ভেতরে ঘাঁটি গেড়ে ইরানজুড়ে মোসাদের নিখুঁত হামলা, কীভাবে সম্ভব হলো?
- আপডেট সময় : ১২:২৩:৩৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫
- / 304

গত শুক্রবার ভোররাতে, যখন ইরান যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার ব্যস্ততায় রয়েছে, সেই সময় ইসরায়েল ইরানের সামরিক ও পরমাণু স্থাপনায় হামলা চালায়।
‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ নামে পরিচালিত এ অভিযানে ইরানের সামরিক বাহিনীর প্রধান মোহাম্মদ বাঘেরি এবং বিপ্লবী গার্ডের প্রধান হোসেইন সালামিসহ একাধিক ঊর্ধ্বতন সামরিক ও নিরাপত্তা কর্মকর্তা নিহত হন। ইরান জানিয়েছে, এদের সঙ্গে আরও ছয়জন পরমাণুবিজ্ঞানীও মারা গেছেন।
ঘণ্টাব্যাপী চলা এই হামলায় ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্র-নির্মিত অস্ত্র ব্যবহার করেছে। ইরানের পক্ষ থেকে কোনো পাল্টা হামলা লক্ষ্য করা যায়নি। একাধিক নিখুঁত টার্গেটে আঘাত হানার কৃতিত্ব দেওয়া হচ্ছে ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদকে।
ইসরায়েলের এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা অভিযানের বিস্তারিত তথ্য দিয়েছেন। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, এই অভিযানের পরিকল্পনা দীর্ঘদিন ধরেই চলছিল। এর জন্য বিপুল পরিমাণ গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করা হয় এবং ইরানের অভ্যন্তরে অত্যাধুনিক অস্ত্র গোপনে স্থাপন করা হয়। পুরো অভিযানের মূল নেতৃত্বে ছিল মোসাদ। তারাই ইরানের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা ও পরমাণু বিজ্ঞানীদের অবস্থান শনাক্ত করে।
এছাড়া, ইরানের কৌশলগত ক্ষেপণাস্ত্র এবং আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংসে পরিচালিত হয় এক গোপন অভিযান।
ওই নিরাপত্তা কর্মকর্তার ভাষ্যমতে, অভিযানের প্রথম ধাপে মোসাদের কমান্ডো ইউনিট ইরানের সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল ব্যাটারিগুলোর কাছে খোলা জায়গায় উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন গাইডেড অস্ত্র আগে থেকেই স্থাপন করে রাখে। বিমান হামলা শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই দূর নিয়ন্ত্রণে সেগুলো সক্রিয় করা হয় এবং নিখুঁতভাবে লক্ষ্যে আঘাত হানে।
দ্বিতীয় ধাপে, গোপনে ইরানের ভেতরে পাঠানো যানবাহনের মাধ্যমে দেশটির আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অকার্যকর করে দেওয়া হয়। ফলে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানগুলো বাধাহীনভাবে ইরানের আকাশসীমায় প্রবেশ করে হামলা চালাতে সক্ষম হয়।
তৃতীয় ধাপে, হামলার পূর্বে মোসাদের এজেন্টরা তেহরানের কাছে একটি ড্রোন ঘাঁটি স্থাপন করে। সেখান থেকে বিস্ফোরকবাহী ড্রোন উড়িয়ে আসফাজাবাদ ঘাঁটিতে মোতায়েন থাকা ইসরায়েল লক্ষ্যবস্তুতে তাক করা ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চারগুলো নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া হয়।























