ঢাকা ১০:০৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ইসলামে পারিবারিক নির্যাতনের কোনো স্থান নেই-শায়খ আব্দুল কাইয়ুম লিবিয়া থেকে ৩১০ বাংলাদেশি দেশে ফিরলেন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে আরও ৩০ দেশের নাগরিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা খাঁচা থেকে বের হওয়া সিংহী আড়াই ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে লন্ডনে ফ্লাই রবিবার, নির্জন কারাবাস থেকেই খালেদা জিয়ার ‘নানা রোগের সূচনা’ জানালেন ফখরুল মহাকাশ থেকে পবিত্র  কাবা শরিফের উজ্জ্বল ছবি আন্দোলনে থাকা প্রাথমিকের শিক্ষকদের বদলি, ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি স্থগিত তারেক রহমানের দেশে ফেরা আবার অনিশ্চিত, কীভাবে ভোটার হবেন? খালেদা জিয়া ছাড়া পরিবারের কেউ ভিভিআইপি সুবিধা পাবেন না কুকুরছানা হত্যা মামলায় মায়ের সঙ্গে কারাগারে ২ বছরের শিশু

সারা বিশ্বের মানুষকে ঋণ দেব আমরা: অর্থমন্ত্রী

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০৭:৫০:৪৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩০ জুন ২০১৯
  • / 1990
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ‘আমরা বেশি ঋণ করি কি না? আমাদের ঋণের পরিমাণ জিডিপির ৫ শতাংশ। মালয়েশিয়ার এর চেয়ে বেশি। ঋণের পরিমাণ হিসাব করা হয় জিডিপি দিয়ে। আমরা ঋণ নেই চায়নার কাছ থেকে। চায়নার ঋণের পরিমাণ জিডিপির ২৮৪ শতাংশ। ওরা আমাদের ঋণ দেয়। আমাদের ঋণের পরিমাণ জিডিপির ৩৪ শতাংশ। ২০৩০ সাল নাগাদ আমরা আর ঋণ নেব না। আমরা ঋণ দেব ইনশাল্লাহ। সারা বিশ্বের মানুষকে ঋণ দেব আমরা।’ শনিবার জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটের সমাপনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রস্তাবিত ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটের সুফল ২০২৪ সাল পর্যন্ত পাওয়া যাবে দাবি করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এ বাজেটটি শুধু একটি বছরের জন্য নয়। এ বাজেটের ফাউন্ডেশন এ বছর। কিন্তু এ বাজেট থেকে ২০৩০ সাল পর্যন্ত অর্জন করতে পারব। সেভাবে আমরা বাজেটটি প্রণয়ন করেছি। আমি বিশ্বাস করি, ২০২৪ সালে আমরা ডাবল ডিজিট গ্রোথে পা রাখব। ২০২৪ সাল থেকে শুরু করে ২০৩০ সাল পর্যন্ত এ বাজেটের ফলাফল পাব।’

তিনি বলেন, ‘একটা দেশ এবং জাতির সঙ্গে অনেক মিল আছে। মানুষের জীবনে যেমনিভাবে সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়, ঠিক তেমনিভাবে দেশের ক্ষেত্রেও সেটা সম্ভব হয়। দেশের ক্ষেত্রে সম্ভব হয় বলেই আমরা আমাদের এ বাজেটে টাইটেল রেখেছি- ‘‘সময় এবার আমাদের, সময় এখন বাংলাদেশের’’-এটা ইচ্ছাকৃতভাবে লেখা হয়েছে।’

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কী দেখতে পাই? আমরা যদি মালয়েশিয়ার দিকে তাকাই? ৩০ বছরের মধ্যে মালয়েশিয়া চলে গেছে তাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে, কাঙ্ক্ষিত জায়গায়। চায়নার অবস্থা কি ছিল? চায়না সবচেয়ে দরিদ্র দেশ ছিল। চায়নায় কোনো খাবার ছিল না। চায়না আজকে পৃথিবীর এক নম্বর দেশ।’

তিনি বলেন, ‘যদি চায়না পারে, মালয়েশিয়া পারে, সাউথ কোরিয়া পারে তাহলে বাংলাদেশ অবশ্যই পারবে। আমরা গত ১০ বছরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে নিরলস পরিশ্রম করে সবাই মিলে বাংলাদেশকে যে জায়গায় নিয়ে এসেছি। ট্রেন একবার যখন ট্র্যাকের উপর উঠে যায় তখন আর ট্রেন পেছনের দিকে যায় না। কোনো জাতি নাই আমাদের এখান থেকে গতিচ্যুত করতে পারবে। আমরা এগোবই, এগোবই ইনশাল্লাহ।’

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

সারা বিশ্বের মানুষকে ঋণ দেব আমরা: অর্থমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৭:৫০:৪৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩০ জুন ২০১৯

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ‘আমরা বেশি ঋণ করি কি না? আমাদের ঋণের পরিমাণ জিডিপির ৫ শতাংশ। মালয়েশিয়ার এর চেয়ে বেশি। ঋণের পরিমাণ হিসাব করা হয় জিডিপি দিয়ে। আমরা ঋণ নেই চায়নার কাছ থেকে। চায়নার ঋণের পরিমাণ জিডিপির ২৮৪ শতাংশ। ওরা আমাদের ঋণ দেয়। আমাদের ঋণের পরিমাণ জিডিপির ৩৪ শতাংশ। ২০৩০ সাল নাগাদ আমরা আর ঋণ নেব না। আমরা ঋণ দেব ইনশাল্লাহ। সারা বিশ্বের মানুষকে ঋণ দেব আমরা।’ শনিবার জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটের সমাপনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রস্তাবিত ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটের সুফল ২০২৪ সাল পর্যন্ত পাওয়া যাবে দাবি করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এ বাজেটটি শুধু একটি বছরের জন্য নয়। এ বাজেটের ফাউন্ডেশন এ বছর। কিন্তু এ বাজেট থেকে ২০৩০ সাল পর্যন্ত অর্জন করতে পারব। সেভাবে আমরা বাজেটটি প্রণয়ন করেছি। আমি বিশ্বাস করি, ২০২৪ সালে আমরা ডাবল ডিজিট গ্রোথে পা রাখব। ২০২৪ সাল থেকে শুরু করে ২০৩০ সাল পর্যন্ত এ বাজেটের ফলাফল পাব।’

তিনি বলেন, ‘একটা দেশ এবং জাতির সঙ্গে অনেক মিল আছে। মানুষের জীবনে যেমনিভাবে সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়, ঠিক তেমনিভাবে দেশের ক্ষেত্রেও সেটা সম্ভব হয়। দেশের ক্ষেত্রে সম্ভব হয় বলেই আমরা আমাদের এ বাজেটে টাইটেল রেখেছি- ‘‘সময় এবার আমাদের, সময় এখন বাংলাদেশের’’-এটা ইচ্ছাকৃতভাবে লেখা হয়েছে।’

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কী দেখতে পাই? আমরা যদি মালয়েশিয়ার দিকে তাকাই? ৩০ বছরের মধ্যে মালয়েশিয়া চলে গেছে তাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে, কাঙ্ক্ষিত জায়গায়। চায়নার অবস্থা কি ছিল? চায়না সবচেয়ে দরিদ্র দেশ ছিল। চায়নায় কোনো খাবার ছিল না। চায়না আজকে পৃথিবীর এক নম্বর দেশ।’

তিনি বলেন, ‘যদি চায়না পারে, মালয়েশিয়া পারে, সাউথ কোরিয়া পারে তাহলে বাংলাদেশ অবশ্যই পারবে। আমরা গত ১০ বছরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে নিরলস পরিশ্রম করে সবাই মিলে বাংলাদেশকে যে জায়গায় নিয়ে এসেছি। ট্রেন একবার যখন ট্র্যাকের উপর উঠে যায় তখন আর ট্রেন পেছনের দিকে যায় না। কোনো জাতি নাই আমাদের এখান থেকে গতিচ্যুত করতে পারবে। আমরা এগোবই, এগোবই ইনশাল্লাহ।’