ঢাকা ০৭:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

পর্তুগালের লিসবনে বাংলাদেশি যুবকের আত্মহত্যা

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০৭:১৫:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৯
  • / 1807
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে ঢাকা জেলার সাভার থানার বনগ্রাম ইউনিয়নের রনি দাস নামের এক প্রবাসী বাংলাদেশি যুবক আত্মহত্যা করেছেন।

সোমবার রাতে নিজ কর্মস্থল আলমেদা ফোরামের পার্শ্ববর্তী একটি পার্কের গাছ থেকে রনির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে লিসবন পুলিশ। কাজ থেকে বাসায় ফেরার পথে তিনি আত্মহত্যা করেন বলে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দেওয়া পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে বের হয়ে আসে।

পর্তুগালের লিসবনে অবস্থানরত রনির এলাকার বন্ধু প্রবাসী আল আমিনের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, রনি ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বেশ হতাশ ছিলেন।

এই নিয়ে তিনি ডাক্তারের নিকট চিকিৎসা সেবাও নিয়েছিলেন বলে আল আমিন জানান।
রনির মৃত্যু নিয়ে দেশে তার মামার সাথে এবং পর্তুগালে তার কাছের বড় ভাই লিসবনের কাসকাইসের প্রবাসী মো. আবদুর রহমানের সাথে ফোনে আলাপকালে কথা হয় । তারা জানান, রনির আত্মহত্যার মূল কারণ প্রেম। রনির সঙ্গে দেশে এক মেয়ের সাথে দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ধর্মীয় গোত্র মিল না থাকায় রনির পরিবার মেয়েকে এবং তাদের ভালোবাসাকে মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানায়।

এরই প্রেক্ষিতে গত কয়েক মাস থেকে মানসিক চাপ ও ডিপ্রেশন থেকে সোমবার রাত আনুমানিক নয়টায় তার কর্মস্থল আলমেদা ফোরামের পার্শ্ববর্তী একটি পার্কের গাছের ডালে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে বলে তারা মনে করেন।
বর্তমানে আলামেদার গার্সিয়া ডি ওরটা হাসপাতালে রনির মরদেহটি রাখা হয়েছে। তার মৃত্যুতে লিসবনের বাঙালি অধ্যুষিত মাতৃ মনিজের প্রবাসীদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

পর্তুগালের লিসবনে বাংলাদেশি যুবকের আত্মহত্যা

আপডেট সময় : ০৭:১৫:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৯

পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে ঢাকা জেলার সাভার থানার বনগ্রাম ইউনিয়নের রনি দাস নামের এক প্রবাসী বাংলাদেশি যুবক আত্মহত্যা করেছেন।

সোমবার রাতে নিজ কর্মস্থল আলমেদা ফোরামের পার্শ্ববর্তী একটি পার্কের গাছ থেকে রনির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে লিসবন পুলিশ। কাজ থেকে বাসায় ফেরার পথে তিনি আত্মহত্যা করেন বলে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দেওয়া পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে বের হয়ে আসে।

পর্তুগালের লিসবনে অবস্থানরত রনির এলাকার বন্ধু প্রবাসী আল আমিনের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, রনি ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বেশ হতাশ ছিলেন।

এই নিয়ে তিনি ডাক্তারের নিকট চিকিৎসা সেবাও নিয়েছিলেন বলে আল আমিন জানান।
রনির মৃত্যু নিয়ে দেশে তার মামার সাথে এবং পর্তুগালে তার কাছের বড় ভাই লিসবনের কাসকাইসের প্রবাসী মো. আবদুর রহমানের সাথে ফোনে আলাপকালে কথা হয় । তারা জানান, রনির আত্মহত্যার মূল কারণ প্রেম। রনির সঙ্গে দেশে এক মেয়ের সাথে দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ধর্মীয় গোত্র মিল না থাকায় রনির পরিবার মেয়েকে এবং তাদের ভালোবাসাকে মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানায়।

এরই প্রেক্ষিতে গত কয়েক মাস থেকে মানসিক চাপ ও ডিপ্রেশন থেকে সোমবার রাত আনুমানিক নয়টায় তার কর্মস্থল আলমেদা ফোরামের পার্শ্ববর্তী একটি পার্কের গাছের ডালে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে বলে তারা মনে করেন।
বর্তমানে আলামেদার গার্সিয়া ডি ওরটা হাসপাতালে রনির মরদেহটি রাখা হয়েছে। তার মৃত্যুতে লিসবনের বাঙালি অধ্যুষিত মাতৃ মনিজের প্রবাসীদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।