কেন তাঁকে বিদেশে যেতে বাধা দেওয়া হলো—এর ব্যাখ্যা সরকারের কাছে জানতে চেয়েছেন বিএনপির নেতা ও সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আ ন ম এহসানুল হক মিলন।
শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বক্তব্য দেন তিনি।
মিলন বলেন, “আমি সরকারের কাছে জানতে চাই, কেন আমাকে বিদেশে যেতে দেওয়া হল না। এই সরকার মহান চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের সরকার। আমার দল বিএনপি শুরু থেকেই মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস ও তার নেতৃত্বাধীন অন্তবর্তীকালীন সরকারকে সমর্থন দিয়ে আসছে। মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আমার গভীর শ্রদ্ধা ও সম্মান রয়েছে।
“আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এই সরকার কোনো সংস্থা বা বিভাগ কারো ভুল তথ্য বা ষড়যন্ত্রে বিভ্রান্ত হবেন না। আমিসহ দেশের সকল নাগরিকের সাংবিধানিক, নাগরিক ও মানবিক অধিকার রক্ষায় তারা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।”
চিকিৎসার উদ্দেশ্যে ব্যাংকক যাওয়ার কথা ছিল মিলনের। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে তিনি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে যাত্রার জন্য ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। তবে ইমিগ্রেশন থেকে তাঁকে ফেরত পাঠানো হয়।
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে তিনি বলেন, “আমি পুরোনো পাসপোর্ট নিয়ে গিয়েছিলাম। সেখানে ‘মিলন’ নামটি লেখা নেই। আমার ভুলের কারণে ফিরতে হয়েছে। তবে এর বাইরে কোনো ষড়যন্ত্র আছে কিনা জানি না।”
শুক্রবারের সংবাদ সম্মেলনে মিলন আরও বলেন, “আমি রাষ্ট্রের প্রতি অনুগত। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় সর্বদা সচেষ্ট আছি এবং থাকব। রাষ্ট্রের প্রয়োজন ও দেশের মানুষের কল্যাণে সরকারের সঙ্গে সর্বাঙ্গীন সহযোগিতা করতে প্রস্তুত রয়েছি।”
সংবাদ সম্মেলনের এক পর্যায়ে তিনি উল্লেখ করেন, গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে বিএনপি ও অন্যান্য বিরোধী দলের বহু নেতাকে—বিশেষ করে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে—বিদেশে যেতে না দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।


















