টানা ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ভারতীয় পাহাড়ী ঢলে জকিগঞ্জে বয়ে যাওয়া কুশিয়ারা ও সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার উপরে রয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন স্থানে নদী ভাঙ্গনের পরিস্থিতি চরম অবনতি হয়েছে। বিভিন্ন এলাকার ডাইকে নতুন করে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে।
রবিবার সকালের দিকে জকিগঞ্জ সদর ইউনিয়নের রারাই গ্রামে কুশিয়ারা নদীর ডাইক ভেঙ্গে পানি লোকালয়ে চলে আসলে তাৎক্ষণিক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিজন কুমার সিংহ সরেজমিন উপস্থিত হয়ে ডাইকটি সংস্কার করান। এতে বন্যা থেকে জকিগঞ্জ সদর ইউনিয়ন বন্যা থেকে রেহাই পায়।
অন্যদিকে বিরশ্রী ইউনিয়ন ও বারহাল ইউনিয়নে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। বন্যা আক্রান্ত মানুষের মাঝে নানা সংকট দেখা দিয়েছে। পানিবন্দি মানুষের দূর্ভোগ বাড়ছে।
রবিবার উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ নাছির উল্লাহ খাঁন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিজন কুমার সিংহ বন্যা কবলিত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্থ অসহায় মানুষের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করেন। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইশতিয়াক ইমন, পজীপ কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আতাউর রহমান, বিরশ্রী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুছ সালাম চৌধুরী পানু, জকিগঞ্জ থানার এসআই কল্লোল গোম্বাম প্রমূখ।
খবর নিয়ে জানাগেছে, উপজেলার বারহাল, বিরশ্রী, খলাছড়া ও কাজলসার ইউনিয়ন বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। বন্যার কারণে বারহাল ইউনিয়নের ৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান বন্ধ রয়েছে৷ পুরো উপজেলায় অন্তত ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দি রয়েছেন বলে জানিয়েছেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লোকমান উদ্দিন চৌধুরী।