প্রেসিডেন্ট শাহাবুদ্দিনের ছবি নামিয়ে ফেলার নির্দেশ
- আপডেট সময় : ০৬:৪৭:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫
- / 116
বিভিন্ন দেশে অবস্থিত বাংলাদেশে কূটনৈতিক মিশনগুলো থেকে প্রেসিডেন্ট মো. শাহাবুদ্দিনের ছবি নামিয়ে ফেলা হয়েছে। শনিবার মধ্যরাত ঢাকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ছবি নামানোর মৌখিক নির্দেশনা দেওয়া হয় বলে জানা গেছে।
ওয়াশিংটন, দিল্লি, বেইজিং রিয়াদসহ বিভিন্ন দেশে থাকা বাংলাদেশ মিশনগুলোর দায়িত্বপ্রাপ্তদের কাছে এই নির্দেশনা পাঠানো হয়।। সেই সঙ্গে স্ট্যান্ডিং অর্ডারটি বাস্তবায়নে অঞ্চলভিত্তিক তদারক কর্মকর্তাও নিয়োগ দেয়া হয়। মধ্যরাতে প্রতিবেশি একটি দেশের মিশন এবং তার আগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রেসিডেন্টের ছবি সরানো হয়।
সূত্র মতে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এই নির্দেশনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে চ্যান্সারি কমপ্লেক্স, মিশন প্রধানের বাড়ি এবং মিটিং রুমে এখন আর কোনো রাষ্ট্র বা সরকার প্রধানের ছবি থাকবে না।
এ ব্যাপারে সরকারের আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে কোনো ব্যাখ্যা না দিয়ে এ ব্যাপারে সরকারের একজন উপদেষ্টা কথা বলেছেন।
রাষ্ট্রপতির ছবি সরানোর সঙ্গে নির্বাচনের সম্পর্ক নেই: রিজওয়ানা হাসান
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানিয়েছেন, রাষ্ট্রপতির ছবি সরানোর সঙ্গে নির্বাচনের সম্পর্ক নেই। রবিবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, বিদেশে মিশনগুলো থেকে রাষ্ট্রপতির ছবি সরানোর বিষয়ে কোনও লিখিত নির্দেশনা আছে বলে জানা নেই। এ বিষয়ে উপদেষ্টা পরিষদেও কোনও আলোচনা বা সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে এর সঙ্গে নির্বাচনের কোনও সম্পর্ক নেই। প্রধান উপদেষ্টার ঘোষিত সময় আগামী ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান এই উপদেষ্টা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক কর্মকর্তা জানান, এই মুহূর্তে সারা বিশ্বে বাংলাদেশের ৮২টি মিশন ও উপমিশন রয়েছে। এর মধ্যে ৬৫টির বেশি মিশন ও উপমিশন থেকে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের ছবি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। ওয়াশিংটন, দিল্লি, বেইজিংসহ বেশির ভাগ মিশন থেকে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের ছবি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। গত বছরের ৫ আগস্টের গণ–অভ্যুত্থানের পর এসব ছবি সরানো হয়।
ইউরোপ, আমেরিকা অঞ্চলে কর্মরত কয়েকজন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিদেশে বাংলাদেশের যে মিশনগুলো রয়েছে, সেখান থেকে আগেই সরানো হয়েছে রাষ্ট্রপতির ছবি। তবে এ ছবি রাখা না রাখার কোনো নির্দেশনাও ছিল না বলে জানান তাঁরা।

















