ঢাকা ০৫:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

প্রবাসী আয়ে শীর্ষে ফের সৌদি আরব, পিছিয়ে পড়ল যুক্তরাষ্ট্র

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ১২:২৮:৪১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ জুন ২০২৫
  • / 358
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সংকটে থাকা বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখছে প্রবাসী আয়। তবে প্রবাসী আয়ের উৎস দেশের ক্ষেত্রে সাম্প্রতিককালে দেখা পরিবর্তন আবারও আগের অবস্থায় ফিরে এসেছে।

গত দুই বছর ধরে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স আসছিল সংযুক্ত আরব আমিরাত ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে। এবার সেই দুই দেশকে পিছনে ফেলে পুনরায় সৌদি আরব শীর্ষে উঠে এসেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক ঈদের ছুটির আগে যে দেশভিত্তিক রেমিট্যান্সের তথ্য প্রকাশ করেছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে, মে মাসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২২ কোটি ৩৬ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। এর চেয়ে আড়াই গুণের বেশি—৫৩ কোটি ৩৪ লাখ ডলার এসেছে সৌদি আরব থেকে।

শুধু মে মাসেই নয়, এপ্রিল মাসেও সৌদি আরব থেকে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায়। এপ্রিল মাসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৩৩ কোটি ৮ লাখ ডলার এবং সৌদি আরব থেকে ৪৯ কোটি ১৪ লাখ ডলার রেমিট্যান্স আসে।

বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষের মধ্যে দেড় কোটির বেশি মানুষ বিভিন্ন দেশে কাজ করেন। এর মধ্যে সর্বাধিক প্রবাসী রয়েছেন সৌদি আরবে—সংখ্যায় প্রায় ৫৫ লাখ। ফলে রেমিট্যান্সের বড় অংশ আসে এই দেশ থেকেই।

তবে দুই বছর আগে হঠাৎ করেই সৌদি আরব শীর্ষ স্থান হারায়। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সংযুক্ত আরব আমিরাত শীর্ষে উঠে আসে—৪৬০ কোটি ডলারের বিপরীতে সৌদি প্রবাসীরা পাঠান ২৭৪ কোটি (২.৭৪ বিলিয়ন) ডলার। এ সময় সৌদি আরব যুক্তরাষ্ট্রেরও পেছনে পড়ে যায়।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের (বিদায়ী) জুলাই থেকে মার্চ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রই শীর্ষে ছিল। গত মার্চে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৫৪ কোটি ৬১ লাখ ডলার রেমিট্যান্স আসে, সৌদি আরব থেকে আসে ৪৪ কোটি ৮৪ লাখ ডলার।

এখন আবার শীর্ষে সৌদি আরব। বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, “সৌদি আরবে সবচেয়ে বেশি প্রবাসী অবস্থান করেন। সেখান থেকে বেশি রেমিট্যান্স আসবে—এটাই স্বাভাবিক। বছরের পর বছর তাই হয়ে আসছে। মাঝখানে কিছু পরিস্থিতির কারণে সৌদি আরব পিছিয়ে পড়েছিল। এখন সেটি ঠিক হয়েছে। তাই সৌদি থেকে বেশি রেমিট্যান্স আসছে।”

তিনি ব্যাখ্যা করে বলেন, “ব্যাংকগুলোকে বলা হয়েছে, যে দেশ থেকে রেমিট্যান্স আসছে, তা সঠিকভাবে দেশের হিসাব অনুযায়ী দেখাতে হবে। এ কারণে এই পরিবর্তন হয়েছে।”

সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক নির্দেশনা দিয়েছে—প্রতিটি ব্যাংককে প্রকৃত উৎস দেশ অনুযায়ী রেমিট্যান্স হিসাব করে রিপোর্ট দিতে হবে।

ফলে সৌদি আরবের রেমিট্যান্স এখন সঠিকভাবে সৌদি আরবের হিসাবেই উঠছে। আগে যা অন্য দেশের হিসেবে ধরা হচ্ছিল।

প্রবাসীদের পাঠানো অর্থ মূলত ব্যাংক ও এক্সচেঞ্জ হাউসের মাধ্যমে দেশে আসে। এক্সচেঞ্জ হাউসের মাধ্যমে বেশি রেমিট্যান্স আসে। যেসব এক্সচেঞ্জ হাউসের মাধ্যমে রেমিট্যান্স আসে, তার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও আমিরাতের নিবন্ধিত কোম্পানি বেশি।

ফলে সৌদি আরবের রেমিট্যান্সও এক্সচেঞ্জ হাউসের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র বা আমিরাতের হিসাবেই ধরা হচ্ছিল। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা উদাহরণ দিয়ে বলেন, “কোনও ব্যাংক হয়তো যুক্তরাষ্ট্রের এক্সচেঞ্জ হাউস থেকে ১০ লাখ ডলার কিনেছে, যেখানে পাঁচ দেশের রেমিট্যান্স রয়েছে। আলাদা না দেখিয়ে সবই যুক্তরাষ্ট্রের হিসেবে রিপোর্ট দিচ্ছিল।”

তিনি আরও বলেন, “এতে প্রকৃত চিত্র প্রতিফলিত হচ্ছিল না। এখন থেকে সব ব্যাংক দেশভিত্তিক সঠিকভাবে রিপোর্ট দিলে ভুল রিপোর্টিং হবে না।”

বাংলাদেশে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স আসা শুরু হয় ১৯৭৪-৭৫ অর্থবছরে। তখন প্রবাসীরা ১ কোটি ১৮ লাখ ডলার পাঠিয়েছিলেন। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ২৪ বিলিয়ন ডলারে।

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের ১১ মাসে (জুলাই-মে) এসেছে ২৭ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলার; যা আগের অর্থবছরের পুরো সময়ের চেয়ে ১৫ শতাংশ বেশি।

৫০ বছরে মাত্র একবার বাদ দিয়ে সব সময়েই সৌদি আরব থেকে সর্বাধিক রেমিট্যান্স এসেছে। তাই ‘রেমিট্যান্স মানেই সৌদি’ কথাটিও প্রচলিত।

তবে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এবং ২০২৫ সালের প্রথমার্ধে সেই ধারা ব্যতিক্রম হয়। ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে প্রবাসীরা ২১৮ কোটি ৫২ লাখ (২.১৮ বিলিয়ন) ডলার পাঠান। যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসে সবচেয়ে বেশি—৪০ কোটি ৭৫ লাখ ডলার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ যুক্তরাজ্য থেকে—২৭ কোটি ৩৪ লাখ ডলার। সৌদি আরব থেকে আসে ২৭ কোটি ডলার।

ফেব্রুয়ারিতেও শীর্ষে ছিল যুক্তরাষ্ট্র। সৌদি ছিল তৃতীয় স্থানে।

ব্যাংক কর্মকর্তারা বলেছিলেন, বড় প্রতিষ্ঠানগুলো—যেমন মানিগ্রাম, ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন—ছোট প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে বিভিন্ন দেশের রেমিট্যান্স কিনে তা একত্রিত করে এক দেশে পাঠায়। এ কারণেই উৎস দেশের নাম বদলে যাচ্ছিল।

মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র থেকে রেমিট্যান্স বেড়ে যাওয়া মানেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রবাসীরা বেশি পাঠাচ্ছেন—তা নয়। অন্য দেশের রেমিট্যান্সও যুক্তরাষ্ট্রের বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর হাত ঘুরে আসছে। তাই কাগজে-কলমে যুক্তরাষ্ট্রের রেমিট্যান্স বাড়ছে।”

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনার পর এপ্রিল থেকে সৌদি আরব ফের শীর্ষে এসেছে। মে মাসেও শীর্ষেই রয়েছে সৌদি।

জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্য বলছে, ১৯৭৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি হওয়া শ্রমশক্তির ৩৬ শতাংশ গেছে সৌদি আরবে। সংখ্যায় তা ৫৫ লাখের বেশি। সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রায় ১০ লাখ, যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৭ লাখ প্রবাসী বাংলাদেশি আছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

প্রবাসী আয়ে শীর্ষে ফের সৌদি আরব, পিছিয়ে পড়ল যুক্তরাষ্ট্র

আপডেট সময় : ১২:২৮:৪১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ জুন ২০২৫

সংকটে থাকা বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখছে প্রবাসী আয়। তবে প্রবাসী আয়ের উৎস দেশের ক্ষেত্রে সাম্প্রতিককালে দেখা পরিবর্তন আবারও আগের অবস্থায় ফিরে এসেছে।

গত দুই বছর ধরে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স আসছিল সংযুক্ত আরব আমিরাত ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে। এবার সেই দুই দেশকে পিছনে ফেলে পুনরায় সৌদি আরব শীর্ষে উঠে এসেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক ঈদের ছুটির আগে যে দেশভিত্তিক রেমিট্যান্সের তথ্য প্রকাশ করেছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে, মে মাসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২২ কোটি ৩৬ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। এর চেয়ে আড়াই গুণের বেশি—৫৩ কোটি ৩৪ লাখ ডলার এসেছে সৌদি আরব থেকে।

শুধু মে মাসেই নয়, এপ্রিল মাসেও সৌদি আরব থেকে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায়। এপ্রিল মাসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৩৩ কোটি ৮ লাখ ডলার এবং সৌদি আরব থেকে ৪৯ কোটি ১৪ লাখ ডলার রেমিট্যান্স আসে।

বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষের মধ্যে দেড় কোটির বেশি মানুষ বিভিন্ন দেশে কাজ করেন। এর মধ্যে সর্বাধিক প্রবাসী রয়েছেন সৌদি আরবে—সংখ্যায় প্রায় ৫৫ লাখ। ফলে রেমিট্যান্সের বড় অংশ আসে এই দেশ থেকেই।

তবে দুই বছর আগে হঠাৎ করেই সৌদি আরব শীর্ষ স্থান হারায়। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সংযুক্ত আরব আমিরাত শীর্ষে উঠে আসে—৪৬০ কোটি ডলারের বিপরীতে সৌদি প্রবাসীরা পাঠান ২৭৪ কোটি (২.৭৪ বিলিয়ন) ডলার। এ সময় সৌদি আরব যুক্তরাষ্ট্রেরও পেছনে পড়ে যায়।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের (বিদায়ী) জুলাই থেকে মার্চ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রই শীর্ষে ছিল। গত মার্চে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৫৪ কোটি ৬১ লাখ ডলার রেমিট্যান্স আসে, সৌদি আরব থেকে আসে ৪৪ কোটি ৮৪ লাখ ডলার।

এখন আবার শীর্ষে সৌদি আরব। বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, “সৌদি আরবে সবচেয়ে বেশি প্রবাসী অবস্থান করেন। সেখান থেকে বেশি রেমিট্যান্স আসবে—এটাই স্বাভাবিক। বছরের পর বছর তাই হয়ে আসছে। মাঝখানে কিছু পরিস্থিতির কারণে সৌদি আরব পিছিয়ে পড়েছিল। এখন সেটি ঠিক হয়েছে। তাই সৌদি থেকে বেশি রেমিট্যান্স আসছে।”

তিনি ব্যাখ্যা করে বলেন, “ব্যাংকগুলোকে বলা হয়েছে, যে দেশ থেকে রেমিট্যান্স আসছে, তা সঠিকভাবে দেশের হিসাব অনুযায়ী দেখাতে হবে। এ কারণে এই পরিবর্তন হয়েছে।”

সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক নির্দেশনা দিয়েছে—প্রতিটি ব্যাংককে প্রকৃত উৎস দেশ অনুযায়ী রেমিট্যান্স হিসাব করে রিপোর্ট দিতে হবে।

ফলে সৌদি আরবের রেমিট্যান্স এখন সঠিকভাবে সৌদি আরবের হিসাবেই উঠছে। আগে যা অন্য দেশের হিসেবে ধরা হচ্ছিল।

প্রবাসীদের পাঠানো অর্থ মূলত ব্যাংক ও এক্সচেঞ্জ হাউসের মাধ্যমে দেশে আসে। এক্সচেঞ্জ হাউসের মাধ্যমে বেশি রেমিট্যান্স আসে। যেসব এক্সচেঞ্জ হাউসের মাধ্যমে রেমিট্যান্স আসে, তার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও আমিরাতের নিবন্ধিত কোম্পানি বেশি।

ফলে সৌদি আরবের রেমিট্যান্সও এক্সচেঞ্জ হাউসের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র বা আমিরাতের হিসাবেই ধরা হচ্ছিল। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা উদাহরণ দিয়ে বলেন, “কোনও ব্যাংক হয়তো যুক্তরাষ্ট্রের এক্সচেঞ্জ হাউস থেকে ১০ লাখ ডলার কিনেছে, যেখানে পাঁচ দেশের রেমিট্যান্স রয়েছে। আলাদা না দেখিয়ে সবই যুক্তরাষ্ট্রের হিসেবে রিপোর্ট দিচ্ছিল।”

তিনি আরও বলেন, “এতে প্রকৃত চিত্র প্রতিফলিত হচ্ছিল না। এখন থেকে সব ব্যাংক দেশভিত্তিক সঠিকভাবে রিপোর্ট দিলে ভুল রিপোর্টিং হবে না।”

বাংলাদেশে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স আসা শুরু হয় ১৯৭৪-৭৫ অর্থবছরে। তখন প্রবাসীরা ১ কোটি ১৮ লাখ ডলার পাঠিয়েছিলেন। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ২৪ বিলিয়ন ডলারে।

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের ১১ মাসে (জুলাই-মে) এসেছে ২৭ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলার; যা আগের অর্থবছরের পুরো সময়ের চেয়ে ১৫ শতাংশ বেশি।

৫০ বছরে মাত্র একবার বাদ দিয়ে সব সময়েই সৌদি আরব থেকে সর্বাধিক রেমিট্যান্স এসেছে। তাই ‘রেমিট্যান্স মানেই সৌদি’ কথাটিও প্রচলিত।

তবে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এবং ২০২৫ সালের প্রথমার্ধে সেই ধারা ব্যতিক্রম হয়। ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে প্রবাসীরা ২১৮ কোটি ৫২ লাখ (২.১৮ বিলিয়ন) ডলার পাঠান। যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসে সবচেয়ে বেশি—৪০ কোটি ৭৫ লাখ ডলার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ যুক্তরাজ্য থেকে—২৭ কোটি ৩৪ লাখ ডলার। সৌদি আরব থেকে আসে ২৭ কোটি ডলার।

ফেব্রুয়ারিতেও শীর্ষে ছিল যুক্তরাষ্ট্র। সৌদি ছিল তৃতীয় স্থানে।

ব্যাংক কর্মকর্তারা বলেছিলেন, বড় প্রতিষ্ঠানগুলো—যেমন মানিগ্রাম, ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন—ছোট প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে বিভিন্ন দেশের রেমিট্যান্স কিনে তা একত্রিত করে এক দেশে পাঠায়। এ কারণেই উৎস দেশের নাম বদলে যাচ্ছিল।

মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র থেকে রেমিট্যান্স বেড়ে যাওয়া মানেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রবাসীরা বেশি পাঠাচ্ছেন—তা নয়। অন্য দেশের রেমিট্যান্সও যুক্তরাষ্ট্রের বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর হাত ঘুরে আসছে। তাই কাগজে-কলমে যুক্তরাষ্ট্রের রেমিট্যান্স বাড়ছে।”

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনার পর এপ্রিল থেকে সৌদি আরব ফের শীর্ষে এসেছে। মে মাসেও শীর্ষেই রয়েছে সৌদি।

জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্য বলছে, ১৯৭৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি হওয়া শ্রমশক্তির ৩৬ শতাংশ গেছে সৌদি আরবে। সংখ্যায় তা ৫৫ লাখের বেশি। সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রায় ১০ লাখ, যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৭ লাখ প্রবাসী বাংলাদেশি আছেন।