ঢাকা ০১:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
আরও পেছাল খালেদা জিয়ার লন্ডনযাত্রা ইসলামে পারিবারিক নির্যাতনের কোনো স্থান নেই-শায়খ আব্দুল কাইয়ুম লিবিয়া থেকে ৩১০ বাংলাদেশি দেশে ফিরলেন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে আরও ৩০ দেশের নাগরিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা খাঁচা থেকে বের হওয়া সিংহী আড়াই ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে লন্ডনে ফ্লাই রবিবার, নির্জন কারাবাস থেকেই খালেদা জিয়ার ‘নানা রোগের সূচনা’ জানালেন ফখরুল মহাকাশ থেকে পবিত্র  কাবা শরিফের উজ্জ্বল ছবি আন্দোলনে থাকা প্রাথমিকের শিক্ষকদের বদলি, ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি স্থগিত তারেক রহমানের দেশে ফেরা আবার অনিশ্চিত, কীভাবে ভোটার হবেন? খালেদা জিয়া ছাড়া পরিবারের কেউ ভিভিআইপি সুবিধা পাবেন না

সব বিষয়ে ঐকমত্য ‘সম্ভব নয়’—উপলব্ধি আলী রীয়াজের

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০৩:১৩:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫
  • / 299
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নাগরিক সমাজের সঙ্গে মতবিনিময়ের সূচনা বক্তব্যে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর আদর্শিক ভিন্নতার কারণে সব বিষয়ে ঐকমত্য সম্ভব নয়—এটাই বাস্তবতা।

রবিবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে অনুষ্ঠিত সংলাপে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় এ কথা বলেন তিনি।

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে ‘বাংলাদেশকে পাল্টে দেওয়ার’ লক্ষ্যে ১১টি কমিশন গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এর মধ্যে ৬টি ইতোমধ্যে তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।

আলী রীয়াজ জানান, ঐকমত্য কমিশন ইতোমধ্যে ৩৩টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ করেছে এবং কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক বিষয়ে দলগুলোর মধ্যে কিছু মাত্রায় ঐকমত্য গড়ে উঠেছে। তবে কিছু বিষয়ে এখনো ঐকমত্য তৈরি হয়নি।
তার ভাষায়,  “দলগুলোর রাজনৈতিক আদর্শিক অবস্থানের কারণে মতপার্থক্য থাকবে, সব বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে না, এটা হচ্ছে বাস্তব।”

তিনি মনে করেন, কেবল রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা যথেষ্ট নয়। “নাগরিক সমাজের মধ্যেও এক ধরনের ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করা দরকার,”—বলেন আলী রীয়াজ।

যেসব বিষয়ে এখনো ঐকমত্য হয়নি, সেসব জনগণকে জানানো জরুরি বলে মত দেন তিনি। সত্যের জন্য এবং জনগণকে ভবিষ্যতের রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা করার জন্য আমরা মনে করি, এসব জানানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ,”—বলেন তিনি।

আলী রীয়াজ আরও জানান, জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে যে ‘সনদ’ তৈরি হচ্ছে, তার পাশাপাশি যে প্রতিবেদন তৈরি করা হচ্ছে, তাতে নাগরিক সমাজের মতামতও অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

তিনি বলেন, “আমরা এখন একটি মাহেন্দ্রক্ষণে দাঁড়িয়ে আছি। একটি অমিত সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তবে যেকোনো সম্ভাবনা সঙ্গে করে আনে কঠিন চ্যালেঞ্জ। এই পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জগুলোও অত্যন্ত জটিল।”

রাষ্ট্রের কাঠামোয় কিছু প্রাতিষ্ঠানিক পরিবর্তনের প্রয়াস চলছে উল্লেখ করে আলী রীয়াজ বলেন, “এটা সহজ কোনো কাজ নয়।” ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণঅভ্যুত্থানে রক্তপাত, প্রাণহানি ও আত্মত্যাগের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, “এই আত্মত্যাগের কাছে আমাদের দায় আছে। সেই দায়বদ্ধতা থেকেই আমরা প্রত্যাশা করি, সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাঠামোগত পরিবর্তনের লক্ষ্যে সক্রিয় ভূমিকা রাখবে।”

এই সংলাপে নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে অংশ নেন: আ ন ম মুনীরুজ্জামান, গীতিআরা নাসরিন, সামিনা লুৎফা, ওয়ারেসুল করিম, আশরাফুন নাহার মিষ্টি, চৌধুরী সামিউল হক, মির্জা হাসান, ইলারা দেওয়ান, সাইদা সুলতানা রাজিয়া, বাসদেব ধর, সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবীর এবং বিচারপতি এম এ মতিন।

কমিশনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন: বদিউল আলম মজুমদার, সফররাজ হোসেন, ইফতেখারুজ্জামান, মো. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

সব বিষয়ে ঐকমত্য ‘সম্ভব নয়’—উপলব্ধি আলী রীয়াজের

আপডেট সময় : ০৩:১৩:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫

নাগরিক সমাজের সঙ্গে মতবিনিময়ের সূচনা বক্তব্যে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর আদর্শিক ভিন্নতার কারণে সব বিষয়ে ঐকমত্য সম্ভব নয়—এটাই বাস্তবতা।

রবিবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে অনুষ্ঠিত সংলাপে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় এ কথা বলেন তিনি।

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে ‘বাংলাদেশকে পাল্টে দেওয়ার’ লক্ষ্যে ১১টি কমিশন গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এর মধ্যে ৬টি ইতোমধ্যে তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।

আলী রীয়াজ জানান, ঐকমত্য কমিশন ইতোমধ্যে ৩৩টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ করেছে এবং কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক বিষয়ে দলগুলোর মধ্যে কিছু মাত্রায় ঐকমত্য গড়ে উঠেছে। তবে কিছু বিষয়ে এখনো ঐকমত্য তৈরি হয়নি।
তার ভাষায়,  “দলগুলোর রাজনৈতিক আদর্শিক অবস্থানের কারণে মতপার্থক্য থাকবে, সব বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে না, এটা হচ্ছে বাস্তব।”

তিনি মনে করেন, কেবল রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা যথেষ্ট নয়। “নাগরিক সমাজের মধ্যেও এক ধরনের ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করা দরকার,”—বলেন আলী রীয়াজ।

যেসব বিষয়ে এখনো ঐকমত্য হয়নি, সেসব জনগণকে জানানো জরুরি বলে মত দেন তিনি। সত্যের জন্য এবং জনগণকে ভবিষ্যতের রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা করার জন্য আমরা মনে করি, এসব জানানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ,”—বলেন তিনি।

আলী রীয়াজ আরও জানান, জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে যে ‘সনদ’ তৈরি হচ্ছে, তার পাশাপাশি যে প্রতিবেদন তৈরি করা হচ্ছে, তাতে নাগরিক সমাজের মতামতও অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

তিনি বলেন, “আমরা এখন একটি মাহেন্দ্রক্ষণে দাঁড়িয়ে আছি। একটি অমিত সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তবে যেকোনো সম্ভাবনা সঙ্গে করে আনে কঠিন চ্যালেঞ্জ। এই পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জগুলোও অত্যন্ত জটিল।”

রাষ্ট্রের কাঠামোয় কিছু প্রাতিষ্ঠানিক পরিবর্তনের প্রয়াস চলছে উল্লেখ করে আলী রীয়াজ বলেন, “এটা সহজ কোনো কাজ নয়।” ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণঅভ্যুত্থানে রক্তপাত, প্রাণহানি ও আত্মত্যাগের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, “এই আত্মত্যাগের কাছে আমাদের দায় আছে। সেই দায়বদ্ধতা থেকেই আমরা প্রত্যাশা করি, সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাঠামোগত পরিবর্তনের লক্ষ্যে সক্রিয় ভূমিকা রাখবে।”

এই সংলাপে নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে অংশ নেন: আ ন ম মুনীরুজ্জামান, গীতিআরা নাসরিন, সামিনা লুৎফা, ওয়ারেসুল করিম, আশরাফুন নাহার মিষ্টি, চৌধুরী সামিউল হক, মির্জা হাসান, ইলারা দেওয়ান, সাইদা সুলতানা রাজিয়া, বাসদেব ধর, সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবীর এবং বিচারপতি এম এ মতিন।

কমিশনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন: বদিউল আলম মজুমদার, সফররাজ হোসেন, ইফতেখারুজ্জামান, মো. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।