ভারতে পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ১৯ শতাংশ
- আপডেট সময় : ১১:৩৬:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / 97
রাজনৈতিক সম্পর্ক কিছুটা শীতল থাকলেও প্রতিবেশী ভারতেই বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ১৯ শতাংশের বেশি।
চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ভারতে পোশাক রপ্তানি হয়েছে ৬৭ দশমিক ৯১ মিলিয়ন ডলার বা ৬ কোটি ৭৯ লাখ ডলারের, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ২০ শতাংশ বেশি।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) ও বিজিএমইএ’র তথ্য অনুযায়ী, গত অর্থবছরের একই সময়ে আয় ছিল ৫২ দশমিক ৬৭ মিলিয়ন ডলার বা ৫ কোটি ২৬ লাখ ডলার। সেই হিসাবে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৯ দশমিক ৪৫ শতাংশ।
ব্যবসায়ীদের মতে, বৈশ্বিক অস্থিরতার কারণে প্রচলিত বাজারের বাইরে নতুন বাজার খোঁজার যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল, ভারত সেই অপ্রচলিত বাজারগুলোর অন্যতম এবং এর সুফল এখন মিলছে।
বিজিএমইএ’র তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, জুলাই মাসে ভারতে ওভেন পোশাক রপ্তানি থেকে আয় হয়েছে ৪ কোটি ৩২ লাখ ডলার, যা আগের বছরের চেয়ে ১৯ দশমিক ২৩ শতাংশ বেশি। একই সময়ে নিট পোশাক রপ্তানি ১৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৯৬ লাখ ডলারে।
শুধু ভারত নয়, জুলাই মাসে সব অপ্রচলিত বাজারেই পোশাক রপ্তানি বেড়েছে। মোট রপ্তানি ২১ দশমিক ৩৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৩৯৬ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে, যা গত বছর ছিল ৩১৭ কোটি ডলার।
বাংলাদেশ নিটওয়্যার প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিকেএমইএ) সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, “দুই দেশের বাণিজ্যিক স্বার্থ রাজনৈতিক ঘটনার ওপর নির্ভর করেনি। অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য ব্যবসার ধারাবাহিকতা জরুরি। উভয় দেশ পেশাদারিত্ব দেখিয়েছে এবং তার ফল আমরা পাচ্ছি।”
তিনি আরও বলেন, “ভারতের সঙ্গে স্থলসীমান্ত থাকায় পরিবহন সহজ, যা বাণিজ্যকে গতিশীল রাখে।”
ট্রাইম ওয়ার্ল্ডের স্বত্বাধিকারী জয়নুল আবেদিন বলেন, “সরকার পরিবর্তনের পর শুরুর দিকে কিছুটা অস্বস্তি থাকলেও এখন ভারতের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক স্বাভাবিক ও মসৃণ। কোনো সমস্যা হচ্ছে না।”
এই প্রবৃদ্ধি এমন সময়ে এসেছে, যখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান বাজারে নতুন করে ২০ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের কারণে আগস্টে সামগ্রিক পোশাক রপ্তানি হ্রাসের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, শুধু পোশাক নয়, ভারতের সঙ্গে অন্যান্য পণ্যের আমদানি-রপ্তানিও স্বাভাবিক আছে। সম্পর্ক স্বাভাবিক হওয়ার ইঙ্গিত হিসেবে সম্প্রতি দুর্গাপূজা উপলক্ষে বাংলাদেশ সরকার ভারতে এক হাজার ২০০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে।

















