সচিবালয়ে বিক্ষোভ, অধ্যাদেশ প্রত্যাহার না পর্যন্ত কাজে না ফেরার ঘোষণা
- আপডেট সময় : ০৩:২৪:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫
- / 260

‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়া বাতিল না হওয়া পর্যন্ত সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কাজে ফিরবেন না বলে জানিয়েছেন আন্দোলনরত কর্মীরা। তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, প্রয়োজনে সব ফটক বন্ধ করে সচিবালয় অচল করে দেওয়া হবে।
রবিবার (২৫ মে ২০২৫) সচিবালয়ের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ চলাকালে এই ঘোষণা দেন বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি মো. বাদিউল কবীর।
তিনি বলেন, “এই অধ্যাদেশের মাধ্যমে যে অপপ্রয়াস নেওয়া হচ্ছে, আমরা তা প্রতিহত করব ইনশাআল্লাহ। এটি একটি নিপীড়নমূলক আইন।”
বাদিউল কবীর আরও জানান, “এই অধ্যাদেশ পুরোপুরি প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত আমরা সচিবালয়ের বাদামতলায় (৬ নম্বর ভবনের সামনে) অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাব।”
বিক্ষোভকারীরা বলেন, “আমরা অনেক উপদেষ্টা ও সচিবের সঙ্গে কথা বলেছি, কিন্তু কেউ আমাদের আশ্বস্ত করতে পারেননি। তাই বাধ্য হয়ে আন্দোলনে নেমেছি।” পাশাপাশি তারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন, প্রয়োজন হলে সচিবালয়ের সব ফটক বন্ধ করে কার্যক্রম স্থবির করে দেওয়া হবে।
২০১৮ সালের সরকারি চাকরি আইনের সংশোধিত খসড়া নিয়ে তীব্র অসন্তোষ রয়েছে সচিবালয়ের সব স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে। প্রস্তাবিত অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, শৃঙ্খলা ভঙ্গ, কর্তব্যে অবহেলা, ছুটি না নিয়ে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকা বা দায়িত্ব না পালনের ক্ষেত্রে চাকরিচ্যুতির বিধান কার্যকর হবে। কিন্তু এতে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ রাখা হয়নি—এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কর্মীরা।
গত ২২ মে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। তবে বিষয়টি পুনর্বিবেচনার জন্য চারজন উপদেষ্টাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার এবং রবিবারের প্রতিবাদ কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় রবিবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সচিবালয়ের ৬ নম্বর ভবনের সামনে বাদামতলায় কর্মচারীরা জমায়েত হতে থাকেন। সকাল ১০টার মধ্যে সেখানে বিপুলসংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারী একত্র হন।
বিক্ষোভ মিছিলের নেতৃত্ব দেন মো. নূরুল ইসলাম, মো. মুজাহিদুল ইসলাম, মো. বাদিউল কবীর এবং মো. নিজাম উদ্দিন আহমেদ। মিছিল সচিবালয় এলাকা প্রদক্ষিণ করে ৪ নম্বর ভবনে গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খানের দপ্তরের সামনে যায়, তবে তিনি সেসময় দপ্তরে উপস্থিত ছিলেন না।
শেষে বিক্ষোভকারীরা সচিবালয়ের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে বসে পড়েন। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ফটক বন্ধ করে দেয়। প্রায় ২০ মিনিট ফটক বন্ধ থাকায় কেউ ভেতরে ঢুকতে বা বের হতে পারেননি।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, “আমাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।”


















