ঢাকা ০৯:৪৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ইসলামে পারিবারিক নির্যাতনের কোনো স্থান নেই-শায়খ আব্দুল কাইয়ুম লিবিয়া থেকে ৩১০ বাংলাদেশি দেশে ফিরলেন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে আরও ৩০ দেশের নাগরিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা খাঁচা থেকে বের হওয়া সিংহী আড়াই ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে লন্ডনে ফ্লাই রবিবার, নির্জন কারাবাস থেকেই খালেদা জিয়ার ‘নানা রোগের সূচনা’ জানালেন ফখরুল মহাকাশ থেকে পবিত্র  কাবা শরিফের উজ্জ্বল ছবি আন্দোলনে থাকা প্রাথমিকের শিক্ষকদের বদলি, ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি স্থগিত তারেক রহমানের দেশে ফেরা আবার অনিশ্চিত, কীভাবে ভোটার হবেন? খালেদা জিয়া ছাড়া পরিবারের কেউ ভিভিআইপি সুবিধা পাবেন না কুকুরছানা হত্যা মামলায় মায়ের সঙ্গে কারাগারে ২ বছরের শিশু

 সুলতান মনসুরের প্রতি রেলমন্ত্রীর আচরণে ভুক্তভোগীদের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া  

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০৪:০০:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ জুন ২০১৯
  • / 4132
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আহতরা বাড়ি ফেরার ও নিহতদের দাফনের তিন দিন পর দূর্ঘটনাস্থল দেখতে আসেন দুই মন্ত্রী। মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার বরমচালে গত ২৩ জুন রবিবার রাতে ভয়াবহ ট্রেন দূর্ঘটনায় নিহতদের দাফন সম্পন্ন হওয়ার পর এবং আহতরা চিকিৎসাসেবা নিয়ে বাড়ি ফেরার পর তাদের দেখতে আসেন রেলমন্ত্রী এবং বন ও পরিবেশ মন্ত্রী।

দুর্ঘটনা পরবর্তী সময়ে সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে মৌলভীবাজার -২ তথা কুলাউড়া থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ এর রেল দূর্ঘটনা ও সিলেটের সাথে ঢাকার সড়ক যোগাযোগের বিষয়টি সংসদে উপস্থাপন করেন। এর পরই সরকারের স্পট পরিদর্শনের টনক নড়ে।

সূত্রমতে, মৌলভীবাজার-২ তথা কুলাউড়া আসনের নির্বাচিত সংসদ সদস্য সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদকে অবগত না করে, তাকে সাথে নিয়ে না আসায় জনমনে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, যার ভূমিকার কারণে রেলমন্ত্রীর এই সিলেট সফর তাকে না নিয়ে এসে বন ও পরিবেশ মন্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে কেবলমাত্র ট্রেনের বগি পরিদর্শনে আসা হাস্যকর ছাড়া কিছু নয়। বরং সড়ক ও সেতুমন্ত্রী আসলে মানুষ আশ্বস্ত হত।

স্থানীয় ভুক্তভোগীরা বলেছেন ,পয়েন্ট অব অর্ডারে সুলতান মনসুরের দাবীর প্রেক্ষিতে রেলমন্ত্রীর দেয়া বক্তব্যের সিলেট টু ঢাকা ব্রডগেজ টু লাইন বাস্তবায়ন হলেই মানুষ বেশি খুশি হত। পাশাপাশি আহত এবং নিহতদের আর্থিক অনুদানের ঘোষনা প্রশংসনীয় হত।

এদিকে সিলেটে পৌঁছেই বুধবার সকাল সোয়া ১০টায় ভয়াবহ ওই ট্রেন দুর্ঘটনায় আহতদের দেখতে সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালের ক্যাজুয়ালিটি ইউনিটে যান দুই মন্ত্রী।

এ সময় সেখানে রেলমন্ত্রী নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে এক লাখ টাকা করে দেয়ার ঘোষণা দেন। এছাড়া আহতদেরকে ১০ হাজার টাকা করে অর্থ সহায়তা দেন।

হাসপাতালে রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, রেলের দুর্ঘটনা তদন্তে দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামীকাল তদন্ত রিপোর্ট পাব বলে আশা করছি। তদন্তে কারোর দায়িত্ব পালনে অবহেলা বা ত্রুটি থাকলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, অতিরিক্ত যাত্রী সবসময়ই ঝুঁকিপূর্ণ। সেটা লঞ্চ, বাস আর রেলেই হোক না কেন। কুলাউড়ায়ও অতিরিক্ত যাত্রীর জন্য এ দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।

উল্লেখ্য, গত রোববার (২৩ জুন) রাতে সিলেট থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী উপবন এক্সপ্রেস ট্রেনটি রাত ১১টা ৪৮ মিনিটে কুলাউড়া উপজেলার বরমচাল স্টেশনের পাশে বড়ছড়া ব্রিজের ওপর মারাত্মক দুর্ঘটনায় পড়ে। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক ছয়জনের লাশ উদ্ধারের কথা জানানো হলেও সোমবার সকালে পুলিশ চারজনের লাশ উদ্ধারের কথা জানায়।

 

আরও পড়ুন:

https://52banglatv.com/2019/06/9950/

 

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

 সুলতান মনসুরের প্রতি রেলমন্ত্রীর আচরণে ভুক্তভোগীদের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া  

আপডেট সময় : ০৪:০০:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ জুন ২০১৯

আহতরা বাড়ি ফেরার ও নিহতদের দাফনের তিন দিন পর দূর্ঘটনাস্থল দেখতে আসেন দুই মন্ত্রী। মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার বরমচালে গত ২৩ জুন রবিবার রাতে ভয়াবহ ট্রেন দূর্ঘটনায় নিহতদের দাফন সম্পন্ন হওয়ার পর এবং আহতরা চিকিৎসাসেবা নিয়ে বাড়ি ফেরার পর তাদের দেখতে আসেন রেলমন্ত্রী এবং বন ও পরিবেশ মন্ত্রী।

দুর্ঘটনা পরবর্তী সময়ে সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে মৌলভীবাজার -২ তথা কুলাউড়া থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ এর রেল দূর্ঘটনা ও সিলেটের সাথে ঢাকার সড়ক যোগাযোগের বিষয়টি সংসদে উপস্থাপন করেন। এর পরই সরকারের স্পট পরিদর্শনের টনক নড়ে।

সূত্রমতে, মৌলভীবাজার-২ তথা কুলাউড়া আসনের নির্বাচিত সংসদ সদস্য সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদকে অবগত না করে, তাকে সাথে নিয়ে না আসায় জনমনে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, যার ভূমিকার কারণে রেলমন্ত্রীর এই সিলেট সফর তাকে না নিয়ে এসে বন ও পরিবেশ মন্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে কেবলমাত্র ট্রেনের বগি পরিদর্শনে আসা হাস্যকর ছাড়া কিছু নয়। বরং সড়ক ও সেতুমন্ত্রী আসলে মানুষ আশ্বস্ত হত।

স্থানীয় ভুক্তভোগীরা বলেছেন ,পয়েন্ট অব অর্ডারে সুলতান মনসুরের দাবীর প্রেক্ষিতে রেলমন্ত্রীর দেয়া বক্তব্যের সিলেট টু ঢাকা ব্রডগেজ টু লাইন বাস্তবায়ন হলেই মানুষ বেশি খুশি হত। পাশাপাশি আহত এবং নিহতদের আর্থিক অনুদানের ঘোষনা প্রশংসনীয় হত।

এদিকে সিলেটে পৌঁছেই বুধবার সকাল সোয়া ১০টায় ভয়াবহ ওই ট্রেন দুর্ঘটনায় আহতদের দেখতে সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালের ক্যাজুয়ালিটি ইউনিটে যান দুই মন্ত্রী।

এ সময় সেখানে রেলমন্ত্রী নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে এক লাখ টাকা করে দেয়ার ঘোষণা দেন। এছাড়া আহতদেরকে ১০ হাজার টাকা করে অর্থ সহায়তা দেন।

হাসপাতালে রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, রেলের দুর্ঘটনা তদন্তে দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামীকাল তদন্ত রিপোর্ট পাব বলে আশা করছি। তদন্তে কারোর দায়িত্ব পালনে অবহেলা বা ত্রুটি থাকলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, অতিরিক্ত যাত্রী সবসময়ই ঝুঁকিপূর্ণ। সেটা লঞ্চ, বাস আর রেলেই হোক না কেন। কুলাউড়ায়ও অতিরিক্ত যাত্রীর জন্য এ দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।

উল্লেখ্য, গত রোববার (২৩ জুন) রাতে সিলেট থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী উপবন এক্সপ্রেস ট্রেনটি রাত ১১টা ৪৮ মিনিটে কুলাউড়া উপজেলার বরমচাল স্টেশনের পাশে বড়ছড়া ব্রিজের ওপর মারাত্মক দুর্ঘটনায় পড়ে। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক ছয়জনের লাশ উদ্ধারের কথা জানানো হলেও সোমবার সকালে পুলিশ চারজনের লাশ উদ্ধারের কথা জানায়।

 

আরও পড়ুন:

https://52banglatv.com/2019/06/9950/