সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অপপ্রচার ও অসত্য তথ্য সম্বলিত মন্তব্যের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় আইনানুগ প্রক্রিয়ায় যাচ্ছে বিয়ানীবাজার উপজেলা পরিষদ। গত কয়েকমাস থেকে ফেসবুকে জনপ্রতিনিধি,কর্মকর্তা-কর্মচারী, সাংবাদিক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ক্রমাগত বৃদ্ধি পাওয়ায় এ প্রক্রিয়া অবলম্বন করা হচ্ছে। সোমবার (১ জুলাাই) দুপুরে উপজেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্টিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কাশেম পল্লব।
তিনি বলেন, বাক-স্বাধীনতার নামে অসত্য অপপ্রচারে প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারী, জনপ্রতিনিধিরা বিব্রত এবং এতে পুরো উপজেলাবাসীর সম্মানহানী হচ্ছে। প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে বিভক্তি, অনিয়ম এবং দূর্র্নীতি নিয়ে কথিত মন্তব্য ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়ার ঘটনা উদ্বেগজনক বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এ ধরণের কয়েকটি ফেসবুক আইডি সনাক্ত করা হয়েছে। যারা দেশে এবং বিদেশ থেকে স্থানীয় বিশিষ্টজনের বিরুদ্ধে কুৎসা রটাচ্ছে এবং জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হচ্ছে। বিয়ানীবাজার উপজেলা প্রশাসন, স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিমূলক প্রক্রিয়ায় গণমানুষের কল্যানে কাজ করার পাশাপাশি প্রত্যেকের মধ্যে সুসম্পর্ক বিরাজমান বলে তিনি আরো জানান। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী আরিফুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্টিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন পৌর মেয়র মো: আব্দুস শুকুর, ভাইস চেয়ারম্যান জামাল হোসেন ও রুকসানা বেগম লিমা ও ইউপি চেয়ারম্যান মাহমদ আলী। এতে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: মোয়াজ্জেম আলী খান, থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অবণী শংকর কর, কৃষি কর্মকর্তা আনিছুর রহমান, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মৌলুদুর রহমান, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা টিটু দে, ইউপি চেয়ারম্যান মামুনুর রশীদ, চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম, চেয়ারম্যান আবু তাহের, চেয়ারম্যান আবুল খায়ের, চেয়ারম্যান আব্দুল মন্নান, চেয়ারম্যান শিহাব উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ইউএনও কাজী আরিফুর রহমান বলেন, আমার কোন নির্দিষ্ট গন্ডি নেই, বিয়ানীবাজারের সার্বিক দিক বিবেচনা করে আমাকে কাজ করতে হয়। আমি চাইলেও সবার উপকার করতে পারিনা। তবে উন্নয়ন অগ্রগতির স্বার্থে যা কিছুর করার আমি করে যাচ্ছি। তিনি যেকোন তথ্যের জন্য ইউএনও অফিস কিংবা পরিষদের চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ করে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের অনুরোধ করেন। তাহলে জাতি বস্তুনিষ্ট সংবাদ পড়তে পারবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। এ সময় সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ বলেন, আমরা খোলা চোখে যা অসামঞ্জস্য দেখতে পাই তার শিকিভাগও গণমাধ্যমে প্রকাশ করতে পারিনা। যেটুকু প্রকাশ না করলে হয় না, সেটুকুই আমরা লিখি। এতে অনেকেই মনোঃক্ষুন্ন হন, তা আমরা বুঝতে পারি কিন্তু পেশাগত কারণে তা এড়িয়ে চলতে হয়।