ঢাকা ০৪:৩৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
লিবিয়া থেকে ৩১০ বাংলাদেশি দেশে ফিরলেন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে আরও ৩০ দেশের নাগরিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা খাঁচা থেকে বের হওয়া সিংহী আড়াই ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে লন্ডনে ফ্লাই রবিবার, নির্জন কারাবাস থেকেই খালেদা জিয়ার ‘নানা রোগের সূচনা’ জানালেন ফখরুল মহাকাশ থেকে পবিত্র  কাবা শরিফের উজ্জ্বল ছবি আন্দোলনে থাকা প্রাথমিকের শিক্ষকদের বদলি, ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি স্থগিত তারেক রহমানের দেশে ফেরা আবার অনিশ্চিত, কীভাবে ভোটার হবেন? খালেদা জিয়া ছাড়া পরিবারের কেউ ভিভিআইপি সুবিধা পাবেন না কুকুরছানা হত্যা মামলায় মায়ের সঙ্গে কারাগারে ২ বছরের শিশু খালেদা জিয়াকে লন্ডন নিতে ঢাকায় আসছেন জুবাইদা

বাংলাদেশীদের জন্য হতে পারে ব্রিটেনে সহজ ভিসানীতি

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০১:১৩:৪৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩ জানুয়ারী ২০২২
  • / 1332
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বাংলাদেশের সাথে যুক্তরাজ্যের সুসম্পর্ক বিরাজমান। কয়েক মাস আগে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড: এ কে আবদুল মোমেন যুক্তরাজ্য সফরে এসেছিলেন। তখন তাঁর অনুরোধে যুক্তরাজ্য সরকার বাংলাদেশকে লাল তালিকা থেকে বাদ দিয়েছিল এবং বাংলাদেশের করোনা টিকা সনদের স্বীকৃতি মিলেছিল। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সহযোগিতা ছাড়াও মানবসম্পদ উন্নয়নে বাংলাদেশের পাশে থেকে সাহায্য করছে যুক্তরাজ্য।

এদিকে, দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন কেন্দ্রীয় মন্ত্রণালয় ও স্থানীয় সরকারের বিভাগসমূহ গুরুত্বসহকারে পালন করছে। ঐতিহাসিক এ সময়ে বাংলাদেশ সরকারের তরফ থেকে বাণিজ্যিক সম্পর্ক, কর্মসংস্থান ও ভিসা নীতি বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করেন। এসব বিষয়ে কূটনৈতিক সফলতার এখনই উপযুক্ত সময় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

যুক্তরাজ্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বের হওয়ার পর কমনওয়েলথ ভুক্ত রাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা করছে। বাড়িয়েছে ব্যবসা-বাণিজ্য এবং করেছে বিভিন্ন ধরনের চুক্তি। ১৯৭৩ সাল থেকে ৪৭ বছর ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশ হিসেবে থাকলেও ২০২০ সালের ৩১শে জানুয়ারি যুক্তরাজ্য খাতা-কলমে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বের হয় আর মধ্যবর্তী সময় কাটিয়ে চূড়ান্ত রূপে বের হয় ২০২০ সালের ৩১শে ডিসেম্বর।

ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত থাকাকালে যুক্তরাজ্যে ইউনিয়নের অন্যান্য দেশের মানুষ ভিসা ছাড়াই আসতে পারতো এবং কাজ করার অনুমতি পেতো। অন্যান্য দেশে কম উৎপাদন খরচে জিনিসপত্র উৎপন্ন হয়ে শুল্ক-কর ও ভ্যাট ছাড়া  যুক্তরাজ্যে ঢুকতো বলে দাম কিছুটা কম ছিল। এখন যেহেতু ভিসা আরোপ করা হয়েছে তাই কর্মস্থলে দক্ষ লোকের অভাব দেখা দিয়েছে আর জিনিসপত্রের মূল্য কম রাখার জন্য দেশের ভিতরেই উৎপাদনের দিকে মনোযোগ দিয়েছে যুক্তরাজ্য।

এজন্য যুক্তরাজ্য মনোযোগী হয়েছে কমনওয়েলথ ভুক্ত দেশগুলোর দিকে। এসব দেশগুলো থেকে দক্ষ জনশক্তি আনার আগ্রহ প্রকাশ করছে যুক্তরাজ্য। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন সেক্টরে সহজ করা হয়েছে ভিসা নীতি। দক্ষ ড্রাইভার ও কেয়ার সেক্টরে লোক অভাব থাকার দরুন ঘোষণা করা হয়েছে খুবই সহজ  ভিসা নীতি।

কমনওয়েলথ ভুক্ত দেশের মধ্যে ভারত ইতিমধ্যেই আলাপ-আলোচনা ও কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে যুক্তরাজ্যে ভারতীয়দের বসবাস ও কাজের জন্য সহজ ভিসা নীতি আদায়ে সক্ষম হয়েছে। নতুন বছর ২০২২ সালে ভারতীয় নাগরিকদের জন্য যুক্তরাজ্য সরকার ভিসা ফি ও অন্যান্য খরচ কমানোর চিন্তাভাবনা করছে।

যুক্তরাজ্য সরকারের একজন শীর্ষ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বৃটেনের একটি প্রভাবশালী পত্রিকায় এই সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। চলতি মাসে দিল্লিতে অনুষ্ঠিত আসন্ন দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে এমন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আসার কথা জানিয়েছে সংবাদটিতে।

অনতিবিলম্বে বাংলাদেশ সরকারকে এ বিষয়ে মনোযোগী হওয়ার আবেদন জানিয়েছে ব্রিটিশ-বাংলাদেশী ও প্রবাসী বাংলাদেশিরা। তাঁদের প্রত্যাশা প্রতিবেশী ভারত যদি কূটনৈতিক তত্পরতায় সফল হয়, বাংলাদেশও সফল হবে সহজে, কিন্তু নিতে হবে জোর উদ্যোগ। তারা মনে করছেন, কূটনৈতিক তত্পরতায় বাণিজ্যিক সম্পর্ক, কর্মসংস্থান ও ভিসা নীতিতে সহজ করে লাভবান হতে পারে বন্ধুপ্রতিম দুই দেশই। আর বাংলাদেশ আনতে পারে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির নয়া প্রবাহ।

 

 

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বাংলাদেশীদের জন্য হতে পারে ব্রিটেনে সহজ ভিসানীতি

আপডেট সময় : ০১:১৩:৪৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩ জানুয়ারী ২০২২

বাংলাদেশের সাথে যুক্তরাজ্যের সুসম্পর্ক বিরাজমান। কয়েক মাস আগে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড: এ কে আবদুল মোমেন যুক্তরাজ্য সফরে এসেছিলেন। তখন তাঁর অনুরোধে যুক্তরাজ্য সরকার বাংলাদেশকে লাল তালিকা থেকে বাদ দিয়েছিল এবং বাংলাদেশের করোনা টিকা সনদের স্বীকৃতি মিলেছিল। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সহযোগিতা ছাড়াও মানবসম্পদ উন্নয়নে বাংলাদেশের পাশে থেকে সাহায্য করছে যুক্তরাজ্য।

এদিকে, দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন কেন্দ্রীয় মন্ত্রণালয় ও স্থানীয় সরকারের বিভাগসমূহ গুরুত্বসহকারে পালন করছে। ঐতিহাসিক এ সময়ে বাংলাদেশ সরকারের তরফ থেকে বাণিজ্যিক সম্পর্ক, কর্মসংস্থান ও ভিসা নীতি বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করেন। এসব বিষয়ে কূটনৈতিক সফলতার এখনই উপযুক্ত সময় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

যুক্তরাজ্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বের হওয়ার পর কমনওয়েলথ ভুক্ত রাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা করছে। বাড়িয়েছে ব্যবসা-বাণিজ্য এবং করেছে বিভিন্ন ধরনের চুক্তি। ১৯৭৩ সাল থেকে ৪৭ বছর ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশ হিসেবে থাকলেও ২০২০ সালের ৩১শে জানুয়ারি যুক্তরাজ্য খাতা-কলমে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বের হয় আর মধ্যবর্তী সময় কাটিয়ে চূড়ান্ত রূপে বের হয় ২০২০ সালের ৩১শে ডিসেম্বর।

ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত থাকাকালে যুক্তরাজ্যে ইউনিয়নের অন্যান্য দেশের মানুষ ভিসা ছাড়াই আসতে পারতো এবং কাজ করার অনুমতি পেতো। অন্যান্য দেশে কম উৎপাদন খরচে জিনিসপত্র উৎপন্ন হয়ে শুল্ক-কর ও ভ্যাট ছাড়া  যুক্তরাজ্যে ঢুকতো বলে দাম কিছুটা কম ছিল। এখন যেহেতু ভিসা আরোপ করা হয়েছে তাই কর্মস্থলে দক্ষ লোকের অভাব দেখা দিয়েছে আর জিনিসপত্রের মূল্য কম রাখার জন্য দেশের ভিতরেই উৎপাদনের দিকে মনোযোগ দিয়েছে যুক্তরাজ্য।

এজন্য যুক্তরাজ্য মনোযোগী হয়েছে কমনওয়েলথ ভুক্ত দেশগুলোর দিকে। এসব দেশগুলো থেকে দক্ষ জনশক্তি আনার আগ্রহ প্রকাশ করছে যুক্তরাজ্য। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন সেক্টরে সহজ করা হয়েছে ভিসা নীতি। দক্ষ ড্রাইভার ও কেয়ার সেক্টরে লোক অভাব থাকার দরুন ঘোষণা করা হয়েছে খুবই সহজ  ভিসা নীতি।

কমনওয়েলথ ভুক্ত দেশের মধ্যে ভারত ইতিমধ্যেই আলাপ-আলোচনা ও কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে যুক্তরাজ্যে ভারতীয়দের বসবাস ও কাজের জন্য সহজ ভিসা নীতি আদায়ে সক্ষম হয়েছে। নতুন বছর ২০২২ সালে ভারতীয় নাগরিকদের জন্য যুক্তরাজ্য সরকার ভিসা ফি ও অন্যান্য খরচ কমানোর চিন্তাভাবনা করছে।

যুক্তরাজ্য সরকারের একজন শীর্ষ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বৃটেনের একটি প্রভাবশালী পত্রিকায় এই সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। চলতি মাসে দিল্লিতে অনুষ্ঠিত আসন্ন দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে এমন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আসার কথা জানিয়েছে সংবাদটিতে।

অনতিবিলম্বে বাংলাদেশ সরকারকে এ বিষয়ে মনোযোগী হওয়ার আবেদন জানিয়েছে ব্রিটিশ-বাংলাদেশী ও প্রবাসী বাংলাদেশিরা। তাঁদের প্রত্যাশা প্রতিবেশী ভারত যদি কূটনৈতিক তত্পরতায় সফল হয়, বাংলাদেশও সফল হবে সহজে, কিন্তু নিতে হবে জোর উদ্যোগ। তারা মনে করছেন, কূটনৈতিক তত্পরতায় বাণিজ্যিক সম্পর্ক, কর্মসংস্থান ও ভিসা নীতিতে সহজ করে লাভবান হতে পারে বন্ধুপ্রতিম দুই দেশই। আর বাংলাদেশ আনতে পারে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির নয়া প্রবাহ।