ঢাকা ০৯:২৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ইসলামে পারিবারিক নির্যাতনের কোনো স্থান নেই-শায়খ আব্দুল কাইয়ুম লিবিয়া থেকে ৩১০ বাংলাদেশি দেশে ফিরলেন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে আরও ৩০ দেশের নাগরিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা খাঁচা থেকে বের হওয়া সিংহী আড়াই ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে লন্ডনে ফ্লাই রবিবার, নির্জন কারাবাস থেকেই খালেদা জিয়ার ‘নানা রোগের সূচনা’ জানালেন ফখরুল মহাকাশ থেকে পবিত্র  কাবা শরিফের উজ্জ্বল ছবি আন্দোলনে থাকা প্রাথমিকের শিক্ষকদের বদলি, ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি স্থগিত তারেক রহমানের দেশে ফেরা আবার অনিশ্চিত, কীভাবে ভোটার হবেন? খালেদা জিয়া ছাড়া পরিবারের কেউ ভিভিআইপি সুবিধা পাবেন না কুকুরছানা হত্যা মামলায় মায়ের সঙ্গে কারাগারে ২ বছরের শিশু

হাসিনা, জয় ও পুতুলের বিচার শুরু, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
প্লট দুর্নীতি

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০২:১৭:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫
  • / 207
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রাজধানীর পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে প্লট বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় এবং মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের বিরুদ্ধে দায়ের করা তিনটি মামলায় অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। এর মধ্য দিয়ে মামলাগুলোর আনুষ্ঠানিক বিচারিক প্রক্রিয়া শুরু হলো।

বৃহস্পতিবার ঢাকার একটি বিশেষ জজ আদালত পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পাবলিক প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম।

দুদক জানায়, পূর্বাচলে প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে চলতি বছরের জানুয়ারিতে ছয়টি পৃথক মামলা দায়ের করা হয়। এসব মামলায় সম্প্রতি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক।

গত ২০ জুলাই মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিব মামলাগুলোর বিচার কাজ বিভিন্ন বিশেষ জজ আদালতে বদলির নির্দেশ দেন। এর মধ্যে তিনটি মামলার বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

এই মামলাগুলোতে শেখ হাসিনা, জয় এবং পুতুল ছাড়াও আরও যেসব আসামি রয়েছেন, তাদের মধ্যে আছেন শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানা, তার মেয়ে টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক, আজমিনা সিদ্দিক রূপন্তী এবং ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি।

তালিকায় আরও রয়েছে: সচিব শহীদ উল্লা খন্দকার, অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম সরকার, সিনিয়র সহকারী সচিব পূরবী গোলদার, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান মিঞা, মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, কবির আল আসাদ, তন্ময় দাস, নুরুল ইসলাম, মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী, শেখ শাহিনুল ইসলাম, হাফিজুর রহমান, হাবিবুর রহমান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ এবং প্রধানমন্ত্রীর সাবেক একান্ত সচিব সালাউদ্দিন।

গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতাচ্যুত হয়। তারপর থেকেই তিনি ভারতে অবস্থান করছেন। তার পরিবারের অন্য সদস্যরাও দেশের বাইরে রয়েছেন।

পূর্বাচল প্রকল্পে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে ১০ কাঠা করে ছয়টি প্লট বরাদ্দের বিষয়ে দুর্নীতির অভিযোগে দুদক গত ডিসেম্বর থেকে অনুসন্ধান শুরু করে।

এর ধারাবাহিকতায়, ১২ জানুয়ারি প্রথম মামলা হয় শেখ রেহানার মেয়ে শেখ পুতুলের বিরুদ্ধে। পরদিন আরেকটি মামলা দায়ের করা হয় শেখ রেহানা, রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি এবং আজমিনা সিদ্দিক রূপন্তীর বিরুদ্ধে।

১৪ জানুয়ারি শেখ হাসিনা এবং তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়।

সবগুলো মামলায় শেখ হাসিনাকে অন্যতম আসামি করা হয়েছে।

দুদকের অভিযোগ অনুযায়ী, সরকারপ্রধান হিসেবে দায়িত্বে থাকাকালে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যরা নিয়ম বহির্ভূতভাবে পূর্বাচলের ২৭ নম্বর সেক্টরে ১০ কাঠা করে প্লট বরাদ্দ নেন। যাদের যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও তারা ক্ষমতার অপব্যবহার করে এই সুবিধা গ্রহণ করেছেন বলে মামলায় বলা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

হাসিনা, জয় ও পুতুলের বিচার শুরু, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
প্লট দুর্নীতি

আপডেট সময় : ০২:১৭:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫

রাজধানীর পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে প্লট বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় এবং মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের বিরুদ্ধে দায়ের করা তিনটি মামলায় অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। এর মধ্য দিয়ে মামলাগুলোর আনুষ্ঠানিক বিচারিক প্রক্রিয়া শুরু হলো।

বৃহস্পতিবার ঢাকার একটি বিশেষ জজ আদালত পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পাবলিক প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম।

দুদক জানায়, পূর্বাচলে প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে চলতি বছরের জানুয়ারিতে ছয়টি পৃথক মামলা দায়ের করা হয়। এসব মামলায় সম্প্রতি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক।

গত ২০ জুলাই মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিব মামলাগুলোর বিচার কাজ বিভিন্ন বিশেষ জজ আদালতে বদলির নির্দেশ দেন। এর মধ্যে তিনটি মামলার বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

এই মামলাগুলোতে শেখ হাসিনা, জয় এবং পুতুল ছাড়াও আরও যেসব আসামি রয়েছেন, তাদের মধ্যে আছেন শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানা, তার মেয়ে টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক, আজমিনা সিদ্দিক রূপন্তী এবং ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি।

তালিকায় আরও রয়েছে: সচিব শহীদ উল্লা খন্দকার, অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম সরকার, সিনিয়র সহকারী সচিব পূরবী গোলদার, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান মিঞা, মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, কবির আল আসাদ, তন্ময় দাস, নুরুল ইসলাম, মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী, শেখ শাহিনুল ইসলাম, হাফিজুর রহমান, হাবিবুর রহমান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ এবং প্রধানমন্ত্রীর সাবেক একান্ত সচিব সালাউদ্দিন।

গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতাচ্যুত হয়। তারপর থেকেই তিনি ভারতে অবস্থান করছেন। তার পরিবারের অন্য সদস্যরাও দেশের বাইরে রয়েছেন।

পূর্বাচল প্রকল্পে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে ১০ কাঠা করে ছয়টি প্লট বরাদ্দের বিষয়ে দুর্নীতির অভিযোগে দুদক গত ডিসেম্বর থেকে অনুসন্ধান শুরু করে।

এর ধারাবাহিকতায়, ১২ জানুয়ারি প্রথম মামলা হয় শেখ রেহানার মেয়ে শেখ পুতুলের বিরুদ্ধে। পরদিন আরেকটি মামলা দায়ের করা হয় শেখ রেহানা, রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি এবং আজমিনা সিদ্দিক রূপন্তীর বিরুদ্ধে।

১৪ জানুয়ারি শেখ হাসিনা এবং তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়।

সবগুলো মামলায় শেখ হাসিনাকে অন্যতম আসামি করা হয়েছে।

দুদকের অভিযোগ অনুযায়ী, সরকারপ্রধান হিসেবে দায়িত্বে থাকাকালে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যরা নিয়ম বহির্ভূতভাবে পূর্বাচলের ২৭ নম্বর সেক্টরে ১০ কাঠা করে প্লট বরাদ্দ নেন। যাদের যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও তারা ক্ষমতার অপব্যবহার করে এই সুবিধা গ্রহণ করেছেন বলে মামলায় বলা হয়েছে।