রবিবার(২৮শে এপ্রিল) সকাল ০৮ঘটিকা হতে উৎসব মূখর পরিবেশে ভোট দেওয়ার মধ্য দিয়ে শুরু হয় স্পেনের সাধারণ নির্বাচন।স্পানিশ ভোটারদের পাশা পাশি বাংলাদেশি ভোটাররাও অংশগ্রহণ করেন ভোট দিতে তাদের পছন্দমত রাজনৈতিক দলকে।
বিগত চার বছরের মধ্যে তৃতীয় বারের মতো আয়োজিত হয় এই সাধারণ নির্বাচন।
সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলেও স্পেনের জাতীয় সাধারণ নির্বাচনে জয় পেয়েছে ক্ষমতাসীন সমাজতান্ত্রিক দল বা সোস্যালিস্ট পার্টি।
সংসদের মোট আসনের প্রায় ২৮ দশমিক ১ শতাংশ ভোট এবং ১১৬ থেকে ১২১টি আসন পেলেও সোশ্যালিস্টরা শেষ পর্যন্ত সরকার গঠন করতে পারবে কি না সে নিয়ে আছে সংশয়।
ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজের নেতৃত্বে সোশ্যালিস্টদের সব থেকে কাছের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আছে পাবলো ক্যাসাডোর নেতৃত্বে পপুলার পার্টি। তারা পেয়েছে ১৭ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট (৬৯ থেকে ৭৩ আসন)। আলবার্ট রিভেরার সিটিজেন্স পেয়েছে ১৪ দশমিক ৪ শতাংশ ভোট (৪৮ থেকে ৪৯ আসন)। আর পাবলো গ্লেসিয়াসের উনিডাস পডেমাস এবং স্যান্টিয়েগো এবাসকালের ভক্স পেয়েছে যথাক্রমে ১৬ দশমিক ১ শতাংশ (৪২ থেকে ৪৫ ভোট) এবং ১২ দশমিক এক শতাংশ (৩৬ থেকে ৩৮ আসন) করে ভোট।
স্পেনে সরকার গঠনের নিয়ম অনুযায়ী, একটি রাজনৈতিক দলকে ৩৫০টি আসনের মধ্যে এককভাবে সরকার গঠন করতে হলে কমপক্ষে ৫০ শতাংশের বেশি বা ১৭৬টি আসনে জয় পেতে হবে। সেই হিসেবে সোশ্যালিস্টরা নির্বাচনে ৫০ শতাংশ আসন না পাওয়ায় জয় নিয়েও সরকার গঠনের সংশয়ে থাকতে হচ্ছে তাদের।
এদিকে ভোটের দিন দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট পেদ্রো সানচেজ স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, বহু বছরের অস্থিতিশীল পরিস্থিতির পর সময় এসেছে, যে একটি স্থিতিশীল এবং শান্তিময় স্পেনের জন্য আমরা আমাদের বার্তা দেই। আর সেখান থেকেই একটি সংখ্যাগরিষ্ঠ দল বের হয়ে আসবে যারা দেশে একটি স্থিতিশীল সরকার গঠন করবে।
এবার প্রায় ৬০ দশমিক ৮ শতাংশ স্পেনীয় এবং কাতালানরা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছে বলে জানায় দেশটির নির্বাচন কমিশন।