সৌদি আরবের সাথে বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা বিষয়ে সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে। সৌদি আরবের রিয়াদে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে আজ এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। বাংলাদেশের পক্ষে এ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেন সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপ্যাল স্টাফ অফিসার লেঃ জেনারেল মোঃ মাহফুজুর রহমান এবং সৌদি আরবের পক্ষে স্বাক্ষর করেন সেদেশের সশস্ত্র বাহিনীর ডেপুটি চীফ অব স্টাফ লেঃ জেনারেল মুতলাক বিন সালিম আল উজাইমিয়া।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল ও দূরদর্শী নেতৃত্ব ও কার্যকর কূটনৈতিক প্রচেষ্টার ফলে এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। এ সময় সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ, দূতাবাসের মিশন উপ- প্রধান ড. মোঃ নজরুল ইসলাম ও ডিফেন্স এট্যাশে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ শাহ আলম চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
উভয় দেশের বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ভিত্তিতে এবং পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করে এই সহযোগিতা আন্তর্জাতিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি করবে মর্মে এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। দুদেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা বিষয়ে সহযোগিতার ক্ষেত্র উন্নয়ন এবং শক্তিশালীকরনের লক্ষে এই স্মারক স্বাক্ষরিত ।
সৌদি আরব ও বাংলাদেশ এই সমঝোতা স্মারকের আওতায় সামরিক প্রশিক্ষণ, অনুশীলন ও শিক্ষা, সামরিক তথ্য ও গোয়েন্দা, প্রতিরক্ষা শিল্প, সরবরাহ ও রক্ষনাবেক্ষন, পরিদর্শন ও দক্ষতা বিনিময়, সামরিক চিকিৎসা ও গবেষণা, ক্রীড়া, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, সামরিক সদস্যবৃন্দের বিনিময়, সামুদ্রিক নিরাপত্তা ও জলদস্যু রোধ ক্ষেত্রে সহযোগিতা করবে।
সৌদি আরব ও বাংলাদেশ প্রতিরক্ষা বিষয়ে সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য বাস্তবায়ন কর্মসূচী গ্রহন করতে পারবে এবং এই সমঝোতা স্মারক বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে।
উল্লেখ্য, সৌদি আরবের সাথে বাংলাদেশের সামরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতিরক্ষা সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে বলে গত ৩ ফেব্রুয়ারি জানিয়েছিলেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ। সেনা প্রধান সৌদি আরবের যৌথ বাহিনীর প্রধান ফায়াদ আল রুয়ায়লি এবং সহকারী প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুল্লাহ আল-আয়েশ এর সাথে রিয়াদে বৈঠক শেষে রিয়াদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের নবনির্মিত ভবন পরিদর্শন কালে এ তথ্য জানিয়েছিলেন ।
তখন, সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেন, সৌদি ইয়েমেনের সীমান্তবর্তী যুদ্ধবিধ্বস্থ এলাকায় মাইন অপসারণে বাংলাদেশ সেনা বাহিনীর অংশগ্রহণের লক্ষ্যে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। এ লক্ষ্যে একটি সমঝোতা স্মারক প্রস্তুত করা হয়েছে। স্মারক স্বাক্ষরিত হলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দুটি ব্যাটালিয়নে প্রায় ১৮০০ সেনা সদস্য মাইন অপসারণ কাজে নিয়োজিত হবে। যা সৌদি আরব ও বাংলাদেশের সামরিক সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে।