ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে বসবাসরত ৯০ হাজার বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাবে ইইউ’র দেশগুলো। এজন্য দুই বছর আগে বাংলাদেশের সঙ্গে স্ট্যান্ডার্ড অপারেশন প্রসিডিউর (এসওপি) স্বাক্ষর হয়েছে।তবে নিজ নিজ দেশের আইনি জটিলতার কারণে এখনো ফেরত পাঠাতে পারছে না দেশগুলো।
বাংলাদেশের কর্মকর্তা বলছেন, বাংলাদেশ তার নাগরিকদের ফেরত নিতে প্রস্তুত। কিন্তু সংশ্লিষ্ট দেশগুলো আইনি প্রক্রিয়া শেষ করতে না পারায় বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠাতে পারছে না।জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের হিসাবে, গত পাঁচ বছরে বিভিন্ন দেশে রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করেছেন, এক লাখ ৬০ হাজার ৭৩৭ বাংলাদেশি। আগের পাঁচ বছরের তুলনায় এ সংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি। অর্থাৎ, গত ২০১৪ সাল থেকে দিনে গড়ে ৮৮ জন করে আবেদন করছেন। ইউএনএইচসিআর সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে বলেছে, গত বছর বাংলাদেশের ২৮ হাজার ৪৮৮ জন নাগরিক বিভিন্ন দেশে রাজনৈতিক আশ্রয়ের সুযোগ চেয়েছেন। এসব ক্ষেত্রে আবেদন যেমন বেড়েছে, তেমনি প্রত্যাখ্যানের হারও বেড়েছে বহুগুণ।
তবে ইউরোপে অবস্থানকারী বাংলাদেশিদের সংখ্যা নিয়েও আপত্তি রয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের। ২০১৮ সালে ফ্রান্সে রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন জমা পড়েছে ৭ হাজার ৯৬৩, ইতালিতে ৪ হাজার ১৬২, গ্রিসে ২ হাজার ৪৯৮জন।রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীরা আবেদন করার আগে বৈধ ও অবৈধ পন্থায় ওইসব দেশে গিয়ে হাজির হচ্ছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পশ্চিম ইউরোপ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন অনুবিভাগের মহাপরিচালক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খাস্তগীর সংবাদমাধ্যমকে বলেন, এসওপির আওতায় এখন পর্যন্ত মাত্র ১৯০ জন বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে ১৬০ জন জার্মানি থেকে। বাকিরা গ্রিস ও অস্ট্রিয়া থেকে।
ইউরোপে অবস্থানকারী অবৈধ বাংলাদেশিদের সংখ্যা নিয়ে খোরশেদ আলম খাস্তগীর বলেন, ইউরোপে অবৈধ বাংলাদেশিদেরসঠিক হিসাব নেই। তারা একেক সময় একেক তথ্য জানায়