ঢাকা ০৭:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

বার্সেলোনায় প্রথম বাংলাদেশীর করোনা ভ্যাকসিন গ্রহন

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০৬:০১:৪৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২০
  • / 2048
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মীম, পুরো নাম ফারিহা আক্তার। বার্সেলোনায় প্রথম কোন বাংলাদেশী হিসেবে তিনি করোনা ভাইরাসের ফাইজার ভ্যাকসিন গ্রহন করেন। ১৯ বছর বয়সী মীম ২০০৮ সাল থেকে পরিবারের সাথে স্পেনের পর্যটন শহর বার্সেলোনায় বসবাস করছেন। তিনি পৈত্রিক সুত্রে বাংলাদেশের মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার বাসিন্দা। পিতা আব্দুল কাদির এবং মাতা জেসমিন বেগম সহ ছোট আরও দুই ভাই রয়েছে মীমের পরিবারে।

বাংলাদেশ থেকে আসার পর পিতা মাতার উৎসাহ এবং নিজ আগ্রহে পড়ালেখা চালিয়ে যাচ্ছেন বার্সেলোনার ইস্টিটিউট মিকেল তারাদেই-এ, পাশাপাশি সেবিকা হিসেবে খন্ডকালীন চাকুরী করছেন হসপিটাল রেসিড্যান্সিয়া এল মিলেনারিতে।

সেবিকা হিসেবে ২৭শে ডিসেম্বর স্পেনে ভ্যাকসিন প্রয়োগের প্রথমধাপের কয়েকজনের মধ্যে এবং বাংলাদেশীদের মধ্যে প্রথম করোনার ফাইজার ভ্যাকসিন নেয়ার পর মীম সামান্য ব্যথা ছাড়া অন্য কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া অনুভব করেন নি।

প্রতিবেদককে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে তিনি বলেন- “আমি আনন্দিত, আমি চাই বার্সেলোনায় বসবাসরত সকলের পাশাপাশি যেন প্রত্যেক বাংলাদেশিও যাতে খুব তাড়াতাড়ি এ প্রতিষেধকটি নিতে পারে”। তিনি আরোও বলেন, আমি বিশ্বাস করি শতকরা পঞ্চাশ ভাগ লোক ভ্যাকসিনটির আওতায় আসলে জনসাধারণের ভয় দূর হওয়ার পাশাপাশি জনজীবন স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

উল্লেখ্য, স্পেনে ২৭শে ডিসেম্বর গুয়াদালাখারার লস অলমোতে প্রথম একজন প্রবীন এবং একজন শ্রমিকের উপর ভ্যাকসিনটি প্রয়োগ করার পর পর্যায়ক্রমিক ভাবে স্পেনের বিভিন্ন জায়গার মানুষের উপর প্রয়োগ করার বিষয়টি নিশ্চিত করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী আলবা ভের্গেস।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

মো: ছালাহ উদ্দিন

স্পেন ব্যুরো
ট্যাগস :

বার্সেলোনায় প্রথম বাংলাদেশীর করোনা ভ্যাকসিন গ্রহন

আপডেট সময় : ০৬:০১:৪৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২০

মীম, পুরো নাম ফারিহা আক্তার। বার্সেলোনায় প্রথম কোন বাংলাদেশী হিসেবে তিনি করোনা ভাইরাসের ফাইজার ভ্যাকসিন গ্রহন করেন। ১৯ বছর বয়সী মীম ২০০৮ সাল থেকে পরিবারের সাথে স্পেনের পর্যটন শহর বার্সেলোনায় বসবাস করছেন। তিনি পৈত্রিক সুত্রে বাংলাদেশের মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার বাসিন্দা। পিতা আব্দুল কাদির এবং মাতা জেসমিন বেগম সহ ছোট আরও দুই ভাই রয়েছে মীমের পরিবারে।

বাংলাদেশ থেকে আসার পর পিতা মাতার উৎসাহ এবং নিজ আগ্রহে পড়ালেখা চালিয়ে যাচ্ছেন বার্সেলোনার ইস্টিটিউট মিকেল তারাদেই-এ, পাশাপাশি সেবিকা হিসেবে খন্ডকালীন চাকুরী করছেন হসপিটাল রেসিড্যান্সিয়া এল মিলেনারিতে।

সেবিকা হিসেবে ২৭শে ডিসেম্বর স্পেনে ভ্যাকসিন প্রয়োগের প্রথমধাপের কয়েকজনের মধ্যে এবং বাংলাদেশীদের মধ্যে প্রথম করোনার ফাইজার ভ্যাকসিন নেয়ার পর মীম সামান্য ব্যথা ছাড়া অন্য কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া অনুভব করেন নি।

প্রতিবেদককে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে তিনি বলেন- “আমি আনন্দিত, আমি চাই বার্সেলোনায় বসবাসরত সকলের পাশাপাশি যেন প্রত্যেক বাংলাদেশিও যাতে খুব তাড়াতাড়ি এ প্রতিষেধকটি নিতে পারে”। তিনি আরোও বলেন, আমি বিশ্বাস করি শতকরা পঞ্চাশ ভাগ লোক ভ্যাকসিনটির আওতায় আসলে জনসাধারণের ভয় দূর হওয়ার পাশাপাশি জনজীবন স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

উল্লেখ্য, স্পেনে ২৭শে ডিসেম্বর গুয়াদালাখারার লস অলমোতে প্রথম একজন প্রবীন এবং একজন শ্রমিকের উপর ভ্যাকসিনটি প্রয়োগ করার পর পর্যায়ক্রমিক ভাবে স্পেনের বিভিন্ন জায়গার মানুষের উপর প্রয়োগ করার বিষয়টি নিশ্চিত করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী আলবা ভের্গেস।