ঢাকা ০৫:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

ডাকসু নির্বাচন: শান্ত পরিস্থিতি ঘোলাটে হয়ে ওঠার নেপথ্যে

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ১২:৪৯:২৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / 109

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেট ভবনে চলছে ভোট গণনা

অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বহু প্রতীক্ষিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের শুরুটা ছিল উৎসবমুখর, তবে শেষ পর্যন্ত অভিযোগে ভরে যায় চারপাশ। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রধান দলগুলোর পাল্টাপাল্টি ভোট কারচুপির অভিযোগে দুপুর থেকে পরিস্থিতি ঘোলাটে হতে শুরু করে। যদিও উপাচার্য অভিযোগ নাকচ করে স্পষ্টভাবে জানান, পক্ষপাতের কোনও সুযোগ নেই।

সকাল থেকেই আটটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হয় প্রাণবন্ত পরিবেশে। শিক্ষার্থীদের দীর্ঘ সারি ছিল প্রায় প্রতিটি কেন্দ্রে। সকাল ৮টায় উদয়ন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, ছাত্রদল সমর্থিত ভিপি প্রার্থী মো. আবিদুল ইসলাম খান ও জিএস প্রার্থী শেখ তানভীর বারী হামিম ভোটারদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করছেন। কিন্তু দুপুরের পরই পরিস্থিতি বদলাতে থাকে।

শুরুর চিত্র

ভোট শুরুর তিন ঘণ্টার মধ্যে প্রায় ৩৫ শতাংশ ভোট পড়ে। এ সময় বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী জোট অভিযোগ তোলে, অমর একুশে হলে আগে থেকেই ব্যালট বাক্স ভর্তি এবং শামসুন্নাহার হলে শিক্ষকদের পক্ষপাতমূলক আচরণ হয়েছে। তারা একে “নীলনকশার নির্বাচন” বলে অভিহিত করে।

শিবিরের এস এম ফরহাদ বলেন, “ইউল্যাব স্কুল কেন্দ্রে সকাল ৯টা পর্যন্ত কাউকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের এজেন্টকে বের করে দেওয়া হয়েছে। অমর একুশে হলে ছাত্রদলের সিল মারা ব্যালট আগে থেকেই ভর্তি ছিল।”

দুপুরে টিএসসির রোকেয়া হল কেন্দ্রে উত্তেজনা দেখা দেয়। ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাসির অভিযোগ করেন, “শিবিরের পক্ষে ব্যালটে আগে থেকেই সিল মারার বিষয়টি জানাতে গেলে প্রশাসন আমাদের সঙ্গে অপ্রীতিকর আচরণ করে। আমাদের অভিযোগ শোনেনি।”

কারচুপি নিয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

দুপুর গড়াতেই ছাত্রদল, ছাত্রশিবির ও প্রশাসনের মধ্যে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। সহকারী প্রক্টর নূরে আলম সিদ্দিকীও হেনস্তার শিকার হন। ছাত্রদল সমর্থিত ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান বলেন, “যে নির্বাচন প্রত্যাশা করেছিলাম, তা হয়নি। আগে থেকেই ব্যালট ভরাটের অভিযোগ এসেছে। অন্তত দুটি কেন্দ্রে এমন ঘটনা ঘটেছে।”

অন্যদিকে ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের ভিপি প্রার্থী আবু সাদিক কায়েম হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “ডাকসু নির্বাচন বানচাল করতে চাইলে তাদের পরিণতি শেখ হাসিনা ও ছাত্রলীগের চেয়েও খারাপ হবে। আমরা প্রশাসনকে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।”

মেঘমল্লারের ভিডিওবার্তা

জিএস প্রার্থী মেঘমল্লার বসু হুইলচেয়ারে করে ক্যাম্পাসে আসেন এবং পরে ফেসবুকে ভিডিওবার্তা দেন। তিনি বলেন, “অমর একুশে হলে আগে থেকেই ব্যালট ভর্তি করা হয়েছে। রোকেয়া হলে ভিপি-জিএস পদে শিবির সমর্থিত প্রার্থীর নাম বসিয়ে ব্যালট বিতরণ হয়েছে। শহীদুল্লাহ হলে ভুয়া ভোটারের তালিকা আগে থেকেই ছিল। এসব অনিয়ম স্পষ্ট।”

পর্যবেক্ষক শিক্ষকদের মন্তব্য

শিক্ষক নেটওয়ার্কের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরিন জানান, বড় ধরনের কোনও সমস্যা চোখে পড়েনি। আরেক সদস্য অধ্যাপক সামিনা লুৎফা বলেন, নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হলেও তথ্যের ঘাটতি, পাস দেরিতে পাওয়া, কিছু কেন্দ্রে দায়িত্বে অস্বচ্ছতা ও ধীর ভোটগ্রহণের ঘটনা ঘটেছে।

ভিসির প্রতিক্রিয়া

উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, “ভোটকেন্দ্রে পোলিং এজেন্ট, সাংবাদিক ও সিসিটিভি ক্যামেরার নজরদারিতে পক্ষপাতের সুযোগ নেই। গেটের বাইরে ভিড় বাড়লেও নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।”

ভোটের ফলাফল

মোট ভোট পড়েছে ৭৮ শতাংশ।

  • সর্বোচ্চ ভোট সুর্যসেন হলে (৮৮%)

  • শেখ মুজিবুর রহমান হল (৮৭%)

  • শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল (৮৪.৫৬%)

  • হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল (৮৩.৩৭%)

  • অমর একুশে হল (৮৩.৩০%)

  • জগন্নাথ হল (৮২.৪৪%)

  • মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল (৭৫%)

  • স্যার এ এফ রহমান হল (৮২.৫০%)

কবি জসীম উদ্দীন হল (৮৬%), বিজয় একাত্তর হল (৮৫.০২%), সলিমুল্লাহ মুসলিম হল (৮৩%)। মেয়েদের হলে রোকেয়া হল (৬৫.৫০%), সুফিয়া কামাল হল (৬৪%), শামসুন নাহার হল (৬৩.৬৭%), কুয়েত মৈত্রী হল (৬৮.৩৯%) ও বঙ্গমাতা হল (৬৭.০৮%)।

সব মিলিয়ে গড় ভোট পড়েছে ৭৮.৩৩ শতাংশ।

ক্যাম্পাসজুড়ে উত্তেজনা

মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ ঘিরে ক্যাম্পাসজুড়ে থমথমে পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। যে কোনো ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় ক্যাম্পাস এলাকায় সতর্ক অবস্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবিসহ সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীদের পর্যাপ্ত সদস্যের উপস্থিতি দেখা করা গেছে।

ডাকসু নির্বাচনের ফলের অপেক্ষা, স্লোগানে উত্তাল সিনেট ভবন

ঘড়ির কাঁটা পেরিয়ে গেছে মধ্যরাত; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের ভেতরে তিল ধারণের ঠাঁই নেই। ডাকসু নির্বাচনের ফল জানতে বিভিন্ন প্যানেলের প্রার্থীদের সমর্থক এবং শিক্ষার্থীরা সেখানে জড়ো হয়েছেন। সিনেট ভবনের কনফারেন্স কক্ষটি জনসমুদ্রের রূপ পেয়েছে।

গণমাধ্যমকর্মীরা সেখানে অপেক্ষা করছিলেন কয়েক ঘণ্টা আগে থেকেই। রাত ১২টার আগে আগে হুট করে শিক্ষার্থীরা জড়ো হলে মুহূর্তে ভরে যায় কক্ষটি। থেকে থেকে ঢেউ ওঠে স্লোগানের।

সিনেট ভবনের নিচতলাতেও অনেককে দেখা গেছে অপেক্ষা করতে। ‘ঢাবি/ঢাবি’, ‘ডাকসু/ডাকসু’ বলেও স্লোগান দিতেও দেখা যায় শিক্ষার্থীদের।

ভবনের সিঁড়িতেও বসে অপেক্ষা করতে দেখা যায় অনেককে। তাদের সবার অপেক্ষা ডাকসু ফলাফল কখন জানানো হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ডাকসু নির্বাচন: শান্ত পরিস্থিতি ঘোলাটে হয়ে ওঠার নেপথ্যে

আপডেট সময় : ১২:৪৯:২৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বহু প্রতীক্ষিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের শুরুটা ছিল উৎসবমুখর, তবে শেষ পর্যন্ত অভিযোগে ভরে যায় চারপাশ। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রধান দলগুলোর পাল্টাপাল্টি ভোট কারচুপির অভিযোগে দুপুর থেকে পরিস্থিতি ঘোলাটে হতে শুরু করে। যদিও উপাচার্য অভিযোগ নাকচ করে স্পষ্টভাবে জানান, পক্ষপাতের কোনও সুযোগ নেই।

সকাল থেকেই আটটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হয় প্রাণবন্ত পরিবেশে। শিক্ষার্থীদের দীর্ঘ সারি ছিল প্রায় প্রতিটি কেন্দ্রে। সকাল ৮টায় উদয়ন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, ছাত্রদল সমর্থিত ভিপি প্রার্থী মো. আবিদুল ইসলাম খান ও জিএস প্রার্থী শেখ তানভীর বারী হামিম ভোটারদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করছেন। কিন্তু দুপুরের পরই পরিস্থিতি বদলাতে থাকে।

শুরুর চিত্র

ভোট শুরুর তিন ঘণ্টার মধ্যে প্রায় ৩৫ শতাংশ ভোট পড়ে। এ সময় বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী জোট অভিযোগ তোলে, অমর একুশে হলে আগে থেকেই ব্যালট বাক্স ভর্তি এবং শামসুন্নাহার হলে শিক্ষকদের পক্ষপাতমূলক আচরণ হয়েছে। তারা একে “নীলনকশার নির্বাচন” বলে অভিহিত করে।

শিবিরের এস এম ফরহাদ বলেন, “ইউল্যাব স্কুল কেন্দ্রে সকাল ৯টা পর্যন্ত কাউকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের এজেন্টকে বের করে দেওয়া হয়েছে। অমর একুশে হলে ছাত্রদলের সিল মারা ব্যালট আগে থেকেই ভর্তি ছিল।”

দুপুরে টিএসসির রোকেয়া হল কেন্দ্রে উত্তেজনা দেখা দেয়। ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাসির অভিযোগ করেন, “শিবিরের পক্ষে ব্যালটে আগে থেকেই সিল মারার বিষয়টি জানাতে গেলে প্রশাসন আমাদের সঙ্গে অপ্রীতিকর আচরণ করে। আমাদের অভিযোগ শোনেনি।”

কারচুপি নিয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

দুপুর গড়াতেই ছাত্রদল, ছাত্রশিবির ও প্রশাসনের মধ্যে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। সহকারী প্রক্টর নূরে আলম সিদ্দিকীও হেনস্তার শিকার হন। ছাত্রদল সমর্থিত ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান বলেন, “যে নির্বাচন প্রত্যাশা করেছিলাম, তা হয়নি। আগে থেকেই ব্যালট ভরাটের অভিযোগ এসেছে। অন্তত দুটি কেন্দ্রে এমন ঘটনা ঘটেছে।”

অন্যদিকে ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের ভিপি প্রার্থী আবু সাদিক কায়েম হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “ডাকসু নির্বাচন বানচাল করতে চাইলে তাদের পরিণতি শেখ হাসিনা ও ছাত্রলীগের চেয়েও খারাপ হবে। আমরা প্রশাসনকে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।”

মেঘমল্লারের ভিডিওবার্তা

জিএস প্রার্থী মেঘমল্লার বসু হুইলচেয়ারে করে ক্যাম্পাসে আসেন এবং পরে ফেসবুকে ভিডিওবার্তা দেন। তিনি বলেন, “অমর একুশে হলে আগে থেকেই ব্যালট ভর্তি করা হয়েছে। রোকেয়া হলে ভিপি-জিএস পদে শিবির সমর্থিত প্রার্থীর নাম বসিয়ে ব্যালট বিতরণ হয়েছে। শহীদুল্লাহ হলে ভুয়া ভোটারের তালিকা আগে থেকেই ছিল। এসব অনিয়ম স্পষ্ট।”

পর্যবেক্ষক শিক্ষকদের মন্তব্য

শিক্ষক নেটওয়ার্কের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরিন জানান, বড় ধরনের কোনও সমস্যা চোখে পড়েনি। আরেক সদস্য অধ্যাপক সামিনা লুৎফা বলেন, নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হলেও তথ্যের ঘাটতি, পাস দেরিতে পাওয়া, কিছু কেন্দ্রে দায়িত্বে অস্বচ্ছতা ও ধীর ভোটগ্রহণের ঘটনা ঘটেছে।

ভিসির প্রতিক্রিয়া

উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, “ভোটকেন্দ্রে পোলিং এজেন্ট, সাংবাদিক ও সিসিটিভি ক্যামেরার নজরদারিতে পক্ষপাতের সুযোগ নেই। গেটের বাইরে ভিড় বাড়লেও নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।”

ভোটের ফলাফল

মোট ভোট পড়েছে ৭৮ শতাংশ।

  • সর্বোচ্চ ভোট সুর্যসেন হলে (৮৮%)

  • শেখ মুজিবুর রহমান হল (৮৭%)

  • শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল (৮৪.৫৬%)

  • হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল (৮৩.৩৭%)

  • অমর একুশে হল (৮৩.৩০%)

  • জগন্নাথ হল (৮২.৪৪%)

  • মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল (৭৫%)

  • স্যার এ এফ রহমান হল (৮২.৫০%)

কবি জসীম উদ্দীন হল (৮৬%), বিজয় একাত্তর হল (৮৫.০২%), সলিমুল্লাহ মুসলিম হল (৮৩%)। মেয়েদের হলে রোকেয়া হল (৬৫.৫০%), সুফিয়া কামাল হল (৬৪%), শামসুন নাহার হল (৬৩.৬৭%), কুয়েত মৈত্রী হল (৬৮.৩৯%) ও বঙ্গমাতা হল (৬৭.০৮%)।

সব মিলিয়ে গড় ভোট পড়েছে ৭৮.৩৩ শতাংশ।

ক্যাম্পাসজুড়ে উত্তেজনা

মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ ঘিরে ক্যাম্পাসজুড়ে থমথমে পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। যে কোনো ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় ক্যাম্পাস এলাকায় সতর্ক অবস্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবিসহ সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীদের পর্যাপ্ত সদস্যের উপস্থিতি দেখা করা গেছে।

ডাকসু নির্বাচনের ফলের অপেক্ষা, স্লোগানে উত্তাল সিনেট ভবন

ঘড়ির কাঁটা পেরিয়ে গেছে মধ্যরাত; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের ভেতরে তিল ধারণের ঠাঁই নেই। ডাকসু নির্বাচনের ফল জানতে বিভিন্ন প্যানেলের প্রার্থীদের সমর্থক এবং শিক্ষার্থীরা সেখানে জড়ো হয়েছেন। সিনেট ভবনের কনফারেন্স কক্ষটি জনসমুদ্রের রূপ পেয়েছে।

গণমাধ্যমকর্মীরা সেখানে অপেক্ষা করছিলেন কয়েক ঘণ্টা আগে থেকেই। রাত ১২টার আগে আগে হুট করে শিক্ষার্থীরা জড়ো হলে মুহূর্তে ভরে যায় কক্ষটি। থেকে থেকে ঢেউ ওঠে স্লোগানের।

সিনেট ভবনের নিচতলাতেও অনেককে দেখা গেছে অপেক্ষা করতে। ‘ঢাবি/ঢাবি’, ‘ডাকসু/ডাকসু’ বলেও স্লোগান দিতেও দেখা যায় শিক্ষার্থীদের।

ভবনের সিঁড়িতেও বসে অপেক্ষা করতে দেখা যায় অনেককে। তাদের সবার অপেক্ষা ডাকসু ফলাফল কখন জানানো হবে।