গ্যাসের অযৌক্তিক মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত থেকে সরকারকে সরে আসতে সাত দিনের সময় বেধে দিয়েছিল বাম গণতান্ত্রিক জোট। তবে, সে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা না করায় পূর্বঘোষণা অনুযায়ী জ্বালানি মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে পুলিশের বাধার মুখে পড়েছেন জোটের নেতাকর্মীরা।
রোববার (১৪ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ের পশ্চিম পাশে প্রেসক্লাব সংলগ্ন রাস্তায় পুলিশের সঙ্গে তাদের ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। পরে, সেখানেই সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা দেয় বাম জোট।
এর আগে, গত রোববার (৭ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে বাম জোটের নেতাকর্মীরা দেশব্যাপী অর্ধদিবস হরতাল পালন করেন।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক মোশাররফ হোসেন নান্নু বলেন, সরকার গণতন্ত্র নির্বাসন দিয়ে এখন সম্পদের অপব্যবহার করতে চায়। গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত থেকে সরকার সরে আসার জন্য আমরা সরকারকে সাত দিন সময় দিয়েছিলাম। তারা আমাদের কথা শুনলেন না, অথচ সংসদেও গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, গ্যাসের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সব পণ্যের দাম বাড়বে, কারখানার উৎপাদন খরচ বেড়ে যাবে, এর প্রভাব পড়বে সাধারণ জনগণের ওপর। আমরা সরকারকে এ সিদ্ধান্ত থেকে আবারও সরে আসার আহ্বান জানাই। এরপরও তারা নিজেদের অবস্থান না বদলালে আগামী ১৯ জুলাই ঢাকায় প্রতিনিধি সম্মেলন করে সারাদেশ অচল করে দেওয়া হবে।
কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, সরকার অযৌক্তিকভাবে গ্যাসের দাম বাড়াচ্ছে। এর মাধ্যমে তারা লুটপাটের মহোৎসব করতে চায়। আমরা এটা হতে দেবো না। আমরা সবসময় রাজপথে থেকে গণমানুষের দাবি আদায় করব। সরকারের কাছে বিনীত অনুরোধ, আপনাদের অবস্থান পরিবর্তন করুন। নাহলে দুর্বার আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায় করা হবে।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, সরকার সম্পূর্ণ অযৌক্তিকভাবে গ্যাসের দাম বাড়ানোর কথা বলছে। বাসা-বাড়িতে কোনো সময়ই ৪৫ থেকে ৫০ ইউনিটের বেশি গ্যাস খরচ হয় না। বিদ্যুতে সিস্টেম লসের সম্ভাবনা না থাকলেও ক্ষমতাবানরা, আমলারা ১২ শতাংশ পর্যন্ত সিস্টেম লস দেখান। আজ আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দেওয়া হলো। আমরা সরকারকে আবারও বলব, তাদের অবস্থান থেকে সরে আসার জন্য।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাসদ নেতা বজলুর রশিদ ফিরোজ, বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, সিপিবির প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুল্লাহ কাফি রতন প্রমুখ।