ঢাকা ১১:১১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ইসলামে পারিবারিক নির্যাতনের কোনো স্থান নেই-শায়খ আব্দুল কাইয়ুম লিবিয়া থেকে ৩১০ বাংলাদেশি দেশে ফিরলেন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে আরও ৩০ দেশের নাগরিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা খাঁচা থেকে বের হওয়া সিংহী আড়াই ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে লন্ডনে ফ্লাই রবিবার, নির্জন কারাবাস থেকেই খালেদা জিয়ার ‘নানা রোগের সূচনা’ জানালেন ফখরুল মহাকাশ থেকে পবিত্র  কাবা শরিফের উজ্জ্বল ছবি আন্দোলনে থাকা প্রাথমিকের শিক্ষকদের বদলি, ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি স্থগিত তারেক রহমানের দেশে ফেরা আবার অনিশ্চিত, কীভাবে ভোটার হবেন? খালেদা জিয়া ছাড়া পরিবারের কেউ ভিভিআইপি সুবিধা পাবেন না কুকুরছানা হত্যা মামলায় মায়ের সঙ্গে কারাগারে ২ বছরের শিশু

‘জামায়াত-শিবির রাজাকার, এই মুহূর্তে বাংলা ছাড়’—বিএনপির স্লোগানে ‘মাথাব্যথা নেই’ জামায়াতের

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ১২:৫৫:৫৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫
  • / 251
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বিএনপির মিছিল থেকে জামায়াত-শিবিরকে ‘রাজাকার’ আখ্যা দিয়ে যে স্লোগান দেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে দলটির কোনো মাথাব্যথা নেই বলে জানিয়েছেন জামায়াতের একজন কেন্দ্রীয় নেতা।

মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কার্যালয়ে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন বিএনপির দুই যুগের শরিক দল জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের।

আগামী শনিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জামায়াতের সমাবেশের নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন দিক ঠিক করতে জুবায়েরের নেতৃত্বে দলটির সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ডিএমপির সঙ্গে বৈঠকে যায়।

সোমবার বিএনপির এক মিছিল থেকে জামায়াতবিরোধী নানা স্লোগান দেওয়া হয়। একটি স্লোগান ছিল—‘জামায়াত-শিবির রাজাকার, এই মুহূর্তে বাংলা ছাড়’; ছাত্রদলের মিছিল থেকে আরও বলা হয়—‘রাজাকার-স্বৈরাচার, মিলে মিলে একাকার’, ‘দিল্লি গেছে স্বৈরাচার, পিন্ডি যাবে রাজাকার’।

এসব স্লোগান নিয়ে জামায়াতের অবস্থান জানতে চাইলে জুবায়ের বলেন, ‘‘জামায়াতে ইসলামী এবং ইসলামী ছাত্রশিবির গণতান্ত্রিক আন্দোলনে আমরা দীর্ঘদিন থেকে আছি। দেশের রাজনীতি এবং গণতন্ত্রের ক্ষেত্রে আমাদের ভূমিকার সময় সময় ছিল, দেশের স্বার্থে, কল্যাণে। আমরা যে কোনো সমালোচনাকে সব সময় ওয়ালকাম জানিয়েছি, এখনও ওয়েলকাম জানাচ্ছি। আমরা আমাদের কাজ করছি, আমাদের নীতি-প্রক্রিয়া, কর্মসূচি দেশবাসীর কাছে স্পষ্ট আছে। আমরা এসব নিয়েই এগিয়ে যেতে চাই। আমাদের কাছে ওগুলো কোনো ‘মাথাব্যথা না।’’

১৯৯৯ সাল থেকে ২০২২ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত জোটবদ্ধ রাজনীতি করেছে বিএনপি ও জামায়াত। তবে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দুই দল পরস্পরকে ঘায়েল করতে নানা বক্তব্য দিয়ে আসছে।

জামায়াত বিএনপির বিরুদ্ধে দখলবাজি ও চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলেছে, অন্যদিকে বিএনপি জামায়াতের মুক্তিযুদ্ধবিরোধী ভূমিকা নিয়ে আক্রমণ করছে।

জামায়াতের সমাবেশে বিএনপিকে দাওয়াত দেওয়া হবে কি না, জানতে চাইলে জুবায়ের বলেন, ‘‘সেটা প্রক্রিয়াধীন আছে।’’

ডিএমপির সঙ্গে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘‘সমাবেশটি সুন্দর, শান্তিপূর্ণভাবে করার জন্য আমরা পুলিশের সহযোগিতা চেয়েছি।

আমরা মাঠের ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন বিষয়ে পুলিশের সঙ্গে আলোচনা করেছি।’’

তিনি আরও জানান, সমাবেশে সারাদেশ থেকে আনুমানিক ১০ হাজারের মতো বাস ও গাড়ি আসবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

‘জামায়াত-শিবির রাজাকার, এই মুহূর্তে বাংলা ছাড়’—বিএনপির স্লোগানে ‘মাথাব্যথা নেই’ জামায়াতের

আপডেট সময় : ১২:৫৫:৫৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫

বিএনপির মিছিল থেকে জামায়াত-শিবিরকে ‘রাজাকার’ আখ্যা দিয়ে যে স্লোগান দেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে দলটির কোনো মাথাব্যথা নেই বলে জানিয়েছেন জামায়াতের একজন কেন্দ্রীয় নেতা।

মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কার্যালয়ে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন বিএনপির দুই যুগের শরিক দল জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের।

আগামী শনিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জামায়াতের সমাবেশের নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন দিক ঠিক করতে জুবায়েরের নেতৃত্বে দলটির সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ডিএমপির সঙ্গে বৈঠকে যায়।

সোমবার বিএনপির এক মিছিল থেকে জামায়াতবিরোধী নানা স্লোগান দেওয়া হয়। একটি স্লোগান ছিল—‘জামায়াত-শিবির রাজাকার, এই মুহূর্তে বাংলা ছাড়’; ছাত্রদলের মিছিল থেকে আরও বলা হয়—‘রাজাকার-স্বৈরাচার, মিলে মিলে একাকার’, ‘দিল্লি গেছে স্বৈরাচার, পিন্ডি যাবে রাজাকার’।

এসব স্লোগান নিয়ে জামায়াতের অবস্থান জানতে চাইলে জুবায়ের বলেন, ‘‘জামায়াতে ইসলামী এবং ইসলামী ছাত্রশিবির গণতান্ত্রিক আন্দোলনে আমরা দীর্ঘদিন থেকে আছি। দেশের রাজনীতি এবং গণতন্ত্রের ক্ষেত্রে আমাদের ভূমিকার সময় সময় ছিল, দেশের স্বার্থে, কল্যাণে। আমরা যে কোনো সমালোচনাকে সব সময় ওয়ালকাম জানিয়েছি, এখনও ওয়েলকাম জানাচ্ছি। আমরা আমাদের কাজ করছি, আমাদের নীতি-প্রক্রিয়া, কর্মসূচি দেশবাসীর কাছে স্পষ্ট আছে। আমরা এসব নিয়েই এগিয়ে যেতে চাই। আমাদের কাছে ওগুলো কোনো ‘মাথাব্যথা না।’’

১৯৯৯ সাল থেকে ২০২২ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত জোটবদ্ধ রাজনীতি করেছে বিএনপি ও জামায়াত। তবে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দুই দল পরস্পরকে ঘায়েল করতে নানা বক্তব্য দিয়ে আসছে।

জামায়াত বিএনপির বিরুদ্ধে দখলবাজি ও চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলেছে, অন্যদিকে বিএনপি জামায়াতের মুক্তিযুদ্ধবিরোধী ভূমিকা নিয়ে আক্রমণ করছে।

জামায়াতের সমাবেশে বিএনপিকে দাওয়াত দেওয়া হবে কি না, জানতে চাইলে জুবায়ের বলেন, ‘‘সেটা প্রক্রিয়াধীন আছে।’’

ডিএমপির সঙ্গে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘‘সমাবেশটি সুন্দর, শান্তিপূর্ণভাবে করার জন্য আমরা পুলিশের সহযোগিতা চেয়েছি।

আমরা মাঠের ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন বিষয়ে পুলিশের সঙ্গে আলোচনা করেছি।’’

তিনি আরও জানান, সমাবেশে সারাদেশ থেকে আনুমানিক ১০ হাজারের মতো বাস ও গাড়ি আসবে।