ঢাকা ০৭:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

কক্সবাজারে কেন মার্কিন সেনা?

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ১০:১৮:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫
  • / 290
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে মার্কিন সেনা ও বিমানবাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা আলোচনা ও জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে। সৈকতের কিছু ছবি ছড়িয়ে পড়ার পর বিষয়টি আরও আলোচনার জন্ম দেয়।

তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে, একটি যৌথ প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে অংশ নিতে মার্কিন সেনা ও বিমানবাহিনীর একটি দল বর্তমানে কক্সবাজারে অবস্থান করছে।

১৮ মে শুরু হওয়া চার দিনের এই প্রশিক্ষণ শেষ হয়েছে বুধবার (২১ মে ২০২৫)। বন্যা, জলোচ্ছ্বাস ও ঘূর্ণিঝড়ে দুর্গতদের উদ্ধার তৎপরতা নিয়ে বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে যৌথভাবে এই প্রশিক্ষণ পরিচালিত হয়।

কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ তানহারুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, “কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের জন্য মার্কিন সেনা ও বিমানবাহিনীর সদস্যদের সহায়তায় একটি প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।” প্রশিক্ষণ কার্যক্রমটি পরিচালনা করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা।

তিনি আরও জানান, কক্সবাজার জেলার উপকূলীয় অঞ্চলে ফায়ার সার্ভিসের ১৫ জন সদস্য এই প্রশিক্ষণে অংশ নেন। প্রশিক্ষণ পরিচালনায় যুক্ত ছিলেন মার্কিন সেনা ও বিমানবাহিনীর নয়জন সদস্য।

তানহারুল ইসলাম বলেন, “আজ বুধবার সকালে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের প্যারাসেইলিং পয়েন্ট এলাকায় প্রশিক্ষণের শেষ পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।”

তিনি জানান, “মার্কিন দূতাবাসের সহায়তায় পরিচালিত এই প্রশিক্ষণ শেষে অংশগ্রহণকারীদের সনদপত্র প্রদান করা হয়েছে।”

এই প্রশিক্ষণে বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ের সময় আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধার, পানিতে ভেসে যাওয়া দুর্গতদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনার কৌশল এবং জরুরি মুহূর্তে প্রতিক্রিয়ার দক্ষতা শেখানো হয়েছে।

“উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে প্রশিক্ষণটি পরিচালিত হয়েছে,” বলেন তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

কক্সবাজারে কেন মার্কিন সেনা?

আপডেট সময় : ১০:১৮:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে মার্কিন সেনা ও বিমানবাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা আলোচনা ও জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে। সৈকতের কিছু ছবি ছড়িয়ে পড়ার পর বিষয়টি আরও আলোচনার জন্ম দেয়।

তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে, একটি যৌথ প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে অংশ নিতে মার্কিন সেনা ও বিমানবাহিনীর একটি দল বর্তমানে কক্সবাজারে অবস্থান করছে।

১৮ মে শুরু হওয়া চার দিনের এই প্রশিক্ষণ শেষ হয়েছে বুধবার (২১ মে ২০২৫)। বন্যা, জলোচ্ছ্বাস ও ঘূর্ণিঝড়ে দুর্গতদের উদ্ধার তৎপরতা নিয়ে বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে যৌথভাবে এই প্রশিক্ষণ পরিচালিত হয়।

কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ তানহারুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, “কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের জন্য মার্কিন সেনা ও বিমানবাহিনীর সদস্যদের সহায়তায় একটি প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।” প্রশিক্ষণ কার্যক্রমটি পরিচালনা করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা।

তিনি আরও জানান, কক্সবাজার জেলার উপকূলীয় অঞ্চলে ফায়ার সার্ভিসের ১৫ জন সদস্য এই প্রশিক্ষণে অংশ নেন। প্রশিক্ষণ পরিচালনায় যুক্ত ছিলেন মার্কিন সেনা ও বিমানবাহিনীর নয়জন সদস্য।

তানহারুল ইসলাম বলেন, “আজ বুধবার সকালে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের প্যারাসেইলিং পয়েন্ট এলাকায় প্রশিক্ষণের শেষ পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।”

তিনি জানান, “মার্কিন দূতাবাসের সহায়তায় পরিচালিত এই প্রশিক্ষণ শেষে অংশগ্রহণকারীদের সনদপত্র প্রদান করা হয়েছে।”

এই প্রশিক্ষণে বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ের সময় আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধার, পানিতে ভেসে যাওয়া দুর্গতদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনার কৌশল এবং জরুরি মুহূর্তে প্রতিক্রিয়ার দক্ষতা শেখানো হয়েছে।

“উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে প্রশিক্ষণটি পরিচালিত হয়েছে,” বলেন তিনি।