ঢাকা ০৫:০৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

ওমিক্রন ছড়াবে, ঝুঁকি এড়াতে প্রস্তুত থাকতে বলেছে ডব্লিউএইচও

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০৮:০৪:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ নভেম্বর ২০২১
  • / 1128
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

  ছবি: সংগৃহিত

করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ধরন সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এতে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার ‘খুব উচ্চ’ ঝুঁকি রয়েছে এবং কিছু অঞ্চলে এটি ‘মারাত্মক পরিণতি’ ডেকে আনতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

সোমবার (২৯ নভেম্বর) জাতিসংঘের স্বাস্থ্য সংস্থাটি এর ১৯৪ সদস্য দেশকে সম্ভাব্য সংক্রমণের ঢেউ ঠেকাতে বিশেষ গ্রুপের লোকদের মধ্যে টিকাদানের হার বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের পরিকল্পনা ঠিকঠাক রয়েছে কিনা সেটিও নিশ্চিত করতে বলেছে তারা।

ডব্লিউএইচও বলেছে, ওমিক্রনে অভূতপূর্ব স্পাইক মিউটেশন হয়েছে, যার মধ্যে কয়েকটি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এগুলো মহামারির গতিপথ বদলে দিতে পারে।

করোনার নতুন এই ধরনে বৈশ্বিক ঝুঁকি অনেক বেশি বলে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। অবশ্য আজ পর্যন্ত এতে কেউ মারা যাওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। তবে নতুন এ ধরনের বিরুদ্ধে প্রচলিত টিকাগুলো কার্যকর কিনা তা নিয়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন বলে জানিয়েছে ডব্লিউএইচও।

সংস্থাটি বলেছে, ক্রমবর্ধমান সংক্রমণ, তীব্রতার পরিবর্তন নির্বিশেষে ওমিক্রন করোনাভাইরাস স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থায় অপ্রতিরোধ্য চাপ তৈরি করতে পারে এবং অসুস্থতা ও মৃত্যুর হার বাড়িয়ে দিতে পারে। অরক্ষিত জনগোষ্ঠীর ওপর এর প্রভাব গুরুতর হবে, বিশেষ করে কম টিকা দেওয়া দেশগুলোতে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে গত ২৪ নভেম্বর প্রথমবারের মতো দক্ষিণ আফ্রিকায় ওমিক্রন করোনাভাইরাস শনাক্তের খবর পৌঁছায়। এরপর নেদারল্যান্ডস, ডেনমার্ক, অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে তা ছড়িয়ে পড়েছে। এর কারণে অনেক দেশ সীমান্ত বন্ধসহ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।

ডব্লিউএইচও তাদের সবশেষ নির্দেশিকায় বলেছে, সব দেশকে সময়মতো আন্তর্জাতিক ভ্রমণ ব্যবস্থা সামঞ্জস্য করতে ঝুঁকিভিত্তিক পদ্ধতি ব্যবহার করা উচিত। এ বিষয়ে পরে আরও পরামর্শ দেওয়া হবে।

ওমিক্রনের বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, স্পাইক প্রোটিনের একাধিক মিউটেশনের উপস্থিতি ইঙ্গিত দেয় যে, ওমিক্রনের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি সুরক্ষা কাজ না-ও করতে পারে। টিকাগ্রহীতারাও এতে আক্রান্ত হতে পারেন। এ বিষয়ে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে আরও তথ্য পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ওমিক্রন ছড়াবে, ঝুঁকি এড়াতে প্রস্তুত থাকতে বলেছে ডব্লিউএইচও

আপডেট সময় : ০৮:০৪:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ নভেম্বর ২০২১

  ছবি: সংগৃহিত

করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ধরন সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এতে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার ‘খুব উচ্চ’ ঝুঁকি রয়েছে এবং কিছু অঞ্চলে এটি ‘মারাত্মক পরিণতি’ ডেকে আনতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

সোমবার (২৯ নভেম্বর) জাতিসংঘের স্বাস্থ্য সংস্থাটি এর ১৯৪ সদস্য দেশকে সম্ভাব্য সংক্রমণের ঢেউ ঠেকাতে বিশেষ গ্রুপের লোকদের মধ্যে টিকাদানের হার বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের পরিকল্পনা ঠিকঠাক রয়েছে কিনা সেটিও নিশ্চিত করতে বলেছে তারা।

ডব্লিউএইচও বলেছে, ওমিক্রনে অভূতপূর্ব স্পাইক মিউটেশন হয়েছে, যার মধ্যে কয়েকটি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এগুলো মহামারির গতিপথ বদলে দিতে পারে।

করোনার নতুন এই ধরনে বৈশ্বিক ঝুঁকি অনেক বেশি বলে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। অবশ্য আজ পর্যন্ত এতে কেউ মারা যাওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। তবে নতুন এ ধরনের বিরুদ্ধে প্রচলিত টিকাগুলো কার্যকর কিনা তা নিয়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন বলে জানিয়েছে ডব্লিউএইচও।

সংস্থাটি বলেছে, ক্রমবর্ধমান সংক্রমণ, তীব্রতার পরিবর্তন নির্বিশেষে ওমিক্রন করোনাভাইরাস স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থায় অপ্রতিরোধ্য চাপ তৈরি করতে পারে এবং অসুস্থতা ও মৃত্যুর হার বাড়িয়ে দিতে পারে। অরক্ষিত জনগোষ্ঠীর ওপর এর প্রভাব গুরুতর হবে, বিশেষ করে কম টিকা দেওয়া দেশগুলোতে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে গত ২৪ নভেম্বর প্রথমবারের মতো দক্ষিণ আফ্রিকায় ওমিক্রন করোনাভাইরাস শনাক্তের খবর পৌঁছায়। এরপর নেদারল্যান্ডস, ডেনমার্ক, অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে তা ছড়িয়ে পড়েছে। এর কারণে অনেক দেশ সীমান্ত বন্ধসহ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।

ডব্লিউএইচও তাদের সবশেষ নির্দেশিকায় বলেছে, সব দেশকে সময়মতো আন্তর্জাতিক ভ্রমণ ব্যবস্থা সামঞ্জস্য করতে ঝুঁকিভিত্তিক পদ্ধতি ব্যবহার করা উচিত। এ বিষয়ে পরে আরও পরামর্শ দেওয়া হবে।

ওমিক্রনের বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, স্পাইক প্রোটিনের একাধিক মিউটেশনের উপস্থিতি ইঙ্গিত দেয় যে, ওমিক্রনের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি সুরক্ষা কাজ না-ও করতে পারে। টিকাগ্রহীতারাও এতে আক্রান্ত হতে পারেন। এ বিষয়ে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে আরও তথ্য পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।