ঢাকা ০৬:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

বাংলাদেশ বিষয়ে বলার জন্য মোদির উপর ছেড়ে দিলেন ট্রাম্প

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ১২:২৩:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / 314
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথমবারের মতো ওয়াশিংটন সফর করছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে দুই নেতা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনায় অংশ নেন। বৈঠকের আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে প্রশ্নোত্তরে উঠে আসে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ।

একজন সাংবাদিক ট্রাম্পকে প্রশ্ন করেন, ‘বাংলাদেশের বিষয়ে আপনার অভিমত কি? কারণ এটা স্পষ্ট যে বাইডেন প্রশাসনের আমলে মার্কিন ডিপ স্টেট বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে জড়িত ছিল। এমন কী, মুহাম্মদ ইউনূসও জুনিয়র সরোসের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। বাংলাদেশের বিষয়টি নিয়ে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি কি?’

প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে বাংলাদেশে ক্ষমতার পালাবদলে যুক্তরাষ্ট্রের কথিত ‘ডিপ স্টেটের’ ভূমিকার কথা সরাসরি উড়িয়ে দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, “এখানে আমাদের ডিপ স্টেটের কোনো ভূমিকা ছিল না।” বরং তার ভাষায়, বাংলাদেশ নিয়ে ‘শত শত বছর ধরে কাজ করেছে’ ভারত। আর সেজন্য তিনি বাংলাদেশ নিয়ে বলার বিষয়টি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ওপরই ছেড়ে দিতে চান।

এ বিষয়ে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে কোনো মন্তব্য করেননি। ট্রাম্প এও জানান, মোদি ও ভারতের সঙ্গে তার ‘বিশেষ সম্পর্কে’ রয়েছে। তিনি মোদিকে ‘দরকষাকষিতে অপ্রত্যাশিত পর্যায়ের পারদর্শী’ নেতা বলে অভিহিত করেন।
ডিপ স্টেট বা ছায়া রাষ্ট্র বলতে সাধারণত অনির্বাচিত সরকারি কর্মকর্তা ও প্রাইভেট ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের কথিত গোপন নেটওয়ার্ককে বোঝানো হয়ে থাকে, যারা বেআইনিভাবে সরকারি নীতিতে প্রভাব বিস্তার ও তা বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখে। সরকারি নীতিতে এমন প্রভাব বিস্তারের ক্ষেত্রে ডিপ স্টেটকে প্রায়ই দায়ী করে থাকেন ট্রাম্প ও তার সমর্থকরা। কথিত ডিপ স্টেট বিরোধী প্রচারণার অগ্রভাগে রয়েছেন ট্রাম্প প্রশাসনে প্রভাবশালী পদে থাকা বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫) রাতে ওয়াশিংটনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠকের পর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে আসেন ট্রাম্প। এ সময় একে অপরকে আলিঙ্গন করেন ও হাত মেলান ট্রাম্প-মোদি। দুই নেতা গণমাধ্যমের কাছ থেকে আসা বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে ভারতের সম্ভাব্য ভূমিকা নিয়ে মোদি বলেন, ‘’যুদ্ধ বন্ধের সম্ভাব্য সমাধান খোঁজার ক্ষেত্রে ডোনাল্ড ট্রাম্পের উদ্যোগে আমি সমর্থন জানাই। বৈশ্বিক জনমত বলছে, ভারত এই যুদ্ধে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করেছে। কিন্তু আমি একটা বিষয় স্পষ্ট করতে চাই—ভারতের ভূমিকা নিরপেক্ষ ছিল না, আমরা সব সময়ই শান্তির পক্ষে ছিলাম। যখন আমি প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে দেখা করি, আমি এমন কি এটাও বলেছিলাম যে ‘এখন যুদ্ধের সময় নয়’। আমি আরও বলেছিলাম যে যুদ্ধক্ষেত্রে কোনো সমাধান পাওয়া যায় না। এটা শুধু তখনই পাওয়া যায় যখন সবাই আলোচনার টেবিলে বসে’, যোগ করেন তিনি।
গণমাধ্যমের উদ্দেশে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সব সময় তার নিজের দেশকে অন্য সব কিছু থেকে এগিয়ে রাখেন, যা আমার দৃষ্টিতে একটি প্রশংসনীয় কাজ। আমিও একই কাজ করি—এ বিষয়টিতে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি এক।’
ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘তিনি (মোদি) ভারতে খুবই ভাল কাজ করছেন এবং আমাদের দুইজনের মধ্যে খুব ভালো বন্ধুত্ব রয়েছে। আমরা দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটানো অব্যাহত রাখব।’ শুল্ক ও ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য বাণিজ্য চুক্তি বিষয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মোদি একজন মহা নেতা। আমরা ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের জন্য কিছু অসামান্য বাণিজ্য চুক্তি তৈরি করব।’
বৈঠকে ট্রাম্প ভারতের কাছে অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান বিক্রির প্রস্তাব দিয়েছেন। পাশাপাশি দুই নেতা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়ানোর অঙ্গীকার করেন।
মোদি ট্রাম্পকে তার ‘বন্ধু’ বলে অভিহিত করেন এবং জানান, তিনিও ট্রাম্পের ‘আমেরিকাকে আবারও মহান রাষ্ট্রে পরিণত কর’ (মেইক আমেরিকা গ্রেট এগেইন) শ্লোগানের মতো ‘মেইক ইন্ডিয়া গ্রেট এগেইন’ আপ্তবাক্যে বিশ্বাসী।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, হোয়াইট হাউসে মোদি-ট্রাম্পের দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় স্থান পেয়েছে বাণিজ্য, শুল্ক ও অভিবাসনের মতো বিষয়গুলো। পাশাপাশি বিদেশি বিনিয়োগ, জ্বালানি, প্রতিরক্ষা, প্রযুক্তি, ভিসা ও অভিবাসন নিয়েও কথা বলেছেন দুই নেতা।
এটি যুক্তরাষ্ট্রে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মোদির দশম সফর এবং ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন চতুর্থ সফর। ২০২৪ সালে সর্বশেষ বাইডেনের সঙ্গে বৈঠক করতে যুক্তরাষ্ট্র যান মোদি। ২০১৪ সালে বারাক ওবামার শাসনামলে প্রথমবারের মতো রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন মোদি।
ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করার আগে মোদি ইলন মাস্ক, তুলসী গ্যাবার্ড, বিবেক রামাস্বামী ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ওয়ালজের সঙ্গে বৈঠক করেন।

এর আগে সর্বশেষ গত ৩১ অক্টোবর ২০২৪, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণের পাঁচ দিন আগে বাংলাদেশ ইস্যুতে কথা বলেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা সেই বার্তায় ট্রাম্প লিখেছিলেন, “আমি বাংলাদেশে হিন্দু, খ্রিস্টান ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের ওপর বর্বরোচিত সহিংসতার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। দেশটিতে দলবদ্ধভাবে তাদের ওপর হামলা ও লুটপাট চালানো হচ্ছে। বাংলাদেশ এখন পুরোপুরিভাবে একটি বিশৃঙ্খল অবস্থার মধ্যে রয়েছে।”
প্রসঙ্গত, শিক্ষার্থী-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট ২০২৪ দেশ ত্যাগ করে ভারতে আশ্রয় নেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পতন ঘটে তার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের। আওয়ামী লীগ এবং দলটির সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, বাংলাদেশের সরকার পতনের ক্ষেত্রে কলকাঠি নেড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নেতৃত্বাধীন প্রশাসন। তবে বাইডেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা বরাবরই দৃঢ়ভাবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বাংলাদেশ বিষয়ে বলার জন্য মোদির উপর ছেড়ে দিলেন ট্রাম্প

আপডেট সময় : ১২:২৩:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথমবারের মতো ওয়াশিংটন সফর করছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে দুই নেতা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনায় অংশ নেন। বৈঠকের আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে প্রশ্নোত্তরে উঠে আসে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ।

একজন সাংবাদিক ট্রাম্পকে প্রশ্ন করেন, ‘বাংলাদেশের বিষয়ে আপনার অভিমত কি? কারণ এটা স্পষ্ট যে বাইডেন প্রশাসনের আমলে মার্কিন ডিপ স্টেট বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে জড়িত ছিল। এমন কী, মুহাম্মদ ইউনূসও জুনিয়র সরোসের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। বাংলাদেশের বিষয়টি নিয়ে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি কি?’

প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে বাংলাদেশে ক্ষমতার পালাবদলে যুক্তরাষ্ট্রের কথিত ‘ডিপ স্টেটের’ ভূমিকার কথা সরাসরি উড়িয়ে দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, “এখানে আমাদের ডিপ স্টেটের কোনো ভূমিকা ছিল না।” বরং তার ভাষায়, বাংলাদেশ নিয়ে ‘শত শত বছর ধরে কাজ করেছে’ ভারত। আর সেজন্য তিনি বাংলাদেশ নিয়ে বলার বিষয়টি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ওপরই ছেড়ে দিতে চান।

এ বিষয়ে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে কোনো মন্তব্য করেননি। ট্রাম্প এও জানান, মোদি ও ভারতের সঙ্গে তার ‘বিশেষ সম্পর্কে’ রয়েছে। তিনি মোদিকে ‘দরকষাকষিতে অপ্রত্যাশিত পর্যায়ের পারদর্শী’ নেতা বলে অভিহিত করেন।
ডিপ স্টেট বা ছায়া রাষ্ট্র বলতে সাধারণত অনির্বাচিত সরকারি কর্মকর্তা ও প্রাইভেট ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের কথিত গোপন নেটওয়ার্ককে বোঝানো হয়ে থাকে, যারা বেআইনিভাবে সরকারি নীতিতে প্রভাব বিস্তার ও তা বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখে। সরকারি নীতিতে এমন প্রভাব বিস্তারের ক্ষেত্রে ডিপ স্টেটকে প্রায়ই দায়ী করে থাকেন ট্রাম্প ও তার সমর্থকরা। কথিত ডিপ স্টেট বিরোধী প্রচারণার অগ্রভাগে রয়েছেন ট্রাম্প প্রশাসনে প্রভাবশালী পদে থাকা বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫) রাতে ওয়াশিংটনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠকের পর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে আসেন ট্রাম্প। এ সময় একে অপরকে আলিঙ্গন করেন ও হাত মেলান ট্রাম্প-মোদি। দুই নেতা গণমাধ্যমের কাছ থেকে আসা বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে ভারতের সম্ভাব্য ভূমিকা নিয়ে মোদি বলেন, ‘’যুদ্ধ বন্ধের সম্ভাব্য সমাধান খোঁজার ক্ষেত্রে ডোনাল্ড ট্রাম্পের উদ্যোগে আমি সমর্থন জানাই। বৈশ্বিক জনমত বলছে, ভারত এই যুদ্ধে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করেছে। কিন্তু আমি একটা বিষয় স্পষ্ট করতে চাই—ভারতের ভূমিকা নিরপেক্ষ ছিল না, আমরা সব সময়ই শান্তির পক্ষে ছিলাম। যখন আমি প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে দেখা করি, আমি এমন কি এটাও বলেছিলাম যে ‘এখন যুদ্ধের সময় নয়’। আমি আরও বলেছিলাম যে যুদ্ধক্ষেত্রে কোনো সমাধান পাওয়া যায় না। এটা শুধু তখনই পাওয়া যায় যখন সবাই আলোচনার টেবিলে বসে’, যোগ করেন তিনি।
গণমাধ্যমের উদ্দেশে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সব সময় তার নিজের দেশকে অন্য সব কিছু থেকে এগিয়ে রাখেন, যা আমার দৃষ্টিতে একটি প্রশংসনীয় কাজ। আমিও একই কাজ করি—এ বিষয়টিতে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি এক।’
ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘তিনি (মোদি) ভারতে খুবই ভাল কাজ করছেন এবং আমাদের দুইজনের মধ্যে খুব ভালো বন্ধুত্ব রয়েছে। আমরা দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটানো অব্যাহত রাখব।’ শুল্ক ও ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য বাণিজ্য চুক্তি বিষয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মোদি একজন মহা নেতা। আমরা ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের জন্য কিছু অসামান্য বাণিজ্য চুক্তি তৈরি করব।’
বৈঠকে ট্রাম্প ভারতের কাছে অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান বিক্রির প্রস্তাব দিয়েছেন। পাশাপাশি দুই নেতা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়ানোর অঙ্গীকার করেন।
মোদি ট্রাম্পকে তার ‘বন্ধু’ বলে অভিহিত করেন এবং জানান, তিনিও ট্রাম্পের ‘আমেরিকাকে আবারও মহান রাষ্ট্রে পরিণত কর’ (মেইক আমেরিকা গ্রেট এগেইন) শ্লোগানের মতো ‘মেইক ইন্ডিয়া গ্রেট এগেইন’ আপ্তবাক্যে বিশ্বাসী।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, হোয়াইট হাউসে মোদি-ট্রাম্পের দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় স্থান পেয়েছে বাণিজ্য, শুল্ক ও অভিবাসনের মতো বিষয়গুলো। পাশাপাশি বিদেশি বিনিয়োগ, জ্বালানি, প্রতিরক্ষা, প্রযুক্তি, ভিসা ও অভিবাসন নিয়েও কথা বলেছেন দুই নেতা।
এটি যুক্তরাষ্ট্রে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মোদির দশম সফর এবং ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন চতুর্থ সফর। ২০২৪ সালে সর্বশেষ বাইডেনের সঙ্গে বৈঠক করতে যুক্তরাষ্ট্র যান মোদি। ২০১৪ সালে বারাক ওবামার শাসনামলে প্রথমবারের মতো রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন মোদি।
ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করার আগে মোদি ইলন মাস্ক, তুলসী গ্যাবার্ড, বিবেক রামাস্বামী ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ওয়ালজের সঙ্গে বৈঠক করেন।

এর আগে সর্বশেষ গত ৩১ অক্টোবর ২০২৪, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণের পাঁচ দিন আগে বাংলাদেশ ইস্যুতে কথা বলেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা সেই বার্তায় ট্রাম্প লিখেছিলেন, “আমি বাংলাদেশে হিন্দু, খ্রিস্টান ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের ওপর বর্বরোচিত সহিংসতার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। দেশটিতে দলবদ্ধভাবে তাদের ওপর হামলা ও লুটপাট চালানো হচ্ছে। বাংলাদেশ এখন পুরোপুরিভাবে একটি বিশৃঙ্খল অবস্থার মধ্যে রয়েছে।”
প্রসঙ্গত, শিক্ষার্থী-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট ২০২৪ দেশ ত্যাগ করে ভারতে আশ্রয় নেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পতন ঘটে তার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের। আওয়ামী লীগ এবং দলটির সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, বাংলাদেশের সরকার পতনের ক্ষেত্রে কলকাঠি নেড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নেতৃত্বাধীন প্রশাসন। তবে বাইডেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা বরাবরই দৃঢ়ভাবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।