ঢাকা ০৩:০১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পাহাড়ী ঢলে জৈন্তাপুর উপজলার নিন্মাঞ্চল প্লাবিত

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০৪:৫৬:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুন ২০২০
  • / 1058
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

অবিরাম ভারী বর্ষণ ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে জৈন্তাপুর উপজেলার জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। উপজেলার সবক‘টি ইউনিয়নের নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়ে অনেক মানুষ পানি বন্ধি হয়ে পড়েছে। উপজেলার বিভিন নদ-নদীর পানি বদ্ধি পেয়েছে। সারী নদীর পানি বিপদ সীমার ৬৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বড়গাং, শ্রীপুর, রাংপানি নদীর পানি বদ্ধি পেয়েছে। ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে রাস্তাঘাট যানবাহন ও লোকজন চলাচল অনেকটা কম। ২নং জৈন্তাপুর ইউনিয়ন’র কেদ্রী, শেওলারটুক, বাওন হাওর, বাউরভাগ, লক্ষীপুর, বিরাইমারা, লামনীগ্রাম, কাটাখাল গ্রাম বন্যার পানি প্রবেশ করছে। গ্রামীণ জনপদের অনেক রাস্তাঘাট বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে।

নিজপাট ইউনিয়ন’র বন্দরহাটি, মেঘলী, তিলকইপাড়া, নয়াবাড়ি, জাঙ্গাল হাটি সহ বিভিন্ন এলাকা এবং পশ্চিম গৌরিশংকর, ডিবির হাওর, কামরাঙ্গীখেল, বাইরাখেল, হর্নি, কালিঞ্জীবাড়ি, দিগারাইল, নয়াগাতি, বারগতি, হেলিরাই, গুয়াবাড়ি সহ আরো অনেক এলাকায় পানি প্রবেশ করে পানি বন্ধি হয়ে পড়েছে।

চিকনাগুল ইউনিয়ন’র কাটুয়াকাদি, কাপনাকান্দি, শিখার খাঁ গ্রাম’র অনেক মানুষ পানি বন্ধি হয়ে পড়েছে। অনেকই নৌকা দিয়ে চলাচল করছে।

দরবস্ত ইউনিয়ন’র নিন্মাঞ্চল বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। ইউনিয়ন’র সেনগ্রাম, গর্দ্দনা, হাজারী সেনগ্রাম, তেলিজুরী, ছাত্তারখাই গ্রাম বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। কয়েকটি গ্রামীন রাস্তা পানিতে তলিয়ে গেছে।

ইউনিয়ন’র বালিপাড়া, লামাশ্যামপুর, দলাইপাড়া এলাকার বিভিন্ন বসতবাড়িতে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। চারিকাটা ইউনিয়ন’র নয়াখেল, বালিদাড়া, থুবাং, ভিত্রিখেল, সরুখেল সহ আরো অনেক গ্রাম পাহাড়ি ঢলে বন্যার পানি প্রবেশ করায় ইউনিয়ন’র পাহাড়ি এলাকায় বসবাসরত স্থানীয় বাসিদাগণ অনকটা ঝুকির মধ্য রয়েছে।

আকষ্মিক বন্যায় উপজেলার বিভিন্ন মৎস্যজীবিদের ফিসারী তলিয়ে গেছে, কৃষকদের ধানের চারা পানির নীচে তলিয়ে গেছে।

বন্যা কবলিত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করছে জৈন্তাপুর উপজলা পরিষদ’র চেয়ারম্যান কামাল আহমদ। তিনি বন্যা কবলিত এলাকার ক্ষতিগ্রস্থ মানুষকে সরকারী সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দেন।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সালাহ উদ্দিন মানিক বলেন, উপজেলা প্রশাসন’র পক্ষ হতে বন্যা কবলিত এলাকা সার্বক্ষনিক মনিটরিং করা হচ্ছে। বিভিন্ন ইউনিয়ন’র উচু এলাকার প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলাকে আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

পাহাড়ী ঢলে জৈন্তাপুর উপজলার নিন্মাঞ্চল প্লাবিত

আপডেট সময় : ০৪:৫৬:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুন ২০২০

অবিরাম ভারী বর্ষণ ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে জৈন্তাপুর উপজেলার জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। উপজেলার সবক‘টি ইউনিয়নের নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়ে অনেক মানুষ পানি বন্ধি হয়ে পড়েছে। উপজেলার বিভিন নদ-নদীর পানি বদ্ধি পেয়েছে। সারী নদীর পানি বিপদ সীমার ৬৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বড়গাং, শ্রীপুর, রাংপানি নদীর পানি বদ্ধি পেয়েছে। ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে রাস্তাঘাট যানবাহন ও লোকজন চলাচল অনেকটা কম। ২নং জৈন্তাপুর ইউনিয়ন’র কেদ্রী, শেওলারটুক, বাওন হাওর, বাউরভাগ, লক্ষীপুর, বিরাইমারা, লামনীগ্রাম, কাটাখাল গ্রাম বন্যার পানি প্রবেশ করছে। গ্রামীণ জনপদের অনেক রাস্তাঘাট বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে।

নিজপাট ইউনিয়ন’র বন্দরহাটি, মেঘলী, তিলকইপাড়া, নয়াবাড়ি, জাঙ্গাল হাটি সহ বিভিন্ন এলাকা এবং পশ্চিম গৌরিশংকর, ডিবির হাওর, কামরাঙ্গীখেল, বাইরাখেল, হর্নি, কালিঞ্জীবাড়ি, দিগারাইল, নয়াগাতি, বারগতি, হেলিরাই, গুয়াবাড়ি সহ আরো অনেক এলাকায় পানি প্রবেশ করে পানি বন্ধি হয়ে পড়েছে।

চিকনাগুল ইউনিয়ন’র কাটুয়াকাদি, কাপনাকান্দি, শিখার খাঁ গ্রাম’র অনেক মানুষ পানি বন্ধি হয়ে পড়েছে। অনেকই নৌকা দিয়ে চলাচল করছে।

দরবস্ত ইউনিয়ন’র নিন্মাঞ্চল বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। ইউনিয়ন’র সেনগ্রাম, গর্দ্দনা, হাজারী সেনগ্রাম, তেলিজুরী, ছাত্তারখাই গ্রাম বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। কয়েকটি গ্রামীন রাস্তা পানিতে তলিয়ে গেছে।

ইউনিয়ন’র বালিপাড়া, লামাশ্যামপুর, দলাইপাড়া এলাকার বিভিন্ন বসতবাড়িতে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। চারিকাটা ইউনিয়ন’র নয়াখেল, বালিদাড়া, থুবাং, ভিত্রিখেল, সরুখেল সহ আরো অনেক গ্রাম পাহাড়ি ঢলে বন্যার পানি প্রবেশ করায় ইউনিয়ন’র পাহাড়ি এলাকায় বসবাসরত স্থানীয় বাসিদাগণ অনকটা ঝুকির মধ্য রয়েছে।

আকষ্মিক বন্যায় উপজেলার বিভিন্ন মৎস্যজীবিদের ফিসারী তলিয়ে গেছে, কৃষকদের ধানের চারা পানির নীচে তলিয়ে গেছে।

বন্যা কবলিত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করছে জৈন্তাপুর উপজলা পরিষদ’র চেয়ারম্যান কামাল আহমদ। তিনি বন্যা কবলিত এলাকার ক্ষতিগ্রস্থ মানুষকে সরকারী সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দেন।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সালাহ উদ্দিন মানিক বলেন, উপজেলা প্রশাসন’র পক্ষ হতে বন্যা কবলিত এলাকা সার্বক্ষনিক মনিটরিং করা হচ্ছে। বিভিন্ন ইউনিয়ন’র উচু এলাকার প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলাকে আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।