ঢাকা ০৬:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

লেবাননে বিস্ফোরণে চিকিৎসা পাচ্ছেন না
আগামী সপ্তাহে দেশে পাঠানো হবে বিস্ফোরণে নিহত চার বাংলাদেশির মরদেহ

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০৮:২১:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ অগাস্ট ২০২০
  • / 962
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

প্রবাসী বাংলাদেশিরা বিনা চিকিৎসায় মানবেতর দিন পার করছেন, লেবাননের বৈরুতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে আহত অনেক বাংলাদেশি শ্রমিক। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গেলেও ঠিক মতো মিলছে না পরিচর্যা, এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা। এদিকে দূতাবাস বলছে, সাধ্য মতো সহযোগিতা করা হচ্ছে। আগামী সপ্তাহে দেশে পাঠানো হবে বিস্ফোরণে নিহত চার বাংলাদেশির মরদেহ।
সেদিনের দুঃসহ স্মৃতি কিছুতেই ভুলতে পারছেন না বৈরুত বন্দর এলাকায় কর্মরত বাংলাদেশি শ্রমিকরা। মৃত্যু খুব কাছ থেকে দেখার পর শরীরে বয়ে বেড়াচ্ছেন ক্ষত।

বাংলাদেশি শ্রমিকরা বলেন, ‘আমার মাথায় কাছ ভেঙে পড়ে, এবং গ্লাস এ আমার হাত কেটে যায়। তারপর আমার আর হুস থাকে না কে আমাকে নিয়ে গেছে আমি জানি না।’

আরেকজন শ্রমিক বলেন, ‘বৃষ্টির মতো গ্লাস ভেঙে পড়েছে। আমার মাথা কেটে যায়, আমার দুই হাত কেটে যায়। আমার ঘাড়ের উপরের অংশে কেটে যায়, পা কেটে যায়।’

আরো বলেন, ‘অজ্ঞানের মতো অবস্থায় ছিলাম, যা আসলে বলা যাবে না। আমার ওখানে যারা লোক ছিলো তারা আমাকে টেনে বের করে নিয়ে যায়।’

লণ্ডভণ্ড জীবনে, লেবাননে বাড়ছে ক্ষোভ, স্থানীয়দের পাশাপাশি বাংলাদেশিরাও ফুঁসছেন।

বাংলাদেশি একজন মহিলা শ্রমিক বলেন, ‘সরকারের কাছে এইটুকু অনুরোধ যেন আমাদের খাবারের কষ্ট করার আগে আমাদেরকে বাংলাদেশে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।’

অন্যান্য প্রবাসীরা বলেন, ‘অনেক কষ্ট অনেক যন্ত্রণা, কেউ খাচ্ছে কেউ খাচ্ছে না। আমরা ভালো নেই। আমাদেরকে কোনো রকম ব্যান্ডেজ করে ছেড়ে দিচ্ছে।’

যদিও বাংলাদেশ দূতাবাস বলছে, আহতদের খুঁজে খুঁজে চিকিৎসা দেয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এছাড়া প্রথম দিন থেকেই সেবা পাওয়া আহত অনেক বাংলাদেশি এখন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। নিহত চারজনের মরদেহ আগামী সপ্তাহেই দেশে আনা হবে।

লেবাননে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রথম সচিব আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘বাংলাদেশি যারা হাসপাতালে গিয়েছে তারা অনেকেই সুস্থ হয়ে গেছে। ৬/৭ জন এখনো হাসপাতালে আছে। যারা মারা গেছে তাদের আমরা শিগগিরই পাঠিয়ে দিবো। আমরা গতকালকে তাদের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করেছি। দ্রুত সম্ভব তাদের পাঠিয়ে দিবো।’
লেবাননে দেড় লাখের বেশি বাংলাদেশির বসবাস। বৈরুতের ওই বন্দর এলাকায় বসবাস ও কাজ করতেন ২০ হাজারের মতো প্রবাসী।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

লেবাননে বিস্ফোরণে চিকিৎসা পাচ্ছেন না
আগামী সপ্তাহে দেশে পাঠানো হবে বিস্ফোরণে নিহত চার বাংলাদেশির মরদেহ

আপডেট সময় : ০৮:২১:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ অগাস্ট ২০২০

প্রবাসী বাংলাদেশিরা বিনা চিকিৎসায় মানবেতর দিন পার করছেন, লেবাননের বৈরুতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে আহত অনেক বাংলাদেশি শ্রমিক। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গেলেও ঠিক মতো মিলছে না পরিচর্যা, এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা। এদিকে দূতাবাস বলছে, সাধ্য মতো সহযোগিতা করা হচ্ছে। আগামী সপ্তাহে দেশে পাঠানো হবে বিস্ফোরণে নিহত চার বাংলাদেশির মরদেহ।
সেদিনের দুঃসহ স্মৃতি কিছুতেই ভুলতে পারছেন না বৈরুত বন্দর এলাকায় কর্মরত বাংলাদেশি শ্রমিকরা। মৃত্যু খুব কাছ থেকে দেখার পর শরীরে বয়ে বেড়াচ্ছেন ক্ষত।

বাংলাদেশি শ্রমিকরা বলেন, ‘আমার মাথায় কাছ ভেঙে পড়ে, এবং গ্লাস এ আমার হাত কেটে যায়। তারপর আমার আর হুস থাকে না কে আমাকে নিয়ে গেছে আমি জানি না।’

আরেকজন শ্রমিক বলেন, ‘বৃষ্টির মতো গ্লাস ভেঙে পড়েছে। আমার মাথা কেটে যায়, আমার দুই হাত কেটে যায়। আমার ঘাড়ের উপরের অংশে কেটে যায়, পা কেটে যায়।’

আরো বলেন, ‘অজ্ঞানের মতো অবস্থায় ছিলাম, যা আসলে বলা যাবে না। আমার ওখানে যারা লোক ছিলো তারা আমাকে টেনে বের করে নিয়ে যায়।’

লণ্ডভণ্ড জীবনে, লেবাননে বাড়ছে ক্ষোভ, স্থানীয়দের পাশাপাশি বাংলাদেশিরাও ফুঁসছেন।

বাংলাদেশি একজন মহিলা শ্রমিক বলেন, ‘সরকারের কাছে এইটুকু অনুরোধ যেন আমাদের খাবারের কষ্ট করার আগে আমাদেরকে বাংলাদেশে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।’

অন্যান্য প্রবাসীরা বলেন, ‘অনেক কষ্ট অনেক যন্ত্রণা, কেউ খাচ্ছে কেউ খাচ্ছে না। আমরা ভালো নেই। আমাদেরকে কোনো রকম ব্যান্ডেজ করে ছেড়ে দিচ্ছে।’

যদিও বাংলাদেশ দূতাবাস বলছে, আহতদের খুঁজে খুঁজে চিকিৎসা দেয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এছাড়া প্রথম দিন থেকেই সেবা পাওয়া আহত অনেক বাংলাদেশি এখন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। নিহত চারজনের মরদেহ আগামী সপ্তাহেই দেশে আনা হবে।

লেবাননে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রথম সচিব আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘বাংলাদেশি যারা হাসপাতালে গিয়েছে তারা অনেকেই সুস্থ হয়ে গেছে। ৬/৭ জন এখনো হাসপাতালে আছে। যারা মারা গেছে তাদের আমরা শিগগিরই পাঠিয়ে দিবো। আমরা গতকালকে তাদের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করেছি। দ্রুত সম্ভব তাদের পাঠিয়ে দিবো।’
লেবাননে দেড় লাখের বেশি বাংলাদেশির বসবাস। বৈরুতের ওই বন্দর এলাকায় বসবাস ও কাজ করতেন ২০ হাজারের মতো প্রবাসী।