বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২১ সেপ্টেম্বর শুক্রবার লন্ডনে আসছেন। জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগ দেবার পথে তিনি যাত্রাবিরতি করবেন লন্ডনে। এসময় তিনি লন্ডনে দুদিন অবস্থান করবেন। একান্তই পারিবারিক পরিবেশে তিনি এ যাত্রাবিরতি করবেন বলে জানা গেছে। লন্ডনে তাঁর নির্ধারিত কোন জনসভা নেই। তবে নেতা-কর্মীদের সাথে তিনি মতবিনিময় করতে পারেন বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশের আগামী সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রবাসে অবস্থানরত নেতা-কর্মীদের গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দিতে পারেন বলেই দলীয় সূত্রে জানা গেছে। যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক ভিপি খসরুজ্জামান খসরু তাঁদের দলীয় প্রধানের এ অনির্ধারিত কর্মসূচীর কথা বলেছেন।
এদিকে যুক্তরাজ্যে অবস্থানকালীন সময়ে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে বিশৃংখলা সৃস্টি করার যে কোন পাঁয়তারা মোকাবেলা করতে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ বদ্ধপরিকর। সংগঠনটি প্রধানমন্ত্রীর এ যাত্রাবিরতি সুশৃংখল রাখতে ইতিমধ্যে প্রস্তুতি সভাও করেছে।
গত ১০ সেপ্টেম্বর যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক সভায় নেতা-কর্মীরা এ প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। এছাড়া লন্ডন মহানগর আওয়ামী লীগসহ সংগঠনটির বিভিন্ন শাখায় এ নিয়ে আনুষ্ঠানিক সভা হয়েছে।
প্রতিবারই প্রধানমন্ত্রীর সফরকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ জাতিয়তাবাদী দল (বিএনপি) বিভিন্ন কর্মসূচীর আয়োজন করে থাকে। প্রধানমন্ত্রীর অবস্থানকালীন তাঁর হোটেলের সামনে কালো পতাকা, বিক্ষোভ প্রদর্শন থেকে শুরু করে এমনকি ব্রিটেনের গনতান্ত্রিক রীতি-নীতির বাইরে গিয়ে তারা এসব কর্মসূচী গোলযোগ সৃষ্টি করে। উল্লেখ্য যে, গত বছরের সফরের সময় প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী একজন প্রতিমন্ত্রী বিরোধীদের উশৃংখল আক্রমণের শিকার হন। প্রধানমন্ত্রীর এবারের সফর নির্ঝঞ্জাট করতে আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীরা এরকম গোলযোগ প্রতিহত করার ঘোষনা দিয়েছেন।