দেশের মতো দেশের বাইরেও প্রবাসিদের কল্যাণে কাজ করে প্রবাসিবান্ধব সাংবাদিকতার নজির তৈরী করেছে একাত্তর টিভি। সংবাদ পরিবেশেনের পাশাপাশি সামাজিক দায়বোধ থেকেও তারা মানুষের পাশে দাঁড়ান। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে আগামি দিনেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ কনসুলেট জেনারেল দুবাইয়ের কনসাল জেনারেল ইকবাল হোসেন খান। আরব আমিরাতে একাত্তর টিভির ৭ম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
শারজাহের মজলিস আল মদিনা রেস্টুরেন্টে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন দর্শক ফোরোমের আহবায়ক অধ্যাপক আব্দুস সবুর।
সংবাদপাঠিকা তিশা সেনের পরিচালনায় বিগত দিনের পথচলা স্বাগত বক্তব্য রাখেন একাত্তর টিভির আরব আমিরাত প্রতিনিধি লুৎফুর রহমান। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন শ্রম কাউন্সেলর ফাতেমা জাহান।
একাত্তর টিভিকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন আইয়ুব আলী বাবুল, সি আই পি শেখ ফরিদ,আবদুল আলীম ,প্রকৌশলী এস এ মোর্শেদ, গুলশান আরা, কাজী মোহাম্মদ আলী, হাজী শফিকুল ইসলাম, আবুল কাশেম, সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম তালুকদার।
সাংবাদিকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাধারার আমিরাত প্রতিনিধি আবদুল আলীম সাইফুল, জাগো নিউজের আমিরাত প্রতিনিধি আবদুল্লাহ আল শাহীন, সিপ্লাস এর আমিরাত প্রতিনিধি ইসতিয়াক আশিফ, বাংলাভিশনের দুবাই প্রতিনিধি শামছুর রহমান সোহেল, মহিউল করিম আশিক, সানজিদা ইসলাম সহ আরো অনেকে।
অনুষ্ঠানে আরব আমিরাতের ৭ জন রত্নগর্ভা মা সালেহা আক্তার স্বামী হাজী আব্দুল রব, কামরুন নাহার স্বামী আক্তার হোসেন, আফিয়া বেগম স্বামী হাজী আব্দুল করিম, ইয়াসমিন কালাম মেরুনা স্বামী মরহুম আবুল কালাম, খালেদা বেগম স্বামী মোহাম্মদ শফিক, সাকিনা খাতুন স্বামী মরহুম দিল মোহাম্মদ ও রূপশ্রী সেন স্বামী অনুপ সেনকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে ভারতীয় একটি সামাজিক সংগঠনকে বাংলাদেশিদের লাশ প্রেরণ করায় সম্মাননা প্রদান করা হয়। সেই সাথে পুষ্পিপতা-মৌমিতাকে উৎসাহ পুরস্কার এবং আব্দুল কুদ্দুছ খা মজনু, হাবিবুর রহমান ও মীর্ঝা আবু সুফিয়ানকে একাত্তর টিভি ধন্যবাদ স্মারক প্রদান করা হয়।
দেশপ্রেম এবং মানবিক সমাজ গড়ে ওঠার প্রত্যয়ে আগত সকল দর্শকের হাতে একটি করে লাল গোলাপ আর লাল সবুজের পতাকা তোলে দেয়া হয়।
দ্বিতীয় পর্বে মুক্তিযুদ্ধের কবিতা পাঠ করেন সাইদা দিবা, আলমা আকবর ও জুয়েনা আক্তার রুনি। মুক্তিযুদ্ধের গান পরিবশেন করেন জসিম উদ্দিন পলাশ, বঙ্গ শিমুল, মিতা সাহা ও সোনিয়া সামিয়া।
অনুষ্ঠানে সার্বিক তত্বাবধানে ছিলেন জাবেদ আহমদ, সঞ্জয় ঘোষ, সাইফুর মাহমুদ ও সাইদুর মাহমুদ। পরে বর্ষপূর্তির কেক কেটে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।