ঢাকা ০৬:০৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

বাংলাদেশকে ব্যবসায়িক ভিসা দেওয়া পুনরায় শুরু করেছে ভারত

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০৮:৩১:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫
  • / 92

ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা

অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা জানিয়েছেন, সীমিত জনবল ও সক্ষমতার মাঝেও বাংলাদেশিদের জন্য ব্যবসায়িক ভিসা ইস্যু কার্যক্রম আবার শুরু হয়েছে। জরুরি প্রয়োজনে করা আবেদনগুলোকে অগ্রাধিকার দিয়ে দ্রুত প্রক্রিয়াকরণ করা হচ্ছে।

বুধবার (১৯ নভেম্বর) রাজধানীর বারিধারায় ভারতীয় হাইকমিশন প্রাঙ্গণে আয়োজিত নেটওয়ার্কিং ও জ্ঞানবিনিময় অনুষ্ঠান ‘ফার্মা কানেক্ট’-এ তিনি এ তথ্য জানান।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলোর উদ্যোক্তা ও কর্মকর্তারা অংশ নেন। দীর্ঘদিন ধরে ভারতীয় ভিসা পেতে যে জটিলতা দেখা দিচ্ছে, তা দ্রুত সমাধানে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান তারা। একই সঙ্গে দুই দেশের মধ্যে সড়কপথে পণ্য পরিবহন আরও সহজ করার দাবি তোলেন।

ভারতের আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ফার্মাসিউটিক্যাল মেলা সিপিএইচআই–পিএমইসি ইন্ডিয়া ২০২৫–এ বাংলাদেশের অংশগ্রহণ সামনে রেখে এ আয়োজন করা হয়। মেলাটি আগামী ২৫-২৭ নভেম্বর নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত হবে।

অনুষ্ঠানে হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও সক্ষমতার সীমাবদ্ধতার কারণে কিছু ভিসা আবেদন কেন্দ্র সাময়িকভাবে বন্ধ রাখতে হয়েছিল। তবে বর্তমানে সীমিত কর্মী নিয়েই প্রতিদিন উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ভিসা ইস্যুর কাজ আবার শুরু করা হয়েছে।

তিনি বলেন, বাণিজ্যিক ভিসা পুনরায় দেওয়া হচ্ছে। জরুরি ভিসা আবেদনগুলো দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন করার চেষ্টা করছি।

তিনি আরও জানান, ব্যবসায়িক ভিসার প্রয়োজনে আবেদনকারীরা চাইলে হাইকমিশনের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সচিবের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন এবং এতে সুবিধা পাবেন।

বাংলাদেশ ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল মুক্তাদির বলেন, ফার্মা কানেক্টের মতো উদ্যোগ প্রযুক্তি হস্তান্তর, গবেষণা-উন্নয়ন সহযোগিতা এবং সাপ্লাই চেইন সংযুক্তি বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে কাঁচামাল শিল্পের বিস্তার হচ্ছে। এই ক্ষেত্রে ভারত আরও এগিয়ে। স্থলসীমান্ত থাকায় ভারত থেকে কাঁচামাল আমদানি করলে আমরা আরও প্রতিযোগিতামূলক হতে পারি।

অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ডা. জাকির হোসেন বলেন, ভিসা জটিলতার কারণে এ বছর সিপিএইচআই–পিএমইসি মেলায় বাংলাদেশ থেকে খুব কমসংখ্যক প্রতিনিধি যেতে পারছেন।

তিনি জানান, সাধারণত কয়েকশ পেশাজীবী অংশ নিলেও এবার মাত্র ৮৩ জন আবেদন করেছেন।

ব্যবসায়িক ভিসার প্রক্রিয়া আরও সহজ করার অনুরোধ জানিয়ে আবেদনকারীদের বিশেষ বিবেচনায় নেওয়ার আহ্বান জানান ডা. জাকির হোসেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশকে ব্যবসায়িক ভিসা দেওয়া পুনরায় শুরু করেছে ভারত

আপডেট সময় : ০৮:৩১:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫

ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা জানিয়েছেন, সীমিত জনবল ও সক্ষমতার মাঝেও বাংলাদেশিদের জন্য ব্যবসায়িক ভিসা ইস্যু কার্যক্রম আবার শুরু হয়েছে। জরুরি প্রয়োজনে করা আবেদনগুলোকে অগ্রাধিকার দিয়ে দ্রুত প্রক্রিয়াকরণ করা হচ্ছে।

বুধবার (১৯ নভেম্বর) রাজধানীর বারিধারায় ভারতীয় হাইকমিশন প্রাঙ্গণে আয়োজিত নেটওয়ার্কিং ও জ্ঞানবিনিময় অনুষ্ঠান ‘ফার্মা কানেক্ট’-এ তিনি এ তথ্য জানান।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলোর উদ্যোক্তা ও কর্মকর্তারা অংশ নেন। দীর্ঘদিন ধরে ভারতীয় ভিসা পেতে যে জটিলতা দেখা দিচ্ছে, তা দ্রুত সমাধানে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান তারা। একই সঙ্গে দুই দেশের মধ্যে সড়কপথে পণ্য পরিবহন আরও সহজ করার দাবি তোলেন।

ভারতের আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ফার্মাসিউটিক্যাল মেলা সিপিএইচআই–পিএমইসি ইন্ডিয়া ২০২৫–এ বাংলাদেশের অংশগ্রহণ সামনে রেখে এ আয়োজন করা হয়। মেলাটি আগামী ২৫-২৭ নভেম্বর নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত হবে।

অনুষ্ঠানে হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও সক্ষমতার সীমাবদ্ধতার কারণে কিছু ভিসা আবেদন কেন্দ্র সাময়িকভাবে বন্ধ রাখতে হয়েছিল। তবে বর্তমানে সীমিত কর্মী নিয়েই প্রতিদিন উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ভিসা ইস্যুর কাজ আবার শুরু করা হয়েছে।

তিনি বলেন, বাণিজ্যিক ভিসা পুনরায় দেওয়া হচ্ছে। জরুরি ভিসা আবেদনগুলো দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন করার চেষ্টা করছি।

তিনি আরও জানান, ব্যবসায়িক ভিসার প্রয়োজনে আবেদনকারীরা চাইলে হাইকমিশনের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সচিবের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন এবং এতে সুবিধা পাবেন।

বাংলাদেশ ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল মুক্তাদির বলেন, ফার্মা কানেক্টের মতো উদ্যোগ প্রযুক্তি হস্তান্তর, গবেষণা-উন্নয়ন সহযোগিতা এবং সাপ্লাই চেইন সংযুক্তি বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে কাঁচামাল শিল্পের বিস্তার হচ্ছে। এই ক্ষেত্রে ভারত আরও এগিয়ে। স্থলসীমান্ত থাকায় ভারত থেকে কাঁচামাল আমদানি করলে আমরা আরও প্রতিযোগিতামূলক হতে পারি।

অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ডা. জাকির হোসেন বলেন, ভিসা জটিলতার কারণে এ বছর সিপিএইচআই–পিএমইসি মেলায় বাংলাদেশ থেকে খুব কমসংখ্যক প্রতিনিধি যেতে পারছেন।

তিনি জানান, সাধারণত কয়েকশ পেশাজীবী অংশ নিলেও এবার মাত্র ৮৩ জন আবেদন করেছেন।

ব্যবসায়িক ভিসার প্রক্রিয়া আরও সহজ করার অনুরোধ জানিয়ে আবেদনকারীদের বিশেষ বিবেচনায় নেওয়ার আহ্বান জানান ডা. জাকির হোসেন।