ঢাকা ১০:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
খালেদা জিয়া ‘বিমান ভ্রমণে সক্ষম নন’, মত মেডিকেল বোর্ডের শেখ হাসিনাই সিদ্ধান্ত নেবেন ভারতে কতদিন থাকবেন, জানালেন জয়শঙ্কর আরও পেছাল খালেদা জিয়ার লন্ডনযাত্রা ইসলামে পারিবারিক নির্যাতনের কোনো স্থান নেই-শায়খ আব্দুল কাইয়ুম লিবিয়া থেকে ৩১০ বাংলাদেশি দেশে ফিরলেন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে আরও ৩০ দেশের নাগরিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা খাঁচা থেকে বের হওয়া সিংহী আড়াই ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে লন্ডনে ফ্লাই রবিবার, নির্জন কারাবাস থেকেই খালেদা জিয়ার ‘নানা রোগের সূচনা’ জানালেন ফখরুল মহাকাশ থেকে পবিত্র  কাবা শরিফের উজ্জ্বল ছবি আন্দোলনে থাকা প্রাথমিকের শিক্ষকদের বদলি, ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি স্থগিত

সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া যানে গোপালগঞ্জ ছাড়লেন এনসিপির নেতারা, সন্ত্রাসীদের ভেঙে দেওয়ার ঘোষণা
সমাবেশের প্রশংসা করল অন্তর্বর্তী সরকার

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০৯:০৩:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫
  • / 262
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

উত্তেজনাপূর্ণ ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ কর্মসূচি শেষে হামলারমুখে গোপালগঞ্জ জেলা পুলিশের কার্যালয়ে অবস্থান নেওয়া জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া যানে (এপিসি) করে গোপালগঞ্জ ছাড়েন।

গোপালগঞ্জে গিয়ে হামলার মুখে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে অবস্থান নেওয়া জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া যানে (এপিসি) করে সেখান থেকে বের হন। পরে তাঁরা সাঁজোয়া যানে করেই গোপালগঞ্জ ছাড়েন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার (১৬ জুলাই) বিকেলে গোপালগঞ্জ শহরের পৌর পার্কেএনসিপির সমাবেশ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে একদল ব্যক্তি লাঠিসোঁটা নিয়ে নেতা-কর্মীদের ঘিরে হামলা চালান। তাঁরা চারদিক থেকে এনসিপির নেতা-কর্মী ও পুলিশের গাড়ি আটকে দেন। এ সময় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা সাউন্ড গ্রেনেড ও ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। এনসিপির নেতা-কর্মীরা অন্যদিক দিয়ে গাড়ি ঘুরিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

এনসিপির নেতারা তখন গোপালগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে অবস্থান নেন। বিকেলে এনসিপির নেতারা যে সাঁজোয়া যানে করে পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে বের হন, এমন কয়েকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

ভিডিওগুলোতে দেখা যায়, এনসিপির মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম, মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ, সদস্যসচিব আখতার হোসেন ও আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম সাঁজোয়া যানে উঠছেন।

১ জুলাই থেকে ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচি পালন করছে এনসিপি। এর মধ্যে দেশের বেশ কয়েকটি জেলায় এই কর্মসূচি পালন করেছে দলটি। মাসব্যাপী এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ গোপালগঞ্জে পদযাত্রা করে দলটি। মঙ্গলবার দলের ভেরিফায়েড ফেসবুকে এই কর্মসূচিকে ‘১৬ জুলাই: মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়।

এই পদযাত্রা ঘিরে আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সদর উপজেলার উলপুর-দুর্গাপুর সড়কের খাটিয়াগড় চরপাড়ায় গাছ কেটে রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ার ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে পুলিশের গাড়িতে হামলা ও আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ওই এলাকা পরিদর্শনে গেলে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এম রাকিবুল হাসানের গাড়িতে হামলা করা হয়।

শহরের পৌর পার্কে এনসিপির সমাবেশস্থলে বেলা পৌনে ২টার দিকে প্রথমবার হামলার ঘটনা ঘটে। তখন ২০০ থেকে ৩০০ লোক লাঠিসোঁটা নিয়ে এনসিপির সমাবেশস্থলে গিয়ে হামলা চালান। সমাবেশ শেষ করার পর দ্বিতীয় দফায় হামলার ঘটনা ঘটে বেলা পৌনে তিনটার দিকে। পরে জেলায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে জানানো হয়, গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশ ঘিরে হামলা, সংঘর্ষ ও প্রাণহানির ঘটনার পর জেলাটিতে বুধবার রাত আটটা থেকে কারফিউ জারি করা হয়েছে। আগামীকাল সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত কারফিউ বলবৎ থাকবে।

নিষিদ্ধ সংগঠনের সন্ত্রাসীদের * ভেঙে দেওয়া হবে : আসিফ মাহমুদ

গোপালগঞ্জের ‘নিষিদ্ধ সংগঠনের সন্ত্রাসীদের * ভেঙে দেওয়া হবে’ বলে ঘোষণা দিয়েছেন উদ্দেশে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। বুধবার (১৬ জুলাই) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে থেকে এ ঘোষণা দেন। খেছেন তিনি।

আসিফ মাহমুদ লিখেছেন, ‘গোপালগঞ্জে কারফিউ জারি করা হয়েছে। জীবন-মৃত্যুর মতো পরিস্থিতি না হলে সাধারণ জনগণ কেউ ঘর থেকে বের হবেন না।’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘সব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। নিষিদ্ধ সংগঠনের সন্ত্রাসীদের * ভেঙে দেওয়া হবে। পুলিশ কন্ট্রোল রুম থেকে সব কিছু মনিটরিং এবং প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টাসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রধানরা।’

সমাবেশের প্রশংসা অন্তর্বর্তী সরকারের, হামলাকারীদের শাস্তি হবে 

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশে হামলার নিন্দা জানিয়েছে বিবৃতি দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। বুধবার বিকেলে ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আজ গোপালগঞ্জে যে সহিংসতা করা হয়েছে, তা কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়।

বিবৃতিতে অন্তর্বর্তী সরকার বলেছে, তরুণ নাগরিকদের শান্তিপূর্ণভাবে তাঁদের বৈপ্লবিক আন্দোলনের এক বছর পূর্তিতে স্মরণসভা করতে বাধা দেওয়া তাঁদের মৌলিক অধিকারের নির্লজ্জ লঙ্ঘন। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য, পুলিশ ও গণমাধ্যম বর্বরোচিত হামলার শিকার হয়েছে। তাদের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে এবং লোকজনকে সহিংস আক্রমণ করা হয়েছে।

নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের সদস্যরা এই হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই ঘৃণ্য কর্মকাণ্ডের শাস্তি হবে। অপরাধীদের অবশ্যই দ্রুত শনাক্ত করে পূর্ণ জবাবদিহিতার আওয়তায় আনা হবে। বাংলাদেশের কোনো নাগরিকের ওপর এ ধরনের সহিংসতার কোনো স্থান নেই।

দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ায় সেনাবাহিনী ও পুলিশের প্রশংসা করে অন্তর্বর্তী সরকার বলেছে, এ ধরনের ক্ষতির হুমকি সত্ত্বেও যেসব শিক্ষার্থী ও লোকজন তাঁদের সমাবেশ চালিয়ে গেছেন, তাঁদের সাহস ও দৃঢ়তার প্রশংসা করছি আমরা।

সরকারের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘এই বর্বরতার জন্য দায়ী ব্যক্তিরা বিচারের মুখোমুখি হবে। এটা স্পষ্ট করছি যে আমাদের দেশে সহিংসতার কোনো জায়গা নেই। অবশ্যই ন্যায়বিচার হবে এবং তা হবেই।’

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া যানে গোপালগঞ্জ ছাড়লেন এনসিপির নেতারা, সন্ত্রাসীদের ভেঙে দেওয়ার ঘোষণা
সমাবেশের প্রশংসা করল অন্তর্বর্তী সরকার

আপডেট সময় : ০৯:০৩:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫

উত্তেজনাপূর্ণ ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ কর্মসূচি শেষে হামলারমুখে গোপালগঞ্জ জেলা পুলিশের কার্যালয়ে অবস্থান নেওয়া জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া যানে (এপিসি) করে গোপালগঞ্জ ছাড়েন।

গোপালগঞ্জে গিয়ে হামলার মুখে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে অবস্থান নেওয়া জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া যানে (এপিসি) করে সেখান থেকে বের হন। পরে তাঁরা সাঁজোয়া যানে করেই গোপালগঞ্জ ছাড়েন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার (১৬ জুলাই) বিকেলে গোপালগঞ্জ শহরের পৌর পার্কেএনসিপির সমাবেশ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে একদল ব্যক্তি লাঠিসোঁটা নিয়ে নেতা-কর্মীদের ঘিরে হামলা চালান। তাঁরা চারদিক থেকে এনসিপির নেতা-কর্মী ও পুলিশের গাড়ি আটকে দেন। এ সময় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা সাউন্ড গ্রেনেড ও ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। এনসিপির নেতা-কর্মীরা অন্যদিক দিয়ে গাড়ি ঘুরিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

এনসিপির নেতারা তখন গোপালগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে অবস্থান নেন। বিকেলে এনসিপির নেতারা যে সাঁজোয়া যানে করে পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে বের হন, এমন কয়েকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

ভিডিওগুলোতে দেখা যায়, এনসিপির মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম, মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ, সদস্যসচিব আখতার হোসেন ও আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম সাঁজোয়া যানে উঠছেন।

১ জুলাই থেকে ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচি পালন করছে এনসিপি। এর মধ্যে দেশের বেশ কয়েকটি জেলায় এই কর্মসূচি পালন করেছে দলটি। মাসব্যাপী এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ গোপালগঞ্জে পদযাত্রা করে দলটি। মঙ্গলবার দলের ভেরিফায়েড ফেসবুকে এই কর্মসূচিকে ‘১৬ জুলাই: মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়।

এই পদযাত্রা ঘিরে আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সদর উপজেলার উলপুর-দুর্গাপুর সড়কের খাটিয়াগড় চরপাড়ায় গাছ কেটে রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ার ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে পুলিশের গাড়িতে হামলা ও আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ওই এলাকা পরিদর্শনে গেলে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এম রাকিবুল হাসানের গাড়িতে হামলা করা হয়।

শহরের পৌর পার্কে এনসিপির সমাবেশস্থলে বেলা পৌনে ২টার দিকে প্রথমবার হামলার ঘটনা ঘটে। তখন ২০০ থেকে ৩০০ লোক লাঠিসোঁটা নিয়ে এনসিপির সমাবেশস্থলে গিয়ে হামলা চালান। সমাবেশ শেষ করার পর দ্বিতীয় দফায় হামলার ঘটনা ঘটে বেলা পৌনে তিনটার দিকে। পরে জেলায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে জানানো হয়, গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশ ঘিরে হামলা, সংঘর্ষ ও প্রাণহানির ঘটনার পর জেলাটিতে বুধবার রাত আটটা থেকে কারফিউ জারি করা হয়েছে। আগামীকাল সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত কারফিউ বলবৎ থাকবে।

নিষিদ্ধ সংগঠনের সন্ত্রাসীদের * ভেঙে দেওয়া হবে : আসিফ মাহমুদ

গোপালগঞ্জের ‘নিষিদ্ধ সংগঠনের সন্ত্রাসীদের * ভেঙে দেওয়া হবে’ বলে ঘোষণা দিয়েছেন উদ্দেশে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। বুধবার (১৬ জুলাই) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে থেকে এ ঘোষণা দেন। খেছেন তিনি।

আসিফ মাহমুদ লিখেছেন, ‘গোপালগঞ্জে কারফিউ জারি করা হয়েছে। জীবন-মৃত্যুর মতো পরিস্থিতি না হলে সাধারণ জনগণ কেউ ঘর থেকে বের হবেন না।’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘সব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। নিষিদ্ধ সংগঠনের সন্ত্রাসীদের * ভেঙে দেওয়া হবে। পুলিশ কন্ট্রোল রুম থেকে সব কিছু মনিটরিং এবং প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টাসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রধানরা।’

সমাবেশের প্রশংসা অন্তর্বর্তী সরকারের, হামলাকারীদের শাস্তি হবে 

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশে হামলার নিন্দা জানিয়েছে বিবৃতি দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। বুধবার বিকেলে ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আজ গোপালগঞ্জে যে সহিংসতা করা হয়েছে, তা কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়।

বিবৃতিতে অন্তর্বর্তী সরকার বলেছে, তরুণ নাগরিকদের শান্তিপূর্ণভাবে তাঁদের বৈপ্লবিক আন্দোলনের এক বছর পূর্তিতে স্মরণসভা করতে বাধা দেওয়া তাঁদের মৌলিক অধিকারের নির্লজ্জ লঙ্ঘন। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য, পুলিশ ও গণমাধ্যম বর্বরোচিত হামলার শিকার হয়েছে। তাদের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে এবং লোকজনকে সহিংস আক্রমণ করা হয়েছে।

নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের সদস্যরা এই হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই ঘৃণ্য কর্মকাণ্ডের শাস্তি হবে। অপরাধীদের অবশ্যই দ্রুত শনাক্ত করে পূর্ণ জবাবদিহিতার আওয়তায় আনা হবে। বাংলাদেশের কোনো নাগরিকের ওপর এ ধরনের সহিংসতার কোনো স্থান নেই।

দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ায় সেনাবাহিনী ও পুলিশের প্রশংসা করে অন্তর্বর্তী সরকার বলেছে, এ ধরনের ক্ষতির হুমকি সত্ত্বেও যেসব শিক্ষার্থী ও লোকজন তাঁদের সমাবেশ চালিয়ে গেছেন, তাঁদের সাহস ও দৃঢ়তার প্রশংসা করছি আমরা।

সরকারের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘এই বর্বরতার জন্য দায়ী ব্যক্তিরা বিচারের মুখোমুখি হবে। এটা স্পষ্ট করছি যে আমাদের দেশে সহিংসতার কোনো জায়গা নেই। অবশ্যই ন্যায়বিচার হবে এবং তা হবেই।’