ঢাকা ১০:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে আরও ৩০ দেশের নাগরিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা খাঁচা থেকে বের হওয়া সিংহী আড়াই ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে লন্ডনে ফ্লাই রবিবার, নির্জন কারাবাস থেকেই খালেদা জিয়ার ‘নানা রোগের সূচনা’ জানালেন ফখরুল মহাকাশ থেকে পবিত্র  কাবা শরিফের উজ্জ্বল ছবি আন্দোলনে থাকা প্রাথমিকের শিক্ষকদের বদলি, ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি স্থগিত তারেক রহমানের দেশে ফেরা আবার অনিশ্চিত, কীভাবে ভোটার হবেন? খালেদা জিয়া ছাড়া পরিবারের কেউ ভিভিআইপি সুবিধা পাবেন না কুকুরছানা হত্যা মামলায় মায়ের সঙ্গে কারাগারে ২ বছরের শিশু খালেদা জিয়াকে লন্ডন নিতে ঢাকায় আসছেন জুবাইদা যুক্তরাজ্যের ৯ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিষিদ্ধ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী!

মৃত্যু বাড়ছে প্রতিদিন,নতুন ধারার লকডাউনে ব্রিটেন

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০৬:৪০:০৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • / 1158
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

হাসপাতালে মহামারি কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রতি আটদিনে দ্বিগুণ হচ্ছে জানিয়ে ইংল্যান্ডজুড়ে ফের লকডাউন সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা জারির ব্যাপারে সতর্ক করেছে ব্রিটিশ সরকার। দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমরা দেশজুড়ে ফের লকডাউনের বিপক্ষে, কিন্তু প্রয়োজন হলেই তা করতে প্রস্তুত আমরা।’

ব্রিটিশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক শুক্রবার বিবিসিকে আরও বলেন, ‘জীবন ও জীবিকা বাঁচানোর জন্য যা করা প্রয়োজন তা করার জন্য প্রস্তুত আছি।’ করোনার সংক্রমণ আশঙ্কাজনক হারে বাড়তে শুরু করার পর ইংল্যান্ডের বিশ লাখ মানুষের জন্য ফের বিধিনিষেধ জারির পর তিনি এসব কথা বলেন।

হ্যানকক আরও বলেন, ‘খুব দুঃখের সঙ্গে আমরা লক্ষ্য করছি যে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা প্রতি আটদিনে দ্বিগুণ হচ্ছে। তাই আমাদের ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন।’

উদ্বেগজন সংক্রমণ পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই বিধিনিষেধ সাময়িক। তা জারি থাকবে কিনা এটা নির্ভর করছে পরিস্থিতির ওপর। বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে এসব বিধিনিষেধ কার্যকর হবে। নতুন করে বিধিনিষেধের আওতাভূক্ত এলাকাগুলো হলো নিউক্যাসেল, সান্দারল্যান্ড, সাউথ টিনেসাইড এবং গেটশেড।

আগের চেয়ে মৃত্যু বাড়ছে প্রতিদিন । আর সেজন্য নতুন করে লকডাউনের আওতায় আসতে পারে যুক্তরাজ্যের নর্থওয়েষ্ট এবং বার্মিংহাম। এই এলাকাগুলোতে রাত দশটার পর কারফিউ জারি করা হতে পারে বলে সরকারের পক্ষ থেকে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে ।

ব্রিটিশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী বৃহস্পতিবার দেশটির পার্লামেন্টে বলেন, আমাদের হাতে এসব তথ্য আসার পর দ্রুত পদক্ষেপ নেয়াটা জরুরি হয়ে পড়েছে। সান্দারল্যান্ডে এখন লাখপ্রতি সংক্রমণের হার ১০৩ জন। এ ছাড়া নিউক্যাসেল, সাউথ টিনেসাইড এবং গেটশেড এলাকার সবগুলোতেই সংক্রমণের এই হার ৭০ এর বেশি।

ইউরোপে মহামারি করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ হলো যুক্তরাজ্য। সরকারি হিসাব অনুযায়ী দেশটিতে এ পর্যন্ত করোনায় প্রায় ৪২ হাজার মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। এপ্রিলের পর সংক্রমণ কিছুটা কমলেও জুলাইয়ের পর থেকে দেশটিতে সংক্রমণ আবার বাড়তে শুরু করেছে। বর্তমান পরিস্থিতি বেশ উদ্বেগজনক।

ইংল্যান্ডে নতুন করে কোভিড-১৯ পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত মানুষের সংখ্যা ১৬৭ শতাংশ বেড়েছে। ফলে বিশ লাখ মানুষের জন্য বৃহস্পতিবার থেকে নতুন করে আরোপ হয়েছে বিধিনিষেধ। ওইদিন দেশটির জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের (এনএইচএস) টেস্ট অ্যান্ড ট্রেস স্কিমের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।

এ ছাড়া করোনার নমুনা পরীক্ষা নিয়ে জটিলতা এবং ফল পেতে বিলম্ব হওয়া নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছে দেশটির সরকার। এনএইচএস-এর টেস্ট অ্যান্ড ট্রেস স্কিম জানাচ্ছে, বিগত সপ্তাহের চেয়ে এই সপ্তাহে ব্যক্তি হিসেবে দৈনিক করোনার নমুনা পরীক্ষার সময়সীমা আরও বাড়ানো হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

মৃত্যু বাড়ছে প্রতিদিন,নতুন ধারার লকডাউনে ব্রিটেন

আপডেট সময় : ০৬:৪০:০৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০

হাসপাতালে মহামারি কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রতি আটদিনে দ্বিগুণ হচ্ছে জানিয়ে ইংল্যান্ডজুড়ে ফের লকডাউন সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা জারির ব্যাপারে সতর্ক করেছে ব্রিটিশ সরকার। দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমরা দেশজুড়ে ফের লকডাউনের বিপক্ষে, কিন্তু প্রয়োজন হলেই তা করতে প্রস্তুত আমরা।’

ব্রিটিশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক শুক্রবার বিবিসিকে আরও বলেন, ‘জীবন ও জীবিকা বাঁচানোর জন্য যা করা প্রয়োজন তা করার জন্য প্রস্তুত আছি।’ করোনার সংক্রমণ আশঙ্কাজনক হারে বাড়তে শুরু করার পর ইংল্যান্ডের বিশ লাখ মানুষের জন্য ফের বিধিনিষেধ জারির পর তিনি এসব কথা বলেন।

হ্যানকক আরও বলেন, ‘খুব দুঃখের সঙ্গে আমরা লক্ষ্য করছি যে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা প্রতি আটদিনে দ্বিগুণ হচ্ছে। তাই আমাদের ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন।’

উদ্বেগজন সংক্রমণ পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই বিধিনিষেধ সাময়িক। তা জারি থাকবে কিনা এটা নির্ভর করছে পরিস্থিতির ওপর। বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে এসব বিধিনিষেধ কার্যকর হবে। নতুন করে বিধিনিষেধের আওতাভূক্ত এলাকাগুলো হলো নিউক্যাসেল, সান্দারল্যান্ড, সাউথ টিনেসাইড এবং গেটশেড।

আগের চেয়ে মৃত্যু বাড়ছে প্রতিদিন । আর সেজন্য নতুন করে লকডাউনের আওতায় আসতে পারে যুক্তরাজ্যের নর্থওয়েষ্ট এবং বার্মিংহাম। এই এলাকাগুলোতে রাত দশটার পর কারফিউ জারি করা হতে পারে বলে সরকারের পক্ষ থেকে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে ।

ব্রিটিশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী বৃহস্পতিবার দেশটির পার্লামেন্টে বলেন, আমাদের হাতে এসব তথ্য আসার পর দ্রুত পদক্ষেপ নেয়াটা জরুরি হয়ে পড়েছে। সান্দারল্যান্ডে এখন লাখপ্রতি সংক্রমণের হার ১০৩ জন। এ ছাড়া নিউক্যাসেল, সাউথ টিনেসাইড এবং গেটশেড এলাকার সবগুলোতেই সংক্রমণের এই হার ৭০ এর বেশি।

ইউরোপে মহামারি করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ হলো যুক্তরাজ্য। সরকারি হিসাব অনুযায়ী দেশটিতে এ পর্যন্ত করোনায় প্রায় ৪২ হাজার মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। এপ্রিলের পর সংক্রমণ কিছুটা কমলেও জুলাইয়ের পর থেকে দেশটিতে সংক্রমণ আবার বাড়তে শুরু করেছে। বর্তমান পরিস্থিতি বেশ উদ্বেগজনক।

ইংল্যান্ডে নতুন করে কোভিড-১৯ পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত মানুষের সংখ্যা ১৬৭ শতাংশ বেড়েছে। ফলে বিশ লাখ মানুষের জন্য বৃহস্পতিবার থেকে নতুন করে আরোপ হয়েছে বিধিনিষেধ। ওইদিন দেশটির জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের (এনএইচএস) টেস্ট অ্যান্ড ট্রেস স্কিমের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।

এ ছাড়া করোনার নমুনা পরীক্ষা নিয়ে জটিলতা এবং ফল পেতে বিলম্ব হওয়া নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছে দেশটির সরকার। এনএইচএস-এর টেস্ট অ্যান্ড ট্রেস স্কিম জানাচ্ছে, বিগত সপ্তাহের চেয়ে এই সপ্তাহে ব্যক্তি হিসেবে দৈনিক করোনার নমুনা পরীক্ষার সময়সীমা আরও বাড়ানো হয়েছে।