ঢাকা ১০:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে আরও ৩০ দেশের নাগরিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা খাঁচা থেকে বের হওয়া সিংহী আড়াই ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে লন্ডনে ফ্লাই রবিবার, নির্জন কারাবাস থেকেই খালেদা জিয়ার ‘নানা রোগের সূচনা’ জানালেন ফখরুল মহাকাশ থেকে পবিত্র  কাবা শরিফের উজ্জ্বল ছবি আন্দোলনে থাকা প্রাথমিকের শিক্ষকদের বদলি, ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি স্থগিত তারেক রহমানের দেশে ফেরা আবার অনিশ্চিত, কীভাবে ভোটার হবেন? খালেদা জিয়া ছাড়া পরিবারের কেউ ভিভিআইপি সুবিধা পাবেন না কুকুরছানা হত্যা মামলায় মায়ের সঙ্গে কারাগারে ২ বছরের শিশু খালেদা জিয়াকে লন্ডন নিতে ঢাকায় আসছেন জুবাইদা যুক্তরাজ্যের ৯ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিষিদ্ধ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী!

৪৩দিন পর স্পেনের শিশুরা মুক্তবাতাসে
দিন দিন কমছে মৃতের সংখ্যা

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০৫:৪৩:২২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ এপ্রিল ২০২০
  • / 3159
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

২৬ এপ্রিল  স্পেনে মৃতের সংখ্যা ৩০০এর নিচে এসেছে। গত ৬ সপ্তাহ ধরে মহামারির প্রাদুর্ভাবে প্রতিনিয়ত আশার আলো হতাশার আঁধারে ফিকে হয়ে আসছিল, আজ যেন সেই বহুল প্রত্যাশার আলোর আভাস আবার ফুটে ওঠতে শুরু করেছে। গত ২১ মার্চের পরে সবচে কম মৃতের সংখ্যা এটি।

২৬ এপ্রিল (২৪ঘন্টায়) স্পেনে মোট মৃতের সংখ্যা রেজিস্ট্রি করা হয়েছে ২৮৮জন। আগের দিন মৃতের সংখ্যা ছিলো ৩৭৮ জন এবং  এর একদিন আগে   ছিল ৩৬৭জন।
নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ১,৭২৯জন। নতুন আক্রান্তের তুলনায় সুস্থের সংখ্যা অনেক বেশি । মোট সুস্থ হয়েছেন  ৩০২৪জন।
২৬ এপ্রিল পর্যন্ত স্পেনে মোট মৃতের সংখ্যা ২৩ হাজার ১৯০জন। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২ লক্ষ ২৬ হাজার ৬২৯জন। সুস্থ হয়েছেন প্রায় ১ লক্ষের কাছাকাছি, মোট ৯৮হাজার ৭৩২জন।

এদিকে পরিবারের জন্য এসেছে সুখবর।  স্পেনের ১৪ বছরের কম বয়সের শিশুরা একটানা ৪৩ দিন ঘরে বন্দি থাকার পর ২৬ এপ্রিল থেকে ঘরের বাইরে মুক্ত বাতাসে নি:শ্বাস নেবার সুযোগ পেল।

করোনা মহামারির এই দু:সময়ে সময়ে, এক মাসের অধিক কাল গৃহবন্ধী হয়ে থাকার এ ঘটনা, শিশুদের জীবনে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।  স্পেনে প্রায় ৬০ লক্ষ শিশু এই বন্দি পরিস্থিতি কাটিয়ে রাস্তায় নেমেছে, যদিও অনেক প্রদেশে বৃষ্টি ছিল।  অনেক শিশুদের আবেগে উচ্ছাসিত হয়ে রাস্তায় ছুটতে দেখা গেছে।সারা স্পেনের সাথে আজ বার্সেলোনায় বাস করা ১ লক্ষ ৯০ হাজার ৯২২জন শিশুও পেয়েছে মুক্ত বাতাস নেবার অধিকার।

করোনা মহামারির কারণে তৈরি হওয়া সামাজিক দূরত্বের কারণে হুমকির মুখে পড়েছে স্পেনের বার রেস্টুরেন্ট  ব্যবসা। ধারণা করা হচ্ছে, মহামারি পরবর্তী পরস্থিতিতে এ ধরণের ব্যাবসার ৪০ হাজার প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাবে। যা শতকরা হিসেবে ১৫%। স্পেনে মোট ২ লক্ষ ১৯ হাজার বার রেস্টুরেন্ট আছে।

ইউরোপিয়ান ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে স্পেন এই ব্যবসার শীর্ষে। কিন্তু করোনা মহামারি অকল্পনীয় সময়ের মধ্যে (তিন দিনের ভেতরে) সব ব্যবসা গুটিয়ে নিতে হয়েছিল। এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে, কবে আবার খুলবে আর কিভাবে ব্যবসা পরিচালিত হবে? এখন সামাজিক দূরত্বের সাথে পাল্লা দিয়ে এই ব্যবসার সাথে জড়িত প্রতিষ্ঠানগুলো চোখে অন্ধকার দেখছে।

আগামী ২ মে থেকে সংক্ষিপ্ত হাটা বা পায়চারি করার জন্য  প্রাপ্তবয়স্ক (বয়ষ্কসহ) রাস্তায় বের হতে পারবে বলে নিশ্চিত করেছে সরকার। তবে এর মধ্যে যদি কোন ধরণের সংক্রমন বৃদ্ধির প্রাদুর্ভাব থাকে তাহলে সময় পরিবর্তন হতে পারে।

২৬ এপ্রিল রবিবার কাতালোনিয়ায় (গত ২৪ ঘন্টায়) হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছে ৭২ জন। হাসপাতাল ও মৃতদেহ সৎকারে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠান   মোট মৃতের সংখ্যা ১১৮জন।

এই নিয়ে কাতালোনিয়ায় মোট মৃতের সংখ্যা ৯ হাজার ৭৬৪জন। এ পর্যন্ত মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৪৯ হাজার ৮৮ জন।  ERT (Expediente de regulacion temporal de empleo) বা করোনা মহামারীতে অস্থায়ীভাবে কর্মসংস্থান হারানো এবং সে জন্য সরকার থেকে অর্থনৈতিক সুবিধা প্রাপ্ত কর্মচারীর সংখ্যা বার্সেলোনায় ৬৮ হাজার ৯০০জন। ERT সহ বার্সেলোনায় মোট বেকারের সংখ্যা বর্তমানে ৫ লক্ষ ৪৫ হাজার। কাতালোনিয়ার চাকরির বাজার করোনা মহামারিতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সংখ্যায় প্রায় ৩০% মানুষ বেকার হয়ে গেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

মো: ছালাহ উদ্দিন

স্পেন ব্যুরো
ট্যাগস :

৪৩দিন পর স্পেনের শিশুরা মুক্তবাতাসে
দিন দিন কমছে মৃতের সংখ্যা

আপডেট সময় : ০৫:৪৩:২২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ এপ্রিল ২০২০

২৬ এপ্রিল  স্পেনে মৃতের সংখ্যা ৩০০এর নিচে এসেছে। গত ৬ সপ্তাহ ধরে মহামারির প্রাদুর্ভাবে প্রতিনিয়ত আশার আলো হতাশার আঁধারে ফিকে হয়ে আসছিল, আজ যেন সেই বহুল প্রত্যাশার আলোর আভাস আবার ফুটে ওঠতে শুরু করেছে। গত ২১ মার্চের পরে সবচে কম মৃতের সংখ্যা এটি।

২৬ এপ্রিল (২৪ঘন্টায়) স্পেনে মোট মৃতের সংখ্যা রেজিস্ট্রি করা হয়েছে ২৮৮জন। আগের দিন মৃতের সংখ্যা ছিলো ৩৭৮ জন এবং  এর একদিন আগে   ছিল ৩৬৭জন।
নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ১,৭২৯জন। নতুন আক্রান্তের তুলনায় সুস্থের সংখ্যা অনেক বেশি । মোট সুস্থ হয়েছেন  ৩০২৪জন।
২৬ এপ্রিল পর্যন্ত স্পেনে মোট মৃতের সংখ্যা ২৩ হাজার ১৯০জন। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২ লক্ষ ২৬ হাজার ৬২৯জন। সুস্থ হয়েছেন প্রায় ১ লক্ষের কাছাকাছি, মোট ৯৮হাজার ৭৩২জন।

এদিকে পরিবারের জন্য এসেছে সুখবর।  স্পেনের ১৪ বছরের কম বয়সের শিশুরা একটানা ৪৩ দিন ঘরে বন্দি থাকার পর ২৬ এপ্রিল থেকে ঘরের বাইরে মুক্ত বাতাসে নি:শ্বাস নেবার সুযোগ পেল।

করোনা মহামারির এই দু:সময়ে সময়ে, এক মাসের অধিক কাল গৃহবন্ধী হয়ে থাকার এ ঘটনা, শিশুদের জীবনে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।  স্পেনে প্রায় ৬০ লক্ষ শিশু এই বন্দি পরিস্থিতি কাটিয়ে রাস্তায় নেমেছে, যদিও অনেক প্রদেশে বৃষ্টি ছিল।  অনেক শিশুদের আবেগে উচ্ছাসিত হয়ে রাস্তায় ছুটতে দেখা গেছে।সারা স্পেনের সাথে আজ বার্সেলোনায় বাস করা ১ লক্ষ ৯০ হাজার ৯২২জন শিশুও পেয়েছে মুক্ত বাতাস নেবার অধিকার।

করোনা মহামারির কারণে তৈরি হওয়া সামাজিক দূরত্বের কারণে হুমকির মুখে পড়েছে স্পেনের বার রেস্টুরেন্ট  ব্যবসা। ধারণা করা হচ্ছে, মহামারি পরবর্তী পরস্থিতিতে এ ধরণের ব্যাবসার ৪০ হাজার প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাবে। যা শতকরা হিসেবে ১৫%। স্পেনে মোট ২ লক্ষ ১৯ হাজার বার রেস্টুরেন্ট আছে।

ইউরোপিয়ান ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে স্পেন এই ব্যবসার শীর্ষে। কিন্তু করোনা মহামারি অকল্পনীয় সময়ের মধ্যে (তিন দিনের ভেতরে) সব ব্যবসা গুটিয়ে নিতে হয়েছিল। এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে, কবে আবার খুলবে আর কিভাবে ব্যবসা পরিচালিত হবে? এখন সামাজিক দূরত্বের সাথে পাল্লা দিয়ে এই ব্যবসার সাথে জড়িত প্রতিষ্ঠানগুলো চোখে অন্ধকার দেখছে।

আগামী ২ মে থেকে সংক্ষিপ্ত হাটা বা পায়চারি করার জন্য  প্রাপ্তবয়স্ক (বয়ষ্কসহ) রাস্তায় বের হতে পারবে বলে নিশ্চিত করেছে সরকার। তবে এর মধ্যে যদি কোন ধরণের সংক্রমন বৃদ্ধির প্রাদুর্ভাব থাকে তাহলে সময় পরিবর্তন হতে পারে।

২৬ এপ্রিল রবিবার কাতালোনিয়ায় (গত ২৪ ঘন্টায়) হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছে ৭২ জন। হাসপাতাল ও মৃতদেহ সৎকারে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠান   মোট মৃতের সংখ্যা ১১৮জন।

এই নিয়ে কাতালোনিয়ায় মোট মৃতের সংখ্যা ৯ হাজার ৭৬৪জন। এ পর্যন্ত মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৪৯ হাজার ৮৮ জন।  ERT (Expediente de regulacion temporal de empleo) বা করোনা মহামারীতে অস্থায়ীভাবে কর্মসংস্থান হারানো এবং সে জন্য সরকার থেকে অর্থনৈতিক সুবিধা প্রাপ্ত কর্মচারীর সংখ্যা বার্সেলোনায় ৬৮ হাজার ৯০০জন। ERT সহ বার্সেলোনায় মোট বেকারের সংখ্যা বর্তমানে ৫ লক্ষ ৪৫ হাজার। কাতালোনিয়ার চাকরির বাজার করোনা মহামারিতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সংখ্যায় প্রায় ৩০% মানুষ বেকার হয়ে গেছে।