ঢাকা ০৬:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

সিলেট অঞ্চলে ভূমিকম্প, উৎপত্তিস্থল ছাতক

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০৩:৪২:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / 103

ভূমিকম্প। প্রতীকী ছবি

অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মাত্র সাত দিনের ব্যবধানে দেশে আবারো ভূমিকম্প হলো। আজ রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুর সোয়া ১২টার পর সিলেট অঞ্চলে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জের ছাতক এলাকা ছিল এ ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৪। এর আগে গত ১৪ সেপ্টেম্বর রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছিল। তবে সেটির উৎপত্তিস্থল ছিল ভারতের আসাম রাজ্যে, যার মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৯।

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণাকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রুবাইয়াত কবীর বলেন, ‘আজকের ভূমিকম্পের রেকর্ড আমাদের কাছে আছে। এর মাত্রা ছিল ৪। যদিও এটি স্বল্পমাত্রার ভূমিকম্প, তবে এর উৎপত্তিস্থল সিলেটের ছাতক।’

আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আজ রবিবার দুপুর ১২টা ১৯ মিনিটে ভূমিকম্পটি অনুভূত হয়। এর উৎপত্তিস্থল রাজধানী ঢাকা থেকে প্রায় ১৮৫ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে।

গত ১৪ সেপ্টেম্বরের ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল ভারতের আসামের রাজধানী গুয়াহাটি থেকে দূরে, আসাম ভ্যালি ও হিমালয়ের মধ্যবর্তী এলাকায়। সেটি মাঝারি থেকে তীব্র মাত্রার ভূমিকম্প ছিল।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ও ভূমিকম্পবিশেষজ্ঞ সৈয়দ হুমায়ুন আখতার বলেন, ‘আজকের ভূমিকম্পের কেন্দ্র ডাউকি ফল্ট (ডাউকি চ্যুতি) এলাকায়। বাংলাদেশের দুটি প্রধান ভূমিকম্প উৎস আছে—একটি উত্তর দিকে, আরেকটি পূর্ব দিকে। উত্তর দিকের ডাউকি ফল্ট অঞ্চল অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। তাই আজকের ভূমিকম্প ছোট হলেও এটি একটি সতর্কবার্তা।’

তিনি আরও জানান, ‘এই একই এলাকায় ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে একাধিক ভূমিকম্প হয়েছিল, যার মাত্রা ছিল ৪ বা তারও বেশি। ফলে এলাকাটি ক্রমেই বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে।’

ইতিহাসের তথ্য টেনে অধ্যাপক হুমায়ুন আখতার বলেন, ‘১৭৮৭ সালের ভূমিকম্পে ডাউকি ফল্ট এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদীর গতিপথ বদলে যায়। এর ১১০ বছর পর, ১৮৯৭ সালে, এখানেই ঘটে ‘গ্রেট ইন্ডিয়া আর্থকোয়েক’। ওই ভূমিকম্পে শুধু আসাম ও মেঘালয় নয়, ঢাকা শহরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তখন রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৮ দশমিক ২। ঢাকায় পাঁচজন নিহত হন। ঐতিহাসিক তথ্য ঘেঁটে জানা যায়, ভূমিকম্পের পর ইংরেজ কর্মকর্তারা কয়েক মাস রমনায় তাঁবুতে থাকতেন, আবার কেউ কেউ বুড়িগঙ্গায় বজরায় বসবাস করতেন।’

নিউজটি শেয়ার করুন

সিলেট অঞ্চলে ভূমিকম্প, উৎপত্তিস্থল ছাতক

আপডেট সময় : ০৩:৪২:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

মাত্র সাত দিনের ব্যবধানে দেশে আবারো ভূমিকম্প হলো। আজ রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুর সোয়া ১২টার পর সিলেট অঞ্চলে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জের ছাতক এলাকা ছিল এ ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৪। এর আগে গত ১৪ সেপ্টেম্বর রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছিল। তবে সেটির উৎপত্তিস্থল ছিল ভারতের আসাম রাজ্যে, যার মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৯।

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণাকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রুবাইয়াত কবীর বলেন, ‘আজকের ভূমিকম্পের রেকর্ড আমাদের কাছে আছে। এর মাত্রা ছিল ৪। যদিও এটি স্বল্পমাত্রার ভূমিকম্প, তবে এর উৎপত্তিস্থল সিলেটের ছাতক।’

আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আজ রবিবার দুপুর ১২টা ১৯ মিনিটে ভূমিকম্পটি অনুভূত হয়। এর উৎপত্তিস্থল রাজধানী ঢাকা থেকে প্রায় ১৮৫ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে।

গত ১৪ সেপ্টেম্বরের ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল ভারতের আসামের রাজধানী গুয়াহাটি থেকে দূরে, আসাম ভ্যালি ও হিমালয়ের মধ্যবর্তী এলাকায়। সেটি মাঝারি থেকে তীব্র মাত্রার ভূমিকম্প ছিল।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ও ভূমিকম্পবিশেষজ্ঞ সৈয়দ হুমায়ুন আখতার বলেন, ‘আজকের ভূমিকম্পের কেন্দ্র ডাউকি ফল্ট (ডাউকি চ্যুতি) এলাকায়। বাংলাদেশের দুটি প্রধান ভূমিকম্প উৎস আছে—একটি উত্তর দিকে, আরেকটি পূর্ব দিকে। উত্তর দিকের ডাউকি ফল্ট অঞ্চল অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। তাই আজকের ভূমিকম্প ছোট হলেও এটি একটি সতর্কবার্তা।’

তিনি আরও জানান, ‘এই একই এলাকায় ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে একাধিক ভূমিকম্প হয়েছিল, যার মাত্রা ছিল ৪ বা তারও বেশি। ফলে এলাকাটি ক্রমেই বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে।’

ইতিহাসের তথ্য টেনে অধ্যাপক হুমায়ুন আখতার বলেন, ‘১৭৮৭ সালের ভূমিকম্পে ডাউকি ফল্ট এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদীর গতিপথ বদলে যায়। এর ১১০ বছর পর, ১৮৯৭ সালে, এখানেই ঘটে ‘গ্রেট ইন্ডিয়া আর্থকোয়েক’। ওই ভূমিকম্পে শুধু আসাম ও মেঘালয় নয়, ঢাকা শহরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তখন রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৮ দশমিক ২। ঢাকায় পাঁচজন নিহত হন। ঐতিহাসিক তথ্য ঘেঁটে জানা যায়, ভূমিকম্পের পর ইংরেজ কর্মকর্তারা কয়েক মাস রমনায় তাঁবুতে থাকতেন, আবার কেউ কেউ বুড়িগঙ্গায় বজরায় বসবাস করতেন।’