সংবাদ শিরোনাম :
ধার করা আঁতেলরা শেখাচ্ছে, দেশ কীভাবে চলবে: হাফিজ
৫২ বাংলা
- আপডেট সময় : ০৯:০৩:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ অগাস্ট ২০২৫
- / 263

বিদেশ থেকে ‘ধার করা আঁতেলরা’ বাংলাদেশের গতিপ্রকৃতি নিয়ন্ত্রণ করতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেছেন, “বিদেশ থেকে ধার করে আনা আঁতেলরা আমাদের শেখাচ্ছে, কীভাবে দেশ চলবে? এদের অনেকে জানে না, ধান গাছের তক্তা হয় কি হয় না। কিন্তু আমাদেরকে লেকচার দিয়েই যাচ্ছে।
“তাদেরকে বলি, ভাই তুমি গ্রাম দেখেছ বাংলাদেশের? এটা দেখতে কেমন? এদের অনেকে ভোট দিতেও যায় না, কারণ লাইনে দাঁড়াতে হবে। তার চেয়ে ঘুমাই; আরামে ঘুম দেই— এরা এখন বাংলাদেশের রাজনীতির গতিপ্রকৃতি নিয়ন্ত্রণ করতে চায়।”
শনিবার (২ জুলাই ) ঢাকায় জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠানে বিএনপি নেতা এসব কথা বলেন। জুলাই আন্দোলনে নিহতদের পরিবারকে সন্মাননা দিতে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন অব বাংলাদেশের (আইইবি) ঢাকা কেন্দ্র এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে।
সেখানে অবসরপ্রাপ্ত মেজর হাফিজ উদ্দিন বলেন, ‘‘অত্যন্ত দুঃখ লাগে। যুদ্ধে আহত হয়েছিলাম, বয়সে ছিলাম তরুণ। কত স্বপ্ন ছিল। সেই স্বপ্ন আওয়ামী লীগ বাস্তবায়ন হতে দেয়নি।“
জুলাই আন্দোলনে নিহতদের স্বজনদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, “সাধারণ মানুষের অধিকারকে বারবার দাবিয়ে রাখা হয়েছে। যার জন্য মাত্র এক বছর আগে, এই যে তাদের সন্তানেরা, যে ত্যাগ স্বীকার করল, সেটির তো কোনো মূল্য নাই। এটার কৃতিত্ব অন্যরা হাইজ্যাক করার চেষ্টা করছে। অদ্ভুত এক যুক্তি তারা হাজির করে। এখন ভোট দিলে বিএনপি ক্ষমতায় যাবে এবং আবার চাঁদাবাজি করবে, সুতরাং নির্বাচনের দরকার নাই। কোন দেশে আমরা বাস করছি— খুবই দুঃখজনক।”
‘অনির্বাচিতরা’ কীভাবে দেশের সংবিধান সংশোধনের কথা বলেন, সেই প্রশ্নও তোলেন এ বিএনপি নেতা।
তিনি বলেন, “পৃথিবীর ইতিহাসে কোথাও নাই অনির্বাচিত ব্যক্তিরা সংবিধান সংশোধন করে। এখানে সেটাই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। জনগণের সম্মতি ছাড়া; পার্লামেন্টের সম্মতি ছাড়া কীভাবে সংবিধান সংশোধন করতে চায়? যে সংবিধান আমরা রক্ত দিয়ে ‘৭২ সালে প্রতিষ্ঠা করেছি, সেটা তারা ছুড়ে ফেলে দিতে চায়। একটি রাজনৈতিক দল, যারা বিরোধিতা করেছে মুক্তিযুদ্ধে, তারা এখন বলতে চায় যে, একাত্তরে জাতি ভুল করেছে, এটি নাকি পথভ্রষ্ট জাতি ছিল। এসব কথা বলার সুযোগ তারা কোথায় পেল?”
অন্তবর্তী সরকারের উদ্দেশে হাফিজ উদ্দিন বলেন, “এই যে এত ধরনের সংস্কার, এত কিছু তো প্রয়োজন নাই। তাদের প্রধান দায়িত্ব ছিল, জুলাই আন্দোলনে যারা আহত হয়েছেন, তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা। এ সামান্য কাজটাই তো তারা করতে পারেনি। তারা কিছুদিন পর পর হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে এসে শাহবাগ অবরোধ করে। কত দুঃখের কথা, আমরা কেমন জাতি, কেমন সরকার; কেমন রাজনৈতিক দল, এই কয়েকটা ছেলেকে আমরা দেখতে পারি না; এদের চিকিৎসা করতে পারি না।”
আইইবির চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমিনুল হক এবং ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের আশরাফ উদ্দিন বকুল ও আবদুস সোহবান।


















