অন্যতম সংগঠক, যুক্তরাজ্যপ্রবাসী বিশিষ্ট সংগঠক ছরওয়ার আহমদ ২৫ জুলাই বৃহস্পতিবার কলেজ পরিদর্শনে আসেন। পরে শিক্ষক এবং ছাত্রীদের উপস্থিতিতে অর্থনীতির প্রভাষক মোহাম্মদ খালেদ হোসেনের সঞ্চালনায় এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে তিনি বক্তব্য রাখেন। নিজের জীবনের নানা অভিজ্ঞতা ছাত্রীদের সাথে শেয়ার করেন।
বিয়ানীবাজার সরকারী কলেজ এর সাবেক ভিপি, তুমুল জনপ্রিয় পরিচ্ছন্ন সাবেক ছাত্রনেতা ছাত্রীদের উদ্দেশে বলেন, ‘মহান সৃষ্টিকর্তার উপর বিশ্বাস রেখে, সৎ থেকে চেষ্টা করো, তোমরা অবশ্যই তোমাদের অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবে। মনে রাখতে হবে, জীবনে সততার বিকল্প কিছুই নেই। সৎ উদ্দেশ্য নিয়ে কাজে হাত দিলে যে আল্লাহ সাহায্য করেন এবং সফল করেন তার উদাহরণ বিয়ানীবাজার আদর্শ মহিলা কলেজ। এ কলেজ প্রতিষ্ঠায় যাঁরা উদ্যোগ নিয়েছিলেন তাঁদের কারো টাকা-পয়সা ছিল না। কিন্তু কলেজ ঠিকই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
বিয়ানীবাজার আদর্শ মহিলা কলেজ প্রতিষ্ঠাকালীন অন্যতম এই সংগঠক বলেন, উদ্যোগের সূচনার দিকে লোকে আমাদের নিয়ে অনেক হাসাহাসি করেছে । কিন্তু বিয়ানীবাজার আদর্শ মহিলা কলেজ আজকে একটা মহৎ বাস্তবতা।’
পরে ছাত্রীরা বিয়ানীবাজার আদর্শ মহিলা কলেজ পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁকে শুভেচছা-স্মারক হিসেবে একটি ক্রেস্ট প্রদান করে।
কলেজের শিক্ষকদের মধ্যে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দর্শন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শেফু দত্ত, পরিসংখ্যান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জসীম উদ্দীন আহমদ, ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক প্রিয়তোষ চক্রবর্তী, জীববিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মোহাম্মদ কবির হোসেন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক প্রত্যুষ কান্তি দাস এবং বাংলা বিভাগের প্রভাষক প্রতিমা রাণী দাস প্রমুখ।