শেরপুরে ৫ বছরের শিশু, কেরাণীগঞ্জে অন্তঃসত্ত্বা তরুণীকে ‘দলবেঁধে ধর্ষণ’, গ্রেপ্তার ৩
- আপডেট সময় : ০৪:৩৭:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ মার্চ ২০২৫
- / 263

মাগুরায় আট বছরের শিশুর ধর্ষকের ফাঁসির দাবিতে সারাদেশ যখন প্রতিবাদে উত্তাল তখনই দেশের বিভিন্ন স্থানে আরও নৃশংস ধর্ষণের খবর হওয়া গেছে। এর মধ্যে শেরপুরে ৫ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে বৃদ্ধ গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কেরাণীগঞ্জে অন্তঃসত্ত্বা তরুণীকে ‘দলবেঁধে ধর্ষণ’এর অভিযোগে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শেরপুরের নকলা উপজেলায় ৫ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে এক বৃদ্ধকে গ্রেপ্তারের পর কারাগারে পাঠানো হয়েছে। শনিবার (৮ মার্চ ২০২৫) দুপুরে নকলা উপজেলায় এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। পরে শিশুটির বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা করলে রাতেই বৃদ্ধকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন নকলা থানার ওসি হাবিবুর রহমান।
গ্রেপ্তার ৬০ বছর বয়সী চান মিয়া ওরফে লছা মিয়ার সঙ্গে ওই শিশুটির প্রতিবেশি দাদা-নাতনি সম্পর্ক। রবিবার লছা মিয়াকে আদালতে পাঠানো হলে তাকে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।
মামলার বরাতে পুলিশ জানায়, শনিবার বেলা আড়াইটার দিকে চান মিয়া শিশুটিকে ‘মজা খাওয়ানোর’ কথা বলে বাড়ির পাশের একটি ভুট্টা ক্ষেতে নিয়ে যান। সেখানে শিশুটিকে ধর্ষণ করেন তিনি। এ সময় শিশুটি চিৎকার শুরু করলে তাকে ২০ টাকা হাতে দিয়ে শান্ত করার চেষ্টা করেন। টের পেয়ে শিশুটির মা ভুট্টা ক্ষেতে গিয়ে দেখেন ভুক্তভোগী শিশুটি মাটিতে কাতরাচ্ছে। শিশুটিকে ফেলে রেখে দৌড়ে পালাচ্ছেন চান মিয়া।
স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, শনিবার বেলা আড়াইটার দিকে চান মিয়া শিশু প্রতিবেশি নাতনিকে মজা খাওয়নোর লোভ দেখিয়ে বাড়ির পাশের একটি ভুট্টা ক্ষেতে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে শিশুটি চিৎকার শুরু করলে তাকে শান্ত করার উদ্যেশে কিছু কিনে খাওয়ার জন্য ২০ টাকা হাতে দেয়।
শিশুটির মা পরিবারের লোকজনদের সঙ্গে ধর্ষণের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করলে শিশুর বাবা নকলা থানায় গিয়ে মামলা দায়ের করেন। পরে চান মিয়া এলাকার বিভিন্ন জনের মাধ্যমে বিষয়টি ধামাচাপা দিয়ে আপোস-মীমাংসার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। পরে শিশুটির বাবা থানায় মামলা করেন।
ওসি হাবিবুর রহমান বলেন, শিশুকে ধর্ষণে থানায় মামলা হলে অভিযান চালিয়ে রাতেই চান মিয়াকে (লছা মিয়া) গ্রেপ্তার করা হয়।
ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য শিশুটিকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট শেরপুর জেলা সদর হাপাতালে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান ওসি।
কেরাণীগঞ্জে অন্তঃসত্ত্বা তরুণীকে ‘দলবেঁধে ধর্ষণ’, গ্রেপ্তার ২
মাগুরায় শিশু ধর্ষণের ঘটনার আলোচনার মধ্যে ঢাকার কেরাণীগঞ্জে এক অন্তঃসত্ত্বা তরুণী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শনিবার রাত ১২টার দিকে দক্ষিণ পানগাঁও এলাকায় এই নির্যাতনের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন জাজিরা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মোশারফ হোসেন মিয়া।
তিনি বলেন, স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে পুলিশ। শারীরিক পরীক্ষার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেলের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলেন- আশরাফুল ইসলাম সিয়াম (১৯) ও দীপ সরকার (২০)।
পুলিশ কর্মকর্তা মোশারফ বলেন, ভুক্তভোগী পুলিশকে বলেছে, বেশ কিছুদিন আগে তার বিয়ে হয়। চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় তাকে ছেড়ে যান স্বামী। ওই নারী শনিবার বাড়ি (পাশের একটি জেলা) থেকে সদরঘাটে আসে। তাকে খাওয়া ও থাকার আশ্বাস দিয়ে পানগাঁও ঋষিপাড়া নয়াবাড়ি এলাকায় বুড়ির পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে যায় তিনজন।”সেখানে তারা আড়াই ঘণ্টা ধরে নির্যাতন চালায় বলে জানান পরিদর্শক মোশারফ।
পুলিশের ভাষ্য, খুবই দরিদ্র পরিবারের ওই তরুণী কাজের আশায় ঢাকায় এসেছিলেন। এই অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে তিনজন।
এ ঘটনায় মামলা হয়েছে জানিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা মোশাররফ বলেন, পলাতক একজনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।


















