রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় শেখ হাসিনাসহ ২৮৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট
- আপডেট সময় : ০৮:৪৫:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫
- / 109
‘জয় বাংলা ব্রিগেড’-এর জুম মিটিংয়ে অংশ নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে ‘উত্খাতসহ রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে’ সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৮৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর হাকিম আরিফুল ইসলাম, আসামিরা পলাতক থাকায় এই পরোয়ানার আদেশ দেন। একই দিনে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেয়, যা আদালত আমলে নেয়।
বিচারক ভারতে অবস্থানরত শেখ হাসিনাসহ অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়ে আগামী ১১ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ নির্ধারণ করেন। এর আগে সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার (সাইবার ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড অপারেশন্স) মো. এনামুল হক ২৮৬ জনকে অভিযুক্ত করে প্রতিবেদন জমা দেন।
সংশ্লিষ্ট বেঞ্চ সহকারী মো. জাহাঙ্গীর সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
চলতি বছরের ২৭ মার্চ সিআইডি শেখ হাসিনাসহ ৭৩ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে একই আদালতে মামলা করে। এর আগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মামলায়ও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০২৪ সালের ১৯ ডিসেম্বর অনলাইনে আয়োজিত বৈঠকে ‘জয় বাংলা ব্রিগেড’ গঠন করে গৃহযুদ্ধের মাধ্যমে পলাতক শেখ হাসিনাকে পুনরায় প্রধানমন্ত্রী বানানোর অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন অনেকেই। দেশ-বিদেশ থেকে মোট ৫৭৭ জন ওই জুম মিটিংয়ে অংশ নেন এবং শেখ হাসিনার সব নির্দেশ পালন করার শপথ নেন।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সহসভাপতি রাব্বি আলমের আয়োজনে শেখ হাসিনা ও অন্যান্য নেতাকর্মীদের আলোচনায় বৈধ সরকারকে শান্তিপূর্ণভাবে কাজ করতে না দেওয়ার পরিকল্পনা উঠে আসে। বর্তমান সরকারকে উত্খাতের জন্য গৃহযুদ্ধ ঘোষণার মাধ্যমে রাষ্ট্রদ্রোহমূলক কর্মকাণ্ডের স্পষ্ট প্রমাণ মিলেছে বলে দাবি সিআইডির।
সিআইডির ভাষ্য অনুযায়ী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পর মামলাটি দায়ের করলে আদালত তা আমলে নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেন। মামলায় রাব্বি আলমসহ ৭৩ জনের নাম উল্লেখ করে মোট ৫০৩ জনকে আসামি করা হয়, যারা অনলাইন মিটিংয়ে অংশ নিয়েছিলেন বলে পুলিশের দাবি।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশে হত্যাসহ নানা অভিযোগে একাধিক মামলা হয়। জুলাই মাসে অন্তর্বর্তী সরকার সংঘাতে মৃত্যুর ঘটনাকে ‘গণহত্যা’ হিসেবে ঘোষণা দিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার শুরু করে। পাশাপাশি শেখ হাসিনার শাসনামলে গুমের অভিযোগও ট্রাইব্যুনালে জমা পড়ে।
এ পর্যন্ত ‘গণহত্যা’, ‘গুম’ ও শাপলা চত্বরে ‘গণহত্যা’—এই তিন মামলায় ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। তবে বাংলাদেশ সরকারের প্রত্যর্পণ অনুরোধেও ভারত তাকে ফেরত দেয়নি।

















