প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম ব্যবহার করে রোম দূতাবাসে পাসপোর্ট নিয়ে ব্যবসা করার অবৈধ সুযোগ না পেয়ে একটি চক্র দূতাবাসের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগসহ নানা অপপ্রচারে লিপ্ত । এসব অপপ্রচারের কারনে প্রবাসের মাটিতে বাংলাদেশ ও সরকারের সুনাম নষ্ট না করার আহ্বান জানিয়ে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক জবাব দিয়েছেন ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আব্দুস সোবহান সিকদার। তিনি চ্যালেঞ্জ করে বলেছেন, রোম দূতাবাসে দুর্নীতি করার কোন সুযোগ নেই। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা দুর্নীতির অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত এবং সমাজে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যে করা হচ্ছে বলে তিনি মনে করেন ।
গত কিছুদিন আগে সোসাল মিডিয়ার মাধ্যমে ইতালী প্রবাসী জনৈক ‘পাসপোর্ট মিন্টু’ খ্যাত এক ব্যক্তি প্রধান মন্ত্রীর নাম ব্যবহার করে প্রবাসীদের পাসপোর্ট সংক্রান্ত সব সমস্য সমাধান করার দায়িত্ব পেয়েছেন বলে উল্লেখ করেন। পাসপোর্ট মিন্টু দাবী করেছিলেন, গতমাসে জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী ফিন্ডল্যান্ডে সফরকালে তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে ইতালী প্রবাসীদের সমস্যার কথা তুলে ধরেন এবং প্রধানমন্ত্রী পাসপোর্ট মিন্টুকে দায়িত্ব দেন! ফেসবুকে দেয়া স্ট্যাটাস দেবার পর থেকেই প্রবাসীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন, সরকারের অফিসিয়াল এবং রাজনৈতিক ভাবে প্রটকল বিনষ্ট করে এরকম কার্যক্রম দেশ ও সাংবিধান লংঙ্ঘন করার সামিল। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাংলাদেশের দূতাবাস ও পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়কে উপেক্ষা করে তাঁর দায়িত্বপ্রাপ্তি হাস্যকরই বটে।
জনৈক ‘পাসপোর্ট মিন্টু’ প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে সরাসরি ক্ষমতা প্রাপ্তির কথা দূতাবাসের কাছে জানতে চাইলে দূতাবাসে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত আব্দুস সোবহান সিকদার ২০১৫ সাল থেকে ২০১৯ সালের জুন পর্যন্ত পাসপোর্ট সংক্রান্ত একটি তথ্য তুলে ধরে বলেন, যারা নিজ নাম, পিতা মাতার নাম, জন্ম তারিখ এবং ধর্ম পরিবর্তন করেছেন শুধু মাত্র তাদের পাসপোর্ট গুলোই পাসপোর্ট অধিদপ্তরে আটকে আছে। তিনি আরো বলেন দূতাবাস শুধুমাত্র পাসপোর্ট তৈরী করার জন্য যাবতীয় কাগজ পত্র দেশে পাঠায় এবং পাসপোর্ট তৈরী হয়ে আসলে তা প্রদান করেন। এখানে পাসপোর্ট বহনকারীর দেওয়া সমস্ত তথ্য উপাত্ত গুলো সত্যতা নিশ্চিত করে পাসপোর্ট অধিদপ্তর, সে ক্ষেত্রে দূতাবাসের হস্তক্ষেপ করার কোন অধিকার নাই।
উল্লেখ্য মিন্টু নিজেকে ইতালী আওয়ামী লীগের একজন প্রভাবশালী নেতা হিসেবে দাবী করেন, কিন্তু তাঁকে আওয়ামী লীগের কোন অনুষ্ঠানে সাধারনত দেখা যায় না, যদিও আওয়ামী লীগের ইতালী কমিটিতে তার নাম অন্তর্ভূক্ত আছে বলে সাংগঠনিক সূত্রে জানা গেছে। ।